আওয়ামী লীগ সরকারের সময় স্বাস্থ্য খাতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জারি করা দুটি প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো কর্মকর্তারা হলেন—স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) অধ্যাপক ডা.

শামিউল ইসলাম এবং জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল হাসান।

১০ আগস্ট স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম সরকারি চাকরির ২৫ বছর পূর্ণ করেছেন। জনস্বার্থে তাকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৪৫ ধারা অনুসারে অবসরে পাঠানো হলো। তিনি বিধি অনুযায়ী সব অবসর-সংক্রান্ত আর্থিক সুবিধা পাবেন।

আরো পড়ুন:

তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে বৃদ্ধ হারালেন ১২ কোটি টাকা

হঠাৎ মুখ ফুলে যাওয়ার কারণ কী

এর আগে ৬ আগস্ট এক প্রজ্ঞাপনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সার্জারি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল হাসানকেও একই ধারায় অবসরে পাঠানো হয়। এ প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব সনজীদা শরমিন।

অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম বঙ্গমাতা ন্যাশনাল সেলুলার অ্যান্ড মলিকুলার রিসার্চ সেন্টারের প্রকল্প পরিচালক, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ এবং মুগদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষসহ একাধিক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল হাসান স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সরকারি চাকরি আইনের ৪৫ ধারা অনুযায়ী, সরকার ২৫ বছর চাকরির মেয়াদপূর্তির পর কোনো কর্মকর্তাকে জনস্বার্থে বাধ্যতামূলক অবসর দিতে পারে।

ঢাকা/এএএম/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র কর মকর ত ল ইসল ম সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে মহাসড়ক অবরোধ করে ইসলামী ব্যাংক কর্মীদের বিক্ষোভ

ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতি ও ওএসডি করার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ব্যাংকের ভুক্তভোগী কর্মীরা।

আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ওয়াই জংশন এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এর আগে বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা রিভারভিউ কমিউনিটি সেন্টার থেকে মিছিল নিয়ে মহাসড়কে বসে পড়েন। এতে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক এবং পিএবি সড়কের (পটিয়া, আনোয়ারা ও বাঁশখালীমুখী সড়ক) যান চলাচল প্রায় ২০ মিনিট বন্ধ থাকে। পরে কর্ণফুলী থানা–পুলিশের অনুরোধে তাঁরা সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, ২৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের সাড়ে পাঁচ হাজার কর্মকর্তার চাকরিচ্যুতির পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রহসনমূলক দক্ষতা মূল্যায়ন পরীক্ষা নেওয়া হয়। সে পরীক্ষা তাঁরা বর্জন করে আন্দোলনে নামেন। পরীক্ষায় অংশ না নেওয়া এবং আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারণে গতকাল সোমবার ২০০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত ও ৪ হাজার ৯৫৩ জনকে ওএসডি করা হয়।

অভিযোগ করে ব্যাংক কর্মীরা বলেন, ‘এই জুলাই বিপ্লব তো চাকরি দেওয়ার কথা ছিল, চাকরি কেড়ে নেওয়ার কথা ছিল না।’ তাঁদের দাবি, আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ প্রহসনমূলক পরীক্ষা নেয় এবং এর পর থেকেই অন্যায় নিপীড়ন শুরু করে।

পরে আন্দোলনকারী ব্যক্তিরা ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। তাঁদের হুঁশিয়ারি, পূজার ছুটির মধ্যে দাবি মানা না হলে আগামী রোববার থেকে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি শুরু হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চট্টগ্রামে মহাসড়ক অবরোধ করে ইসলামী ব্যাংক কর্মীদের বিক্ষোভ