আড়াইহাজারে ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪
Published: 12th, August 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪ জন হয়েছে। আজ সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিএনজি চালক আবুল বাশার (৪৫) ও অজ্ঞাত একজন নারী মারা গেছে। এরআগে ঘটনাস্থলে লিটন দাস (৩২) ও অজ্ঞাত একজন পুরুষ মারা যায়। নিহত আবুল বাশারের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর ও লিটন দাসের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ৩ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) দুপুর ৩টার দিকে আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দি ইউনিয়নের তালতলা মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বন্দরের মদনপুর থেকে যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিকশাটি বিশনন্দি ফেরিঘাটের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। তালতলা মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা গ্যাস ভর্তি একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই লিটন দাস ও অজ্ঞাত একজন পুরুষ যাত্রী মারা যায়। এবং সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অজ্ঞাত একজন নারী মারা গেছে।
গুরুত্বর আহত সিএনজির যাত্রী রাবেয়া, একজন অজ্ঞাতনামা মহিলা এবং এক অজ্ঞাতনামা ১২ বছরের শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দুর্ঘটনার পর প্রায় ১০ মিনিট আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। খবর পেয়ে আড়াইহাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘাতক ট্রাকের চালক দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে ট্রাকটি জব্দ করে পুলিশ।
এ বিষয়ে আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার নাসির উদ্দিন জানান, বেলা আনুমানিক ৩টার দিকে দূর্ঘটনাটি ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে দুইজন ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজন মারা যায়। আমরা ট্রাকটি জব্দ করেছি। তবে ট্রাকের চালক পালিয়ে গেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আহতদের অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা প্রত্যেকেই গুরুতর আহত হয়েছেন।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন র য়ণগঞ জ দ র ঘটন স এনজ
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে সাদাপোশাকে আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার, র্যাবের ৩ সদস্য আহত
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সাদাপোশাকে অভিযান চালিয়ে আসামি ধরার সময় হামলায় আহত হয়েছেন র্যাবের তিন সদস্য। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আটি ওয়াপদা কলোনি বউবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
র্যাব-১১–এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. নাঈম উল হক সাংবাদিকদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাদাপোশাকে র্যাবের একটি গোয়েন্দা দল অভিযানে নামে। তবে অভিযানের খবর টের পেয়ে যান আসামি সাহেব আলী ও তাঁর সহযোগীরা। তাঁরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে র্যাবের তিন সদস্য আহত হন। গুরুতর আহত এক সদস্যকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, আসামি সাহেব আলীর বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও অস্ত্র আইনে অন্তত এক ডজন মামলা আছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে র্যাব-১১ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ওই আসামিকে (সাহেব আলী) তাঁরা অনেক দিন ধরে ধরার চেষ্টা করছিলেন। মঙ্গলবার রাতে তাঁর অবস্থান জানতে পেরে সাদাপোশাকে র্যাবের গোয়েন্দা দল পর্যবেক্ষণে যায়। এ সময় ওই আসামির সহযোগীরা চিৎকার ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন এবং পালিয়ে যান। তাঁকে ধরার চেষ্টা চলছে।