গৃহবধূর সঙ্গে আটকের ভিডিও ভাইরাল: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বহিষ্কার
Published: 12th, August 2025 GMT
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নোমান বাবুকে (৩৩) সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) নোয়াখালী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক মাহবুব ফাহাদ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। নোমান বাবু বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ছিলেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নোয়াখালী জেলা শাখার অধীনস্থ বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক নোমান বাবু দলের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় সংগঠন পরিপন্থি অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত হয়েছেন। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ছাবের আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য ও প্রমাণ রয়েছে। অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার কারণে তাকে সংগঠন থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
সাতক্ষীরায় বিএনপি ও যুবদলের ৩ নেতাকর্মী বহিষ্কার
সেনা অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ফরিদকে যুবদল থেকে বহিষ্কার
অভিযোগের বিষয়ে নোমান বাবু বলেন, ‘‘আমাকে বহিষ্কারের বিষয়টি শুনেছি। একটি মহল ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাঁসিয়েছে।’’
রবিবার (১০ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের তফাদার গেট এলাকার এক গৃহবধূর ঘরে অবস্থান করছিলেন নোমান বাবু। এলাকাবাসী তাদের আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলে। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় নেতারা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এরপর তাকে আটকের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
নোয়াখালী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, ‘‘আমরা একটা ভিডিও পেয়েছি। তাতে আমাদের মনে হয়েছে, তিনি অসামাজিক কাজে জড়িত। তাই তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।’’
নোয়াখালী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ছাবের আহমেদ বলেন, ‘‘সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক, তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’’
ঢাকা/সুজন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব গমগঞ জ স গঠন উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
কুড়িগ্রামে গৃহবধূকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ, বিচার দাবি
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে গৃহবধূ ফাতেমাকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহতের পরিবার।
বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে নিহতের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
পরকীয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে কথা কাটাকাটি, যুবককে কুপিয়ে হত্যা
বাড়ির মেয়েদের দিকে কুদৃষ্টি দেওয়ায় আকবরকে হত্যা
নিহত গৃহবধূ ফাতেমার পিতা মো. আসাদ আলী (আসাবুদ্দিন) লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, “আমার মেয়েকে গত ১৪ আগস্ট রাতে উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর বালাডোবা গ্রামে স্বামীর বাড়িতে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়। পরে লাশ ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালানো হয়।”
তিনি জানান, ফাতেমার স্বামী শামীম মোল্লা জীবিকার তাগিদে টাঙ্গাইল জেলায় থাকলেও নিয়মিত পরিবারের খোঁজখবর নিতেন। স্বামীর অনুপস্থিতিতে এলাকার কিছু দুষ্কৃতিকারী ও মাদকসেবী ফাতেমাকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করত। ঘটনার রাতে ফাতেমার শাশুড়ি ও জা নিজ বাড়িতে ছিলেন না। তারা আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন। এ সময় প্রথমে সফিকুল ইসলাম সফি নামের এক যুবক তার বাড়িতে প্রবেশ করলে স্থানীয় কয়েকজন তাকে আটক করে। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে টাকা নেয়। এরপর রাত গভীর হলে সফিকুলসহ প্রায় ১২ জন সংঘবদ্ধভাবে ফাতেমার ঘরে প্রবেশ করে পালাক্রমে ধর্ষণ ও হত্যা করে।
আসাদ আলীর অভিযোগ, ঘটনার পর বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবলু মিয়ার প্রত্যক্ষ তদবিরে স্থানীয় পুলিশ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। নামাজের চর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে এসআই জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহালে গলায় ও শরীরে জখম থাকার পরও আত্মহত্যার কাহিনি সাজায় পুলিশ। এমনকি থানায় মামলা করতে গেলে জোরপূর্বক সাদা কাগজে তার (আসাদ আলীর) নিকট থেকে স্বাক্ষর নিয়ে মেয়ের আত্মহত্যার স্বীকারোক্তি তৈরি করে পুলিশ। এখন পর্যন্ত তিনি মেয়ের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনও পাননি তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে মেয়ের শাড়ি উদ্ধার করা হলেও লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় সালোয়ার কামিজ পরিহিত অবস্থায়। এ নিয়ে গ্রামে নানা প্রশ্ন উঠলেও পুলিশ গুরুত্ব দেয়নি। অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও মামলা ও তদন্তে কোনো অগ্রগতি নেই। বরং ভিকটিমের পরিবারকেই হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
ফাতেমার বাবা মো. আসাদ আলী বলেন, “আমার মেয়েকে গণধর্ষণ ও হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে। পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিরা টাকার বিনিময়ে সত্য গোপন করছে। একজন পিতা হিসেবে আমি আমার মেয়ে হত্যার ন্যায়বিচার চাই। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।
ঢাকা/সৈকত/মেহেদী