রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শাহ আলম (২০) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকালে ক্যাম্পের ৭ নম্বর সেক্টর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে চাপাতিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. ফয়সাল ও মো. সেলিম। পুলিশ বলছে, কয়েক দিন ধরে খুচরা মাদক বিক্রি নিয়ে জেনেভা ক্যাম্পের ‘পিচ্চি রাজা’ ও ‘বুনিয়া সোহেল’ গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জেরেই আজকের সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

ক্যাম্পের বাসিন্দাদের ভাষ্য, আজ সকালে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর আগে গতকাল রোববার রাতেও ককটেল বিস্ফোরণে এক নারী আহত হন। বাসিন্দারা জানান, পুলিশ ও সেনাবাহিনী এলে পরিস্থিতি শান্ত হয়, কিন্তু চলে যাওয়ার পর আবার সংঘাত শুরু হয়।

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান প্রথম আলোকে বলেন, মাদক বিক্রি ও ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ‘পিচ্চি রাজা’ ও ‘বুনিয়া সোহেল’ গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে একজন মারা গেছেন। নিহত ব্যক্তি বুনিয়া সোহেল গ্রুপের অনুসারী। এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ক্যাম্প এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পুলিশ জানায়, রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় ২০২৪ সালে ক্যাম্পে মাদক ব্যবসা নিয়ে একাধিক সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। তখন সাঁড়াশি অভিযানে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়। সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে আসা মাদক কারবারিরা আবারও মাদক বিক্রিসহ নানা অপরাধে জড়াচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে পাক্কা ক্যাম্পে চুয়া সেলিমের আস্তানার সামনে বিয়ের অনুষ্ঠানে ককটেল বিস্ফোরণে দুজন আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বুনিয়া সোহেল নিজেই ঘটনাস্থলে ককটেল ফাটিয়ে চলে যান। এর পর থেকেই বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ও সহিংসতা চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ঘর ষ র ঘটন ককট ল

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের হত্যার ঘটনায় আর্টিকেল নাইনটিনের উদ্বেগ

দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুর প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন। এ ঘটনার দ্রুত, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করার এবং দায়ী ব্যক্তিদের আইন অনুযায়ী জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে তারা।

আজ সোমবার আর্টিকেল নাইনটিনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতার ঘটনা যখন বাড়ছে, তখন এ হত্যার ঘটনা ঘটল। এতে করে দেশটিতে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

আর্টিকেল নাইনটিন বলেছে, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনাগুলো দ্রুত, পুঙ্খানুপুঙ্খ ও স্বাধীনভাবে তদন্তের এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার দায়িত্ব রয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের। সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতার ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়াটা উদ্বেগজনক। এটি দ্রুত বন্ধ করতে হবে।

আরও পড়ুনগাজীপুরে সাংবাদিক হত্যায় দুই কারণ সামনে রেখে তদন্ত করছে পুলিশ ০৯ আগস্ট ২০২৫

বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো আইন পাস করেনি উল্লেখ করে আর্টিকেল নাইনটিন বলেছে, সাগর সরওয়ার, মেহেরুন রুনিসহ সাংবাদিকদের বেশির ভাগ হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি। এটি সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে সহিংসতা বাড়িয়ে তুলছে। একই সঙ্গে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ থেকে দায়মুক্তির একটি সংস্কৃতি গড়ে উঠছে।

আরও পড়ুনমুঠোফোনে অস্ত্রধারীদের ভিডিও করছিলেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান, পরে তাঁকেই হত্যা করা হয়০৮ আগস্ট ২০২৫

মানবাধিকার সংস্থাটি বলেছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে সাংবাদিকদের ওপর সাম্প্রতিক হামলা সব গণমাধ্যমকর্মী, নাগরিক অধিকারকর্মী এবং গণতন্ত্রের পক্ষে সোচ্চার ব্যক্তিদের জন্য উদ্বেগজনক। সাংবাদিকসহ সংবাদমাধ্যমের সব কর্মীকে সুরক্ষা দেওয়াটা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

আরও পড়ুনময়নাতদন্তের প্রতিবেদন জমা, মরদেহে ৯টি গভীর আঘাতের চিহ্ন৮ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ