শান্তি সম্প্রীতি ও অহিংস রাজনীতির প্রবক্তা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী অর্থাৎ মহাত্মা গান্ধীর ছাগলের সঙ্গে তৎকালীন পূর্ববঙ্গের নোয়াখালীর একটা সম্পর্কের কথা জনশ্রুতিতে এখনো জাগরুক। জনশ্রুতিটি হলো, ১৯৪৬ সালের নোয়াখালীর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় শান্তি সফরে এসে ছাগল হারিয়েছিলেন গান্ধী। কথিত ‘কাশেম ফৌজের’ লোকজন তাঁর ছাগলটি চুরি করে মাংস রেঁধে পাঠিয়েছিল নিরামিষাশী গান্ধীকে। আজ থেকে ৭৯ বছর আগের ওই সফরের নানা সচিত্র বিবরণ পাওয়া যায় সে সময়কার বিভিন্ন সংবাদপত্রে। তবে ছাগল চুরির ঘটনার কোনো উল্লেখ পাওয়া যায় না। এমনকি এ নিয়ে মহাত্মা গান্ধীর আত্মজীবনী ‘দা স্টোরি অব মাই এক্সপেরিয়েন্স উইথ ট্রুথ’বইতেও কোনো উল্লেখ নেই। বিষয়টি জানার জন্য প্রথম আলো নানা তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করেছে। নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের নথিপত্র বিশ্লেষণের পাশাপাশি বর্তমান কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছে। বেরিয়ে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য।

গান্ধী ও ছাগলের দুধ

গান্ধী বাছুরকে বঞ্চিত করে গরু বা মহিষের দুধ পানের বিরোধী ছিলেন। এ বিষয়ে তাঁর দৃঢ় প্রতিজ্ঞাও ছিল। কিন্তু ১৯১৯ সালের দিকে তিনি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁর চিকিৎসক জানান, সুস্থ হতে হলে তাঁকে দুধ পান করতেই হবে। তখন গান্ধী যখন জানালেন, তিনি গরু ও মহিষের দুধ পান থেকে নিজেকে বিরত রেখেছেন। তবে স্ত্রী কস্তুরবা পণ ভঙ্গ না করেই ছাগলের দুধ পানের পরামর্শ দেন গান্ধীকে। কস্তুরবার যুক্তি ছিল, মহিষ ও গরুর দুধ পান না করার প্রতিজ্ঞা ছিল। তাহলে ছাগলের দুধ খেলে সে প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ হচ্ছে না।

নোয়াখালীর এক গ্রামের পথে একাকী হাঁটছেন মহাত্মা গান্ধী.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ গল র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের কাছে হারের কারণ ব্যাখ্যায় যা বললেন রশিদ খান

এশিয়া কাপের পর দ্বিপক্ষীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচেও বাংলাদেশের কাছে হারল আফগানিস্তান। কাল শারজাতে বাংলাদেশের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে রশিদ খানের দল। এই হারে দলের ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগকেই দুষছেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান।

আফগানিস্তানের ১৫১ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ উদ্বোধনী জুটি তুলেছে ১০৯ রান। তখন জয় মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু আচমকাই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে বড় ধস নামে। ১১.৪ ওভার থেকে ১৫.৪ ওভারের মধ্যে ২৪ বলে বাংলাদেশ ৯ রানে ৬ উইকেট হারালে ম্যাচে ফেরে আফগানিস্তান। কিন্তু এভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি তারা।

আফগানিস্তানের ঘুরে দাঁড়ানোয় সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল রশিদের। ১৮ রানে ৪ উইকেট নেন এই লেগ স্পিনার। এর মধ্য দিয়ে দারুণ এক কীর্তিও গড়েন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে এ নিয়ে পঞ্চমবার ইনিংসে ৪ উইকেট নিলেন রশিদ।

টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর অধিনায়কদের মধ্যে টি–টোয়েন্টিতে আর কোনো অধিনায়ক এতবার ইনিংসে ৪ উইকেট নিতে পারেননি। বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ও শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা দুবার করে ইনিংসে ন্যূনতম ৪ উইকেট নিয়েছেন।

কাল ৪ উইকেট নিয়েছেন রশিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ