মহালছড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত সেতু, ৩২ হাজার মানুষের ভোগান্তি
Published: 14th, August 2025 GMT
খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে মহালছড়ি-সিঙ্গিনালা সড়কের কাপ্তাই পাড়া সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে এই সেতু দিয়ে চলাচলকারী মহালছড়ির মুবাছড়ি ইউনিয়ন, রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলার করল্যাছড়ি, সেলোন্যা, সাবেক্ষংসহ ৩০টি গ্রামের প্রায় ৩২ হাজার মানুষ।
মহালছড়ি-সিঙ্গিনালা সড়কের কাপ্তাই পাড়া সেতুটি ছোট হলেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ছোট্ট সেতুটিই উপজেলা সদরের সাথে একটি পুরো ইউনিয়নকে সংযুক্ত করেছে। জরাজীর্ণ হয়ে পড়ার পাশাপাশি এর দুই পাশের সংযোগ সড়কের দেয়াল ধসে মাটি সরে গেছে। এতে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে সেতুটি।
চলাচলের জন্য এ এলাকায় একটি বাইপাস সড়ক তৈরি করেছে এলজিইডি। তবে কাপ্তাই লেকের পানিতে সেটি ডুবে গেছে। বর্তমানে এই সেতু দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে কোনোমতে চলাচল করছেন এলাকাবাসী। তবে কোনো পণ্য বহন করতে পারছেন না। অথচ এই সেতু দিয়েই প্রায় ৩২ হাজার মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় নানা পণ্য আনা-নেওয়া করা হয়।
করল্যাছড়ি গ্রামের প্রাইমারি স্কুলশিক্ষক কুন্ডল চাকমা, সিঙ্গিনালা মেশিন পাড়া নিবাসী বেতছড়ি জেনারেল ওসমানী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুগত চাকমা ও মনাটকে গ্রামের বাসিন্দা ভবদত্ত চাকমা জানান, এই সেতুটি ছোট হলেও জন গুরুত্বপূর্ণ। সড়কের দুই পাশের ধারক দেয়াল ধসে পড়ে মাটি সরে গেছে। এতে সেতু দিয়ে চলাচল ঝুঁকিতে পড়েছে। কোনোমতে সেতুর দুই পাশের কাঠের উপর দিয়ে চলাচলের কাজ চলছে। তবে পণ্য আনা-নেওয়া করা সম্ভব হচ্ছে না।
তারা জানান, রোগী নিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে খুবই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। এলজিইডি থেকে একটি বাইপাস সড়ক তৈরি করে দিয়েছে। তবে তা এখন কাপ্তাই বাঁধের পানির নিচে ডুবে রয়েছে। দ্রুত সেতুটি নির্মাণের দাবি জানান তারা।
সেতুটি দীর্ঘ ৪০ বছর আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে করা হয়েছিল। বিগত দুই বছরের অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কের দেয়াল ভেঙে মাটি সরে যায়। এতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে সেটি।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুইতি কারবারী বলেন, “এই রাস্তা দিয়ে বহু লোকের আসা যাওয়া। সেতুটি নতুন করে নির্মাণ না হওয়ায় এলাকার লোকজনকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেতুটি দ্রুত নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।”
খাগড়াছড়ির স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা বলেন, “পরপর দুই বছরের বন্যায় দুই পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে গিয়ে সেতুটি ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এটি অনেক পুরানো সেতু। তড়িঘড়ি করে ডিজাইন করতে গিয়ে ডিজাইনে কিছু ত্রুটি ছিল। এ কারণে নতুন করে সেতু নির্মাণে দেরি হয়ে গেছে। ডিজাইন ফাইনাল হয়ে গেছে, এখন টেন্ডারে যাবে।”
ঢাকা/রূপায়ন/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক প র ণ হয় এই স ত সড়ক র
এছাড়াও পড়ুন:
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নারী নিহত
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুরের রাজৈরে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাজৈর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
নিহত নিলুফা ইয়াসমিন নিলা (৩০) বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রুনসী গ্রামের আবুল বাসারের স্ত্রী।
আরো পড়ুন:
গাজীপুরে ডাম্পট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত
অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কা, মা-মেয়ে নিহত
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুয়াকাটা থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল চন্দ্রা পরিবহনের বাসটি। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর বাসস্ট্যান্ড পার হওয়ার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। পরে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিলার মরদেহ উদ্ধার করে। আহত হন অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মাদারীপুরের মস্তফাপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, বাস খাদে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। নিহত নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/বেলাল/মাসুদ