বন্দরে পৃথক অভিযান চালিয়ে ২ নারী মাদক কারবারিসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই সময় গ্রেপ্তারকৃত মাদক কারবারিদের কাছ থেকে ১০৫ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট ও ২৫০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। 

গ্রেপ্তারকৃত মাদক কারবারিরা হলো বন্দর থানার নবীগঞ্জ রওশনবাগ এলাকার মৃত শহিদ মিয়ার ছেলে  বাবু (৩৮) ও তার স্ত্রী  নূর জাহান (৩৪) একই থানার দড়ি সোনাকান্দা এলাকার মৃত আফতাব উদ্দিন মিয়ার ছেলে গোলাপ মিয়া (৭৫) তার ছেলে রিংকু (৩৫) ও দড়ি সোনাকান্দা এলাকার হাজী আহসান উল্ল্যাহ মিয়ার মেয়ে রাবেয়া বেগম (৩০)। 

বন্দর পৃথক স্থান থেকে ইয়াবা ও গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় বন্দর থানার এস আই মোতালেব ও অপর এসআই  মিজানুর রহমান সজিব বাদী হয়ে বন্দর থানায় মাদক আইনে পৃথক দুইটি মামলা রুজু করেছে। যার মামলা নং- ২০(৮)২৫ ও ২১(৮)২৫। 

ধৃতদের মঙ্গলবার (১২ আগস্ট)  দুপুরে উল্লেখিত পৃথক মাদক মামলায় এদেরকে আদালতে প্রেরণ করেচে পুলিশ। এর আগে গত সোমবার (১১ আগস্ট) রাতে বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা ও নবীগঞ্জ নূরবাগ এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

জানা গেছে, বন্দর থানার এসআই আব্দুল মোতালেবসহ সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দড়ি সোনাকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট ও ২৫০ গ্রাম গাঁজাসহ গোলাপ মিয়া ও তার ছেলে রিংকু এবং রাবেয়া বেগমকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

এ ছাড়াও বন্দর থানার অপর এসআই মিজানুর রহমান সজিবসহ সঙ্গীয় ফোর্স নবীগঞাজ রওশনবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫৫ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ বাবু ও তার স্ত্রী নূর জাহানকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

গোপালগঞ্জে আরো দুই মামলায় আসামি ৫৫২

আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদর ও কাশিয়ানী থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে আরো পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এ দুটি মামলায় ১৫২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় জেলায় মোট চারটি মামলা দায়ের হলো।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিক ও কাশিয়ানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় এ দুটি মামলা দায়ের করেন।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম জানিয়েছেন, গত ১৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জের কয়েকটি স্থানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০০ জনসহ ২৬৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

অপরদিকে, কাশিয়ানী থানার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন জানিয়েছেন, কাশিয়ানী থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় ৮৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০০ জনসহ মোট ২৮৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এর আগে আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদর ও কোটালীপাড়া থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে আরো পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এ দুটি মামলায় ৮২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত নামা ২৮৫ জনসহ মোট ৩৬৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ দুই মামলায় পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ শহরের গণপূর্ত অফিসের গাড়িতে ও সদর উপজেলার উলপুরে গ্রামীণ ব্যাংক অফিসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এছাড়া জেলার কয়েকটি স্থানে সড়কে গাছ ফেলে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়।

ঢাকা/বাদল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গোপালগঞ্জে ট্রাক চাপায় ইজিবাইক চালক নিহত
  • গোপালগঞ্জে আরো দুই মামলায় আসামি ৫৫২
  • ‘লকডাউন’ ঘিরে গোপালগঞ্জে পৃথক মামলায় আসামি ৩৬৭
  • পুলিশের হাতে কামড় দিয়ে পালালেন ছাত্রদল নেতা