জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) ও যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলমের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার ষষ্ঠ যুগ্ম জেলা জজ রোবায়েত ফেরদৌস এই আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এই আদালতের বেঞ্চ সহকারী আদনান আহমেদ।

আদনান আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন বাদী। এই আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ জুলাই জি এম কাদের ও মাহমুদ আলমের দলীয় সব ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রমের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ। এই আদালত এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বের বিরোধ নিয়ে হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন থাকা একটি রিট পিটিশনের উল্লেখ করেছিলেন। বলেছিলেন, মামলাটি বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগের শুনানির জন্য প্রস্তুত অবস্থায় বিচারাধীন আছে। এ পর্যায়ে কারও পক্ষে দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা সমীচীন নয় মর্মে আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয়।

আরও পড়ুনজাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনায় জি এম কাদেরের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা৩১ জুলাই ২০২৫

ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতের আদেশের পর জি এম কাদেরবিরোধী নেতারা বলেছিলেন, আদালতের এই পর্যবেক্ষণের ফলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এ পর্যন্ত যাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছেন, তা আইনিভাবে বৈধ নয়। ফলে তিনি সম্প্রতি দলের জ্যেষ্ঠ কো চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ যে ১১ জন নেতাকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন, তাঁরা সপদে বহাল রইলেন।

আরও পড়ুননির্বাচন কমিশনের স্বীকৃতি চেয়ে আনিসুল-হাওলাদার কমিটির চিঠি২ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এম ক দ র গঠন ক প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ