পঞ্চগড়ে রাতভর বর্ষণে স্লুইসগেটের সংযোগ সড়কে ধস
Published: 13th, August 2025 GMT
পঞ্চগড়ে রাতভর ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে একটি স্লুইসগেটের সংযোগ সড়ক ধসে পড়েছে। এতে স্লুইসগেটটিও হুমকির মুখে পড়েছে। এতে স্থানীয়দের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের কুচিয়ামোড় বাজারের কুচিয়ামোড়-বন্দরপাড়া সড়কের স্লুইসগেটের সংযোগ সড়ক ধসে যায়।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাতভর ভারী বৃষ্টিপাত হয়। পানির তীব্র স্রোতে কুচিয়ামোড় বাজারের ৫টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্লুইসগেটের সংযোগ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দুই পারের হাজারো মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। পরিবহন, কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ব্যাহত হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
গাইবান্ধায় ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত
বাসের ধাক্কায় ৪ যাত্রী নিহতের ঘটনায় চালক রিমান্ডে
স্থানীয়রা জানান, এই রাস্তা ছাড়া বিকল্প সরাসরি পথ নেই। বিকল্প পথে যেতে হলে অন্তত ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদাররা বলেন, ‘‘রাত ১১টার পর দোকান বন্ধ করে বাড়ি গিয়েছিলাম। ভোরে এসে দেখি, দোকান পানিতে প্লাবিত। মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে।’’
দোকানদার জমির উদ্দিন বলেন, ‘‘আমার দোকানে বিভিন্ন মালামাল ছিল। সব মিলিয়ে প্রায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’’
কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল প্রধান বলেন, ‘‘দ্রুত অস্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ করা জরুরি।’’
পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন বলেন, ‘‘স্লুইসগেটটি সংস্কারের জন্য বরাদ্দ এসেছে। টেন্ডারও সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু এর আগে ভেঙে গেছে। পানি কমে গেলে অস্থায়ী সেতু নির্মাণ এবং দ্রুত নতুন সেতু তৈরির ব্যবস্থা নেয়া হবে।’’
ঢাকা/নাঈম/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। এর প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরো পড়ুন:
টানা বৃষ্টিতে সড়কজুড়ে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী
১০৬ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড, ঘনীভূত হতে পারে লঘুচাপ
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বর্তমানে স্থল গভীর নিম্নচাপটি উপকূলীয় ওড়িশা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সমুদ্রে অবস্থানরত মাছ ধরা ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, রংপুর বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে আজ দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে, আজ ভোর ৬টার দিকে রাজধানীতে বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখার সময় বৃষ্টির পরিমাণ কমে যায়। ঢাকার আকাশ মেঘে ঢেকে আছে।
ঢাকা/মাসুদ