সিদ্ধিরগঞ্জে মহাসড়কে বাস উল্টে গ্রীন ইউনিভার্সিটির ৩ শিক্ষার্থী আহত
Published: 12th, August 2025 GMT
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশের চট্টগ্রামমুখী সার্ভিস লেনে শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে হঠাৎ ব্রেক কষে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে গেছে। এতে গ্রীন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের তিনজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আমিজউদ্দীন পেট্রোল পাম্পের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চট্টগ্রামগামী একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেলে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিন শিক্ষার্থী আহত হন। আহতদের গ্রীন ইউনিভার্সিটির নিজস্ব পরিবহনে ইউএস-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়া হয়।
গ্রীন ইউনিভার্সিটির প্রশাসনিক শাখা জানায়, আহতদের মধ্যে মো.
দুর্ঘটনার কারণে চিটাগংরোড থেকে মৌচাক পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসটি উদ্ধার করেন।
জুলহাস উদ্দিন জানান, ভোরে গ্রিন ইউনিভার্সিটির একটি বাস ডেলিগেটেড লাইনে দাঁড়িয়ে ছাত্র-ছাত্রী তুলছিল। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী রাস্তা পার হচ্ছিলেন। শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে ‘ইটনা পরিবহন’ বাসটি হঠাৎ ব্রেক করলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাঝের ডিভাইডারে ধাক্কা দেয় এবং উল্টে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ চালায় ও বাসটি সরিয়ে নেয়। পরে সার্ভিস লেনের এক পাশ ও সড়কের মাঝের লেন দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ গ র ন ইউন ভ র স ট র
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদের দ্রুত আইনি ভিত্তি দিতে হবে: মাওলানা ইমতিয়াজ
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দ্রুত দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম।
তিনি বলেছেন, “আইনী ভিত্তি না থাকলে অচিরেই কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল এই অভ্যুত্থানকে ষড়যন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।”
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই সনদের ভিত্তি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে ইমতিয়াজ আলম বলেন, “দেশের পরিস্থিতি এবং কতিপয় নামধারী বুদ্ধিজীবীর কথাবার্তা দিনদিন অবনতি হচ্ছে। জুলাই সনদের আইনি কোনো ভিত্তি না থাকায়, জুলাই অভ্যুত্থানকে মুছে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। তাই, দ্রুত জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান করতে হবে।”
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চেতনার ব্যবসা করে দেশকে গোল্লায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “জুলাই বিপ্লব নিয়ে কোনো ধরনের চেতনা ব্যবসা এদেশের মানুষ মেনে নেবে না।” অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় জুলাইয়ের সঠিক ইতিহাস লেখার আহ্বান জানান তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এই নেতা বলেন, “জুলাইয়ে শহীদ এবং আহতরা হলো এই আন্দোলনের মূল মাস্টারমাইন্ড। তাদেরকে দেখেই সাধারণ জনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না থাকলে সহস্রাধিক শহীদ এবং লক্ষাধিক আহতদের কোনো একসময় দেশদ্রোহী, বিশ্বাসঘাতক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করলেও কিছু করার থাকবে না। আহতদের পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনেকটাই ব্যর্থ হয়েছে।” আহতদের পরিপূর্ণ পুনর্বাসন জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মাসুদ