ফেনীর জয়নাল হাজারী কলেজে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধসহ চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন শিক্ষার্থীরা। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দফাগুলো দাবি বাস্তবায়ন না হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে মিছিল নিয়ে কলেজ মাঠে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা কলেজের অধ্যক্ষের কাছে চার দফা দাবি তুলে ধরে স্মারকলিপি দেন।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘ক্যাম্পাস রাজনীতি, চলবে না চলবে না’, ‘দলীয় রাজনীতির ঠিকানা, এ ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

আরো পড়ুন:

বিসিএসে অযৌক্তিক অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

উত্তরবঙ্গের রেলপথ আটকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

শিক্ষার্থীরা বলেন, ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জয়নাল হাজারী কলেজে ছাত্র রাজনীতির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা ছিল। যা কলেজের শিক্ষা ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন কলেজের শিক্ষার্থীদের দলীয় রাজনীতিতে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি কমিটি গঠনের চেষ্টা করছে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করে কলেজের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

তারা বলেন, আমরা কলেজের অফিসিয়াল পত্রে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ক্যাম্পাসে সব ধরনের গোপন ও প্রকাশ্য রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি করছি। পাশাপাশি গত ১১ আগস্টের ঘটনার সঠিক তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে সৃষ্ট সংশয় দূর করতে কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে।

আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এসব দাবি বাস্তবায়ন না হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লালপোল এলাকায় অবরোধের হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, “শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি নিয়ে আমার কাছে এসেছিল। কলেজটি যেহেতু দীর্ঘদিন রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত ছিল, সে হিসেবে গভর্নিং বডি থেকে শুরু করে শিক্ষকরাও ক্যাম্পাস রাজনীতি মুক্ত রাখতে একমত। এই বিষয়ে আমরা গভর্নিং বডির সঙ্গে একটি সভা করব। আগামী রবিবারের (১৭ আগস্ট) মধ্যে ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।”

জয়নাল হাজারী কলেজে দীর্ঘদিন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা থাকলেও গত সোমবার (১১ আগস্ট) প্রার্থিতা ফরম বিতরণের মধ্য দিয়ে কলেজে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আনুষ্ঠানিকভাবে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে। তারপর থেকে ক্ষোভে ফেটে পড়েন কলেজের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা/সাহাব উদ্দিন/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল জয়ন ল হ জ র র জন ত ক কল জ র আগস ট

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ