গত সরকারের আমলে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় নির্মাণ করে বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক সিনেমা ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। এ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য অডিশন দিয়েও বাদ পড়েন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। কেবল তাই নয়, তাকে ‘অপমান’ করে রিজেক্ট করা হয়েছিল বলে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। 

এ আলাপচারিতায় জানতে চাওয়া হয় ‘মুজিব’ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেলে কী অভিনয় করতেন? জবাবে বাঁধন বলেন, “আমি তো অডিশন দিয়েছিলাম। দুবার দিয়েছিলাম। রিজেক্ট হয়ে অনেক কান্না করেছি। শ্যাম বেনেগালের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে তো ছিল। উনার মতো ডিরেক্টরের সঙ্গে কাজ করা।” 

পরের ঘটনা বর্ণনা করে বাঁধন বলেন, “আমাকে রিজেক্ট করার পর হাউমাউ করে কেঁদেছিলাম। যখন ট্রেইলার বের হলো তখন আমার এক কাজিন আছে, খুব ক্লোজ, ওর নাম সামিয়া। ও আমাকে বলছিল, ‘বাঁধন আপু আল্লাহ তোমার সঙ্গে সবকিছু ভালো করে। তুমি তা জানো।’ আমি তখন বলেছিলাম, ‘আমি জানি’। তখন আমার বোনটা বলে, ‘আল্লাহ বাঁচিয়ে দিয়েছে তোমাকে এই রকম একটা সিনেমায় অভিনয় করো নাই।’ সেটা শুনে আমি অনেক কান্না করেছিলাম।” 

আরো পড়ুন:

৫ আগস্ট চিরদিনের জন্য আমার স্মৃতিতে খোদাই হয়ে গেছে: বাঁধন

বাঁধন-সাবার ভার্চুয়াল দ্বন্দ্বে যোগ দিলেন অরুণা বিশ্বাস

অডিশনে বাঁধনকে অপমান করা হয়েছিল। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “কষ্টটা ছিল ওরা শুধু আমাকে রিজেক্টই করেনি, বাজেভাবে অপমান করেছিল। পরে যখন ট্রেইলার এলো, সিনেমা এলো সবার কথা শুনে মনে হলো কাজটা না করে ভালো হয়েছে। খুশি হয়েছিলাম যে, তারা আমাকে রিজেক্ট করেছিল।” 

মুক্তির পর থেকেই ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। যদিও আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামল থাকায় সেসময় অধিকাংশ চলচ্চিত্রবোদ্ধাই সিনেমাটি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। 

‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেন আরিফিন শুভ। তার স্ত্রী বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিবের চরিত্রে অভিনয় করেন অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।

সিনেমাটির অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেন—নুসরাত ফারিয়া, রিয়াজ আহমেদ, দিলারা জামান, চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, জায়েদ খান, খায়রুল আলম সবুজ, রাইসুল ইসলাম আসাদ, গাজী রাকায়েত, তৌকীর আহমেদ, মিশা সওদাগরসহ শতাধিক শিল্পী।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

স্থানীয় সরকার বিভাগে নিয়োগ, পদসংখ্যা ৯৩

স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন জেলা পরিষদসমূহে ৯ম ও ১০ম গ্রেডের ৯৩টি পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আবেদনপ্রক্রিয়া চলবে এক মাস। আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন করতে হবে অনলাইনে। আগামী বুধবার (১৯ নভেম্বর ২০২৫) আবেদন শুরু হবে।

পদের নাম ও বিবরণ

১. সহকারী প্রকৌশলী

পদসংখ্যা: ৪৪

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল বা পানিসম্পদ কৌশল বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ ৪ বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।

গ্রেড: ৯

বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা

২. উপসহকারী প্রকৌশলী

পদসংখ্যা: ৪৯

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত ইনস্টিটিউট বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বা সিভিল উড বা কনস্ট্রাকশন বা এনভায়রনমেন্ট বিষয়ে অন্যূন ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা।

গ্রেড: ১০

বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা

বয়সসীমা

১৯ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে ১৮-৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে।

আবেদনের নিয়ম

http://lgd.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

আবেদনের ফি

আবেদন ফি ২০০ টাকা। তবে অনগ্রসর নাগরিকদের জন্য সব গ্রেডে আবেদন ফি ৫০ টাকা করে।

আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স ১৯ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে ১৮-৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ