ক্ষমতার অপব‌্যবহার ক‌রে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা স‌জিব ওয়া‌জেদ জয়ের বিরু‌দ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নি‌য়ে‌ছে দুর্নী‌তি দমন ক‌মিশন (দুদক)। তিনি ৬০ কোটি ১৪ লাখা ৭৩ হাজার ৯৭০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৫৭ কোটি ৫০ লাখ ৫৪ হাজার ৩১৫ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেন বলে জানা গেছে।

বৃহস্প‌তিবার (১৪ আগস্ট) সেগুনবা‌গিচার প্রধান কার্যাল‌য়ে সংস্থা‌টির মহাপ‌রিচালক আক্তার হো‌সেন এ তথ‌্য জানান।

তি‌নি জানান, দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা; মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এর শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তার বিরুদ্ধে এ দুইটি ধারাসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন:

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলো দ্রুত দৃশ্যমান হবে

বগুড়ায় দুদকের গণশুনানি চলাকালে মঞ্চে জুতা নিক্ষেপ

দুদক জানায়, সজিব আহমেদ ওয়াজেদের নামে সর্বমোট ৫৪ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ৯৭৮ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্যাদি পাওয়া যায়। তার নামে এফডিআর, আসবাবপত্র, এবং হাতে নগদ ও ব্যাংক স্থিতি ইত্যাদিসহ মোট ৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৪ হাজার ৮৯১ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।

তার স্থাবর ও অস্থাবরসহ সর্বমোট সম্পদের পরিমাণ ৬১ কোটি ১৮ লাখ ৫ লাখ ৮৬৯ টাকা।

অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র ও তথ্যাদি পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, তার সর্বমোট ব্যয়ের পরিমাণ ২৮ লাখ ৭৬ হাজার ৬৪৩ টাকা। ব্যয়সহ তার সর্বমোট সম্পদের পরিমাণ ৬১ কোটি ১৮ লাখ ৫ হাজার ৮৬৯ টাকা।

সম্পদ অর্জনের বিপরীতে সজিব আহমেদ ওয়াজেদের গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া গেছে ১ কোটি ৩২ লাখ ৮ হাজার ৫৪২ টাকা। অর্থাৎ সজিব আহমেদ ওয়াজেদ সর্বমোট ৬০ কোটি ১৪ লাখ ৭৩ হাজার ৯৭০ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন।

দুদক জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক অসৎ উদ্দেশ্যে অসাধু উপায়ে অর্জিত জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন ৬০ কোটি ১৪ লাখ ৭৩ হাজার ৯৭০টাকার সম্পদ অর্জন করেন। হুন্ডি বা অন্য মাধ্যমে অর্থ পাচার করে আমেরিকাতে দুইটি বাড়ি ৫৪ কোটি ৪ লাখ ৩২ হাজার ২৫৮ টাকায় ক্রয় করেন। ওই টাকা বাংলাদেশের আয়কর নথিতে প্রদর্শন না করে দেশ থেকে বিদেশে পাচার করেন।

তিনি নিজের নামের দুইটি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৩ কোটি ৪৬ লাখ ২২ হাজার ৫৭ টাকা লেনদেনসহ সর্বমোট ৫৭ কোটি ৫০ লাখ ৫৪ হাজার ৩১৫ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা; মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ ক‌রে‌ছেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

তিনটি নগ্ন দৃশ্যের একটি বাদ গেল, নির্মাতা বললেন...

বহুল প্রশংসিত ‘তিতলি’র পর ‘আগ্রা’ বানিয়েছেন কানু বেহল। ছবিটি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন উৎসবে প্রশংসিতও হয়েছে। সম্প্রতি সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে ভারতের প্রেক্ষাগৃহে। সিনেমাটিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি অন্তরঙ্গ ও নগ্ন দৃশ্য। সম্প্রতি সার্টিফিকেশন বোর্ডের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছেন কানু।
বলিউড হাঙ্গামাকে নির্মাতা কানু বেহল জানান, তাঁর ‘আগ্রা’ ছবিতে সেন্সরের কাঁচি পড়েছে। একটি নগ্ন দৃশ্যসহ কিছু গালাগালের সংলাপ বাদ দেওয়া হয়েছে; এরপর ছবিটি পেয়েছে ‘এ’ বা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সার্টিফিকেট

কানু বেহলের ভাষ্য, ‘আমার অভিজ্ঞতায় সেন্সরের কাছ থেকে কোনো ধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া পাইনি। উল্টো তারা খুবই সহযোগিতা করেছে। তারা ছবিটা পছন্দ করেছে। পরিবর্তনগুলোও করেছি আমি নিজেই। তারা শুধু তিনটি শট কাটতে বলেছিল। বলেছিল, ‘‘আমরা ছবিটা পছন্দ করেছি, কাটতে চাই না; কিন্তু আজকের দিনে এ সার্টিফিকেট পেলেও নগ্নতা ও অশ্লীল ভাষা রাখা যায় না।”’

‘আগ্রা’ সিনেমার দৃশ্য। আইএমডিবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ