বিস্তীর্ণ বিলের বুক চিরে চলে গেছে ইটের সড়ক। বিল ভাগ হয়ে গেছে দুই ভাগে। একটির নাম খয়রা-নাওঘাটা বিল, অন্যটি দক্ষিণের বিল। জলাবদ্ধতার কারণে বিলের বেশির ভাগ জমিতে এবারও আমন ধানের চাষ হচ্ছে না।

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া, রায়পুর এবং বন্দবিলা ইউনিয়নে বিল দুটির অবস্থান। স্থানীয় কৃষকেরা জানান, মাত্র দেড় কিলোমিটার খাল ভরাট হয়ে পানিনিষ্কাশন হচ্ছে না। ফলে বিল দুটির প্রায় এক হাজার বিঘা জমি অনাবাদী হয়ে আছে। জুলাইয়ের শুরু থেকে মধ্য অক্টোবর পর্যন্ত আমন মৌসুম। ধানের চারা রোপণের সময় মধ্য জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ক্ষেত্রপালা গ্রাম থেকে বিলের মাঝখান দিয়ে একটি ইটের সড়ক পূর্ব থেকে সোজা পশ্চিম দিকে সাদীপুর গ্রাম পর্যন্ত চলে গেছে। সড়কের দক্ষিণ পাশে দক্ষিণের বিল, উত্তর পাশে খয়রা-নাওঘাটা বিল। বিলের পূর্ব পাশের উপরের অংশে অল্প কিছু জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। তবে বিলের বেশির ভাগ অংশে পানি থই থই করছে।

বিল দুটির পূর্ব পাশে নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের ক্ষেত্রপালা গ্রাম, দক্ষিণে রায়পুর ইউনিয়নের সিলুমপুর, লক্ষ্মীপুর, আজমপুর, পাকুড়িয়া ও দৌলতপুর গ্রাম, পশ্চিমে বন্দবিলা ইউনিয়নের সাদীপুর গ্রাম, উত্তরে নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের খানপুর এবং বন্দবিলা ইউনিয়নের পাঠান পাইকপাড়া, গাইদঘাট ও রাঘবপুর গ্রাম। বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরা, বন্দবিলা, পুলের হাট, সাদীপুর, রাঘবপুর, পাঠান পাইকপাড়া, খানপুর ও নারিকেলবাড়িয়ার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত হয়েছে চিত্রা নদী।

পানিনিষ্কাশন না হওয়ায় যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার দক্ষিণের বিল জলাবদ্ধ হয়ে আছে। এবার বিলের বেশির ভাগ অংশে আমন ধান চাষ হচ্ছে না। সম্প্রতি তোলা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব  প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি  এখন সারানো  হয়েছে।

ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।  

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।

ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।  পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’

ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ