অ্যাম্বুলেন্স নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে, নারীর মৃত্যু
Published: 13th, August 2025 GMT
খুলনায় অ্যাম্বুলেন্স নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে ময়না বেগম (৪৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার নতুন রাস্তায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর থেকে অ্যাম্বুলেন্স চালক পলাতক। তার নাম জানাতে পারেনি পুলিশ।
খর্ণিয়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনজার্জ মো. ফজলুল করিম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
দক্ষিণ আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ফেনীর একরামুল নিহত
নারায়ণগঞ্জে অটোরিকশায় ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২
মারা যাওয়া ময়না সাতক্ষীরা জেলার মৌতলা গ্রামের বাসিন্দা আরিফ মোল্লার স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, স্বামী আরিফ মোল্লার পিঠের টিউমার অপারেশন করাতে আজ সকালে একটি অ্যাম্বুলেন্সে খুলনায় রওনা হন ময়না। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার নতুন রাস্তায় পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে অ্যাম্বুলেন্সটি সড়কের পাশের পুকুরে পড়ে যায়।
স্থানীয় ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের ভেতর থেকে চারজনকে উদ্ধার করে ডুমুরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক ময়নাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকে অ্যাম্বুলেন্সের চালক পলাতক।
খর্ণিয়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো.
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত
এছাড়াও পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে গৃহবধূ উর্মি খাতুনের (৩০) মরদেহ উদ্ধারের অভিযোগে স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিক রানাকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তবে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শহরের মজমপুর গেট এলাকা থেকে রানাকে গ্রেপ্তার করে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ।
আরো পড়ুন:
সিলেটে ছুকিরাঘাতে মাদরাসা শিক্ষক নিহত
চাঁদপুরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে রিকশাচালক নিহত
এর আগে, শনিবার (৯ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে হাউজিং এফ ব্লকের একটি ভাড়া বাসা থেকে উর্মির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত উর্মি খাতুন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মহিম মন্ডলের মেয়ে। প্রায় ৫ বছর আগে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার রানা খানের সঙ্গে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। তারা কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন এবং সিটি কলেজের সামনে একটি কাপড় ও খাবারের দোকান পরিচালনা করতেন।
নিহতের ভাই আবু সাইদ অভিযোগ করে বলেন, “বিয়ের পর থেকেই রানা মাদকাসক্ত ছিলেন এবং এ কারণে একাধিকবার কারাগারে যান। তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। এ থেকেই ঝগড়া-বিবাদের জেরে মারধর ও শ্বাসরোধ করে উর্মিকে হত্যা করা হয়েছে।”
ওসি মোশাররফ হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রানা স্বীকার করেছেন, স্ত্রীর পরকীয়ার সন্দেহে তিনি ক্ষিপ্ত ছিলেন। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে রানা উর্মিকে মারধর করে গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে তিনি বাইরে থেকে ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান।
ঢাকা/কাঞ্চন/মেহেদী