রাজধানীর লালবাগ থানায় দায়ের করা খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সাংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিমকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

এ ছাড়া পল্লবী থানায় দায়ের করা একটি অস্ত্র মামলায় সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

পুলিশের পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ সোমবার সকালে এসব আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আজিজুল হক।

পুলিশ ও আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, লালবাগ থানায় দায়ের করা খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় হাজি সেলিমের ছেলে সোলায়মান সেলিমকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। আসামি পক্ষ থেকে রিমান্ড বাতিলের আবেদন করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শামসুদ্দোহা সুমন আদালতকে বলেন, খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ গত বছরের ১৮ জুলাই লালবাগ এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ নিয়ে একটি বেসরকারি গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করেছে। সেই ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ঘটনাস্থলে সোলায়মান সেলিম উপস্থিত ছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডে সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত ছিলেন, তাঁদের নাম-ঠিকানা জানার জন্য আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত সোলায়মান সেলিমের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে আজ সোমবার সকালে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কামাল আহমেদ মজুমদার ও সোলায়মান সেলিমকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাঁদের রাখা হয় আদালতের হাজতখানায়। সকল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁদের আদালতকক্ষে হাজির করা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ র কর

এছাড়াও পড়ুন:

মৌলভীবাজারে ঘুমন্ত বড় ভাইকে কুপিয়ে হত্যা 

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের সিদ্ধেশ্বরপুর গ্রামে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ঘুমন্ত বড় ভাইকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। হত্যায় ব্যবহৃত দা ও রক্তমাখা লুঙ্গি জব্দ করা হয়েছে।

সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা ও শ্রীমঙ্গল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান।

পুলিশ জানায়, গত ৯ আগস্ট সকালে নিজ ঘর থেকে আব্দুর রহিম রাফির (২৬) গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে। বড় ভাইয়ের জানাজায় মানুষের আবেগঘন উপস্থিতি দেখে পুলিশ কাছে স্বীকারোক্তি দেয় ১৬ বছর বয়সী ছোট ভাই (অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় নাম প্রকাশ করা হয়নি)। সেদিনই তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। 

জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোর স্বীকার করে, আগের রাতে বড় ভাইয়ের কাছে ৫০০ টাকা চাইলে তা না দিয়ে দুর্ব্যবহার করে রাফি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পরের দিন সকালে মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে ঘুমন্ত ভাইকে খাটের নিচে রাখা দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সে। পরে দা ধুয়ে আবার খাটের নিচে রেখে দেয় এবং নিজের রক্তমাখা লুঙ্গিও সেখানেই লুকিয়ে রাখে।

পুলিশ জানিয়েছে, শুধু টাকার জন্য নয়, মাদ্রাসায় পড়াশোনা না করা, বড় ভাইয়ের শাসন এবং রাফির বিয়ে নিয়ে পারিবারিক অশান্তি—এসব কারণেও ছোট ভাইয়ের মনে ক্ষোভ তৈরি হয়। রাফি পরিবারের অমতে প্রেম করে বিয়ে করায় তার স্ত্রী, মা ও ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। দীর্ঘদিনের বিরোধ শেষ পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডে রূপ নেয়।

মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা বলেছেন, অভিযুক্ত ছোট ভাইয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হত্যায় ব্যবহৃত দা ও রক্তমাখা লুঙ্গি উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। যেহেতু, সে অপ্রাপ্তবয়স্ক তাই আইন অনুযায়ী তাকে সংশোধনাগারে পাঠানো হবে। 

ঢাকা/আজিজ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ