Risingbd:
2025-11-17@07:38:47 GMT

জায়েদ খানের টক শোতে অতিথি ইমন

Published: 14th, August 2025 GMT

জায়েদ খানের টক শোতে অতিথি ইমন

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাংলা গণমাধ্যম ‘ঠিকানা’র আয়োজনে শুরু হয়েছে টক শো ‘ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান’।

শোয়ের আগামী পর্বে অতিথি হিসেবে থাকছেন চিত্রনায়ক ইমন। পর্বটি প্রচারিত হবে আগামীকাল শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়, ঠিকানা টিভির ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে।

নতুন আয়োজন নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জায়েদ খান বলেন, “ইমন এবার ‘ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান’-এর অতিথি। ওর সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। শিল্পী সমিতির নির্বাচন থেকে শুরু করে নানা দায়িত্ব পালনের সময় ওর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। ছোট ভাইয়ের মতো স্নেহ করি ওকে। জীবনে অনেক ভালো সিনেমা, নাটক ও বিজ্ঞাপনে কাজ করেছে ইমন। অনেক স্মৃতিবিজড়িত কথা আর মজার আড্ডা দিয়েছি আমরা— আপনারাও উপভোগ করবেন।”

শো নিয়ে আয়োজকদের ভাষ্য, দেশ ও প্রবাসের তারকাদের সাক্ষাৎকার, প্রবাসজীবনের চড়াই-উৎরাই ও সংগ্রামের গল্প, সামাজিক বাস্তবতার প্রতিফলন এবং নতুন প্রজন্মের চিন্তা ও উদ্ভাবনের ঝলক থাকবে শোতে। আড্ডা ও মানবিক কথোপকথনের মিশেলে এই আয়োজন দর্শকের মনে ছুঁয়ে যাবে বলে আশা আয়োজকদের।

বর্তমানে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন জায়েদ খান। তবে শো-এর কাজের জন্য তিনি কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন। অভিনেতা হিসেবে তার সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘সোনার চর’, যেখানে তার সহশিল্পী ছিলেন মৌসুমী, ওমর সানী, শহীদুজ্জামান সেলিম, শবনম পারভীন ও পাপিয়া মাহি। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন জাহিদ হোসেন। 

ঢাকা/রাহাত//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রুনা লায়লার জন্মদিন: সংগীতজীবনের বর্ণময় ৬ দশকের উদ্‌যাপন

উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। সোমবার (১৭ নভেম্বর) ৭৩ বছর পূর্ণ করলেন। একইসঙ্গে পূর্ণ করলেন তার গৌরবময় সংগীত-জীবনের ৬০ বছর। উপমহাদেশের তিন দেশ—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে সমানতালে গান গেয়ে কোটি মানুষের হৃদয় জয় করেছেন রুনা লায়লা। ১৮টি ভাষায় তার গাওয়া গানের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। ফলে তিনি যে উপমহাদেশের শীর্ষ সংগীতশিল্পীদের একজন—এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বাংলাদেশের বাংলা গানকে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দেওয়ার পেছনে তার অবদান অনন্য। দেশ-বিদেশ থেকে প্রাপ্ত অগণিত স্বীকৃতির মাঝে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ তার অর্জনকে আরো মহিমান্বিত করেছে।

আরো পড়ুন:

কনসার্টে গায়ক একনের পরনের প্যান্ট নিয়ে টানাটানি

চতুর্থ সন্তানের মা হলেন কার্ডি বি

ভক্তদের কাছে রুনা লায়লার এবারের জন্মদিনটি বিশেষ। কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় মৌসুমের শেষ গানটি প্রকাশ পেয়েছে তার গাওয়া জনপ্রিয় সুফি কাওয়ালি ‘দামা দম মাস্ত কালান্দার’ দিয়ে—যে গানটি বহু বছর আগে তাকে আন্তর্জাতিক পরিচিতি এনে দিয়েছিল।

তবে জন্মদিন নিয়ে শিল্পীর বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। তিনি জানান, পরিবারকে সময় দিয়েই কাটাবেন দিনটি। ঘরোয়া পরিবেশেই উদ্‌যাপিত হবে জন্মদিন।

১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন রুনা লায়লা। সংগীতজীবনের শুরু ষাটের দশকের শেষ দিকে পাকিস্তানের চলচ্চিত্র শিল্পে। শিল্পী আহমেদ রুশদির গায়কিতে অনুপ্রাণিত হয়ে সংগীতাঙ্গনে পথচলা শুরু করা এই কণ্ঠশিল্পী দ্রুতই উর্দুভাষী শ্রোতাদের মন জয় করে নেন। ‘উনকি নজরোঁ সে মোহাব্বত কা জো পয়গাম মিলা’—এর মতো গান তাকে এনে দেয় ব্যাপক জনপ্রিয়তা।

এরপর ভারতেও ছড়িয়ে পড়ে তার কণ্ঠের জাদু। ‘ও মেরা বাবু ছৈল ছাবিলা’ তাকে পরিচিত করে তোলে সাদাকালো যুগেই। পরে সংগীত পরিচালক বাপ্পি লাহিড়ীর সঙ্গে ‘ডিস্কো দিওয়ানে’ (১৯৮২) অ্যালবাম তাকে বিশ্বব্যাপী নতুন আরেক পরিচিতির শিখরে পৌঁছে দেয়। 

যদিও তিন দেশে সাফল্য পেয়েছেন, রুনা লায়লার সংগীতজীবনের মূল ভিত্তি ছিল বাংলাদেশ। ‘দ্য রেইন’ (১৯৭৬), ‘জাদুর বাঁশি’ (১৯৭৭), ‘অ্যাক্সিডেন্ট’ (১৯৮৯), ‘অন্তরে অন্তরে’ (১৯৯৪)—সহ মোট সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ গায়িকা নির্বাচিত হয়েছেন। ‘সাধের লাউ বানাইলা মোরে বৈরাগী’, ‘বন্ধু তিনদিন তোর বাড়িতে গেলাম’—এর মতো বাংলা লোকগান তার কণ্ঠে নতুন প্রাণ পেয়েছে। 

দীর্ঘ ও সফল এই যাত্রায় মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি—এ কথা প্রায়ই উল্লেখ করেন রুনা লায়লা। তিনি বলেন, “মা আমাকে প্রচণ্ড সহযোগিতা করেছেন। ছোটবেলায় গান গাইতে গেলে মা সবসময় সঙ্গে যেতেন।”

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ