কাপ্তাই বাঁধ খুলে দেওয়ার পর পানির তীব্র স্রোতের কারণে বন্ধ হয়ে যায় কর্ণফুলী নদীর চন্দ্রঘোনা ঘাটে ফেরি চলাচল। চার দিন পর আজ ফেরি চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে। এতে স্বাভাবিক হয়েছে রাঙামাটি-বান্দরবান সড়কে যানবাহন চলাচল।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের রাঙামাটি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কাপ্তাই বাঁধ থেকে পানি ছাড়ার পরিমাণ কমায় কর্ণফুলী নদীতে স্রোত কমেছে। এতে ফেরি চলাচলে ঝুঁকিমুক্ত হয়েছে। এ অবস্থায় আজ সকাল সাতটা থেকে ফেরি চলাচল শুরু হয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এতে বান্দরবান-রাঙামাটি সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ার কারণে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। তবে জরুরি প্রয়োজনে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার কোদালা-শীলঘাটা হয়ে যান চলাচলের সুযোগ ছিল।

রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, কর্ণফুলী নদীর পানির স্রোত কমেছে। তাই ফেরি চলাচলে ঝুঁকি নেই বলা যায়। মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে ফেরি চলাচল শুরু করা হয়েছে।

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার থেকে রাঙামাটিতে বৃষ্টি নেই। উজান থেকে পাহাড়ি ঢলও থেমে গেছে। এর মধ্যে কাপ্তাই বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে হ্রদেও পানির চাপ কমেছে। আজ বেলা দেড়টায় কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি ফটক আড়াই ফুট করে খোলা ছিল।

পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানান, আজ বেলা একটায় কাপ্তাই হ্রদে পানির উচ্চতা ছিল ১০৭ দশমিক ৫৪ ফুট এমএসএল। এর আগে গত কয়েক দিনে হ্রদে ১০৮ দশমিক ৮৪ ফুট এমএসএল পর্যন্ত পানি ছিল। হ্রদে পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট।

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো.

মাহমুদ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বৃষ্টি থেমে যাওয়া ও বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে হ্রদে পানি দ্রুত কমছে। পর্যায়ক্রমে তাই বাঁধের ফটক দিয়ে পানি ছাড়ার পরিমাণও কমিয়ে আনা হচ্ছে। আগামীকাল মঙ্গলবার খুলে দেওয়া কাপ্তাই বাঁধ বন্ধ করা হতে পারে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ