গাইবান্ধায় ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত
Published: 12th, August 2025 GMT
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছে। এতে পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের মৌসুমী তেলের পাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহতরা হলেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজাহার ইউনিয়নের জাঙ্গালপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে ও স্থানীয় পিয়ারাপুর মাদ্রাসার শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম, একই ইউনিয়নের চাপড়াপাড়া গ্রামের গণী মন্ডলের ছেলে নুরুন্নবী মন্ডল এবং সবুজ মিয়ার ১৯ দিন বয়সী মেয়ে সায়মা খাতুন। নিহত ও আহতদের সবাই অটোরিকশার যাত্রী।
আরো পড়ুন:
বাসের ধাক্কায় ৪ যাত্রী নিহতের ঘটনায় চালক রিমান্ডে
মহাসড়কে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস
গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়টি জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ওসি মোজাফফর হোসেন জানান, দিনাজপুর থেকে গোবিন্দগঞ্জ অভিমুখে মাল বোঝাই ট্রাক আসছিল। এ সময় সামনে থাকা যাত্রীবাহী অটোরিকশায় ধাক্কা দিলে সেটি সড়কে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে এক শিশুসহ তিনজন মারা যায়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম জানান, নিহত তিনজনের লাশ গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। ট্রাকটি আটক করা হয়েছে।
ঢাকা/লুমেন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন ন হত গ ব ন দগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদের দ্রুত আইনি ভিত্তি দিতে হবে: মাওলানা ইমতিয়াজ
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দ্রুত দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম।
তিনি বলেছেন, “আইনী ভিত্তি না থাকলে অচিরেই কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল এই অভ্যুত্থানকে ষড়যন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।”
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই সনদের ভিত্তি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে ইমতিয়াজ আলম বলেন, “দেশের পরিস্থিতি এবং কতিপয় নামধারী বুদ্ধিজীবীর কথাবার্তা দিনদিন অবনতি হচ্ছে। জুলাই সনদের আইনি কোনো ভিত্তি না থাকায়, জুলাই অভ্যুত্থানকে মুছে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। তাই, দ্রুত জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান করতে হবে।”
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চেতনার ব্যবসা করে দেশকে গোল্লায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “জুলাই বিপ্লব নিয়ে কোনো ধরনের চেতনা ব্যবসা এদেশের মানুষ মেনে নেবে না।” অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় জুলাইয়ের সঠিক ইতিহাস লেখার আহ্বান জানান তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এই নেতা বলেন, “জুলাইয়ে শহীদ এবং আহতরা হলো এই আন্দোলনের মূল মাস্টারমাইন্ড। তাদেরকে দেখেই সাধারণ জনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না থাকলে সহস্রাধিক শহীদ এবং লক্ষাধিক আহতদের কোনো একসময় দেশদ্রোহী, বিশ্বাসঘাতক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করলেও কিছু করার থাকবে না। আহতদের পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনেকটাই ব্যর্থ হয়েছে।” আহতদের পরিপূর্ণ পুনর্বাসন জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মাসুদ