বগুড়ায় অনলাইন জুয়ার টাকা নিয়ে বিরোধ, ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
Published: 14th, August 2025 GMT
বগুড়ায় অনলাইনে জুয়াখেলার টাকাপয়সা লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে রাসেল আহমেদ (২৮) নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে সদর উপজেলার চক সরতাজ সুলতানপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৬ বছরের এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। আটক কিশোর স্থানীয় একটি দোকানে কাজ করত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অনলাইনে জুয়ার টাকা নিয়ে রাসেল আহমেদ ও ওই কিশোরের মধ্যে বিরোধ চলছিল। গতকাল রাতে কিশোরটি রাসেলের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। পরে টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কিশোরটি রাসেলকে ছুরিকাঘাত করে। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান বাসির এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় এক কিশোরকে আটক করা হয়েছে। থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মহালছড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত সেতু, ৩২ হাজার মানুষের ভোগান্তি
খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে মহালছড়ি-সিঙ্গিনালা সড়কের কাপ্তাই পাড়া সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে এই সেতু দিয়ে চলাচলকারী মহালছড়ির মুবাছড়ি ইউনিয়ন, রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলার করল্যাছড়ি, সেলোন্যা, সাবেক্ষংসহ ৩০টি গ্রামের প্রায় ৩২ হাজার মানুষ।
মহালছড়ি-সিঙ্গিনালা সড়কের কাপ্তাই পাড়া সেতুটি ছোট হলেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ছোট্ট সেতুটিই উপজেলা সদরের সাথে একটি পুরো ইউনিয়নকে সংযুক্ত করেছে। জরাজীর্ণ হয়ে পড়ার পাশাপাশি এর দুই পাশের সংযোগ সড়কের দেয়াল ধসে মাটি সরে গেছে। এতে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে সেতুটি।
চলাচলের জন্য এ এলাকায় একটি বাইপাস সড়ক তৈরি করেছে এলজিইডি। তবে কাপ্তাই লেকের পানিতে সেটি ডুবে গেছে। বর্তমানে এই সেতু দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে কোনোমতে চলাচল করছেন এলাকাবাসী। তবে কোনো পণ্য বহন করতে পারছেন না। অথচ এই সেতু দিয়েই প্রায় ৩২ হাজার মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় নানা পণ্য আনা-নেওয়া করা হয়।
করল্যাছড়ি গ্রামের প্রাইমারি স্কুলশিক্ষক কুন্ডল চাকমা, সিঙ্গিনালা মেশিন পাড়া নিবাসী বেতছড়ি জেনারেল ওসমানী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুগত চাকমা ও মনাটকে গ্রামের বাসিন্দা ভবদত্ত চাকমা জানান, এই সেতুটি ছোট হলেও জন গুরুত্বপূর্ণ। সড়কের দুই পাশের ধারক দেয়াল ধসে পড়ে মাটি সরে গেছে। এতে সেতু দিয়ে চলাচল ঝুঁকিতে পড়েছে। কোনোমতে সেতুর দুই পাশের কাঠের উপর দিয়ে চলাচলের কাজ চলছে। তবে পণ্য আনা-নেওয়া করা সম্ভব হচ্ছে না।
তারা জানান, রোগী নিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে খুবই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। এলজিইডি থেকে একটি বাইপাস সড়ক তৈরি করে দিয়েছে। তবে তা এখন কাপ্তাই বাঁধের পানির নিচে ডুবে রয়েছে। দ্রুত সেতুটি নির্মাণের দাবি জানান তারা।
সেতুটি দীর্ঘ ৪০ বছর আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে করা হয়েছিল। বিগত দুই বছরের অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কের দেয়াল ভেঙে মাটি সরে যায়। এতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে সেটি।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুইতি কারবারী বলেন, “এই রাস্তা দিয়ে বহু লোকের আসা যাওয়া। সেতুটি নতুন করে নির্মাণ না হওয়ায় এলাকার লোকজনকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেতুটি দ্রুত নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।”
খাগড়াছড়ির স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা বলেন, “পরপর দুই বছরের বন্যায় দুই পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে গিয়ে সেতুটি ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এটি অনেক পুরানো সেতু। তড়িঘড়ি করে ডিজাইন করতে গিয়ে ডিজাইনে কিছু ত্রুটি ছিল। এ কারণে নতুন করে সেতু নির্মাণে দেরি হয়ে গেছে। ডিজাইন ফাইনাল হয়ে গেছে, এখন টেন্ডারে যাবে।”
ঢাকা/রূপায়ন/এস