কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসী নাগরিকদের ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করতে ২৮ আগস্ট কানাডা যাচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর প্রবাসী ভোটারদের সঙ্গে একটি সভায়ও অংশ নেবেন তিনি।

সরকারি এক আদেশে এ সফরের সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। লালমনিরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.

লুৎফুল কবির সরকার তাঁর সফরসঙ্গী হবেন। সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো টরন্টো ও অটোয়ায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানগুলোতে যোগদান এবং কানাডায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমের সূচনা করা।

সিইসি ২৬ আগস্ট অথবা তার কাছাকাছি সুবিধাজনক কোনো তারিখে ঢাকা থেকে কানাডার উদ্দেশে যাত্রা করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সেখানে ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া, সুবিধা এবং বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য ও দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।

সফর শেষে সিইসি ৪ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে ব্যক্তিগত ছুটিতে থাকবেন। এই ছুটির অতিরিক্ত সময়ের সব খরচ তিনি নিজে বহন করবেন। ৮ সেপ্টেম্বর তাঁর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।

নির্বাচন কমিশন কানাডায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমের এই উদ্যোগকে প্রবাসীদের ভোটাধিকারে অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে। পাশাপাশি এটি ভোট প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা প্রকাশ করছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রব স অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলের হাইফা বন্দরে হুতিদের হামলা

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলের চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। হাইফা বন্দর, নেগেভ, উম্ম আল-রশরাশ ও বিরসেবায় এ হামলা চালানো হয়েছে।

হুতির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস কর্মকান্ডের জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় ছয়টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। ড্রোনগুলো সফলভাবে লক্ষবস্তুতে আঘাত হেনেছে।

গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধ না করলে এবং অবরোধ তুলে না নেওয়া পর্যন্ত এ ধরনের হামলা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে হুতি।

তবে হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ৮৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩১ জন ছিলেন ত্রাণপ্রত্যাশী। এ সময় ৫১৩ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, অনাহারের কারণে গাজায় আরও পাঁচ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে। এ নিয়ে উপত্যকাটিতে অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা ২২৭–এ পৌঁছাল, যাদের মধ্যে ১০৩টি শিশু।

সম্পর্কিত নিবন্ধ