৫৬ রানে গেল ৯ উইকেট, বড় হার নুরুলদের
Published: 14th, August 2025 GMT
২২৭ রান তাড়া করতে নেমে ৭ ওভারেই উঠেছে ১ উইকেট ৯২। জয়ের সম্ভাবনা প্রবলই।
কিন্তু অষ্টম ওভারের প্রথম বলে আরেকটি উইকেটের পতন ঘটতেই কী যেন ঘটে গেল। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল পুরো ব্যাটিং লাইনআপ। ৭.১ ওভার থেকে ১৬.৫—পরের ১০ ওভারের মধ্যেই ৯ উইকেট হারিয়ে অলআউট ১৪৮ রানে।
আজ অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে এমনই ব্যাটিং ধস হয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের। টপ এন্ড টি-টোয়েন্টির প্রথম ম্যাচে সম্ভাবনা জাগিয়েও পাকিস্তানের কাছে নুরুল হাসানরা হেরেছেন ৭৯ রানের বড় ব্যবধানে।
টিআইও স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে রান তাড়ায় নামা বাংলাদেশ ‘এ’ প্রথম ওভারে মোহাম্মদ নাঈমের উইকেট হারালেও জিশান আলম ও সাইফ হাসানের ব্যাটে চড়ে ভালো শুরু করে। পাওয়ার প্লে শেষে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের রান হয় ১ উইকেটে ৭৪, ৭ ওভার শেষে ৯২। আগে ব্যাট করা পাকিস্তান শাহিনসের (‘এ’ দল) রান ৭ ওভার শেষে এর চেয়ে ১৪ রান কম ছিল।
বাংলাদেশের ধসের শুরুটা হয় অষ্টম ওভারের প্রথম বলে। বাঁহাতি স্পিনার মাজ সাদাকাতের প্রথম বলেই ক্যাচ দিয়ে আউট হন জিশান। সাইফের সঙ্গে ৮৬ রানের জুটিতে সঙ্গ দেওয়া জিশান ১৭ বলের ইনিংসে ৫ চার ও ১ ছক্কায় করে যান ৩৩ রান। তাঁর সঙ্গী সাইফ অবশ্য টিকেছেন আর ১২তম ওভার পর্যন্ত। মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে ইরফানের ক্যাচ হওয়ার আগে তিনি খেলেন ৩২ বলে ৫৭ রানের ইনিংস। সাইফের ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা।
জিশান ও সাইফ বাদে বাংলাদেশের পরের দিকের ব্যাটসম্যানদের কেউ আর হাল ধরতে পারেননি। আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন আফিফ হোসেন (৬), মাহিদুল ইসলাম (৬), মাহফুজুর রহমান (৩), মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীরা (২)। অধিনায়ক নুরুল হাসান কিছুক্ষণ একপ্রান্তে টিকে ছিলেন, তবে তাঁর ইনিংসটাও থেমে গেছে ১৬ বলে ২২ রানে। শেষ পর্যন্ত ১৬.
এর আগে পাকিস্তান শাহিনস দুই শর বেশি রানের সংগ্রহ গড়ে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানের ফিফটিতে চড়ে। দুই ওপেনার খাজা নাফি ৩১ বলে ৬১ এবং ইয়াসির খান ৪০ বলে ৬২ রান করেন। ১১৮ রানের উদ্বোধনী জুটির পর পাকিস্তানের রান বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান তিনে নামা আবদুল সামাদ। ৫ ছক্কা আর ১ চারে ২৭ বলে ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পক্ষে একটি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ, মাহফুজুর রহমান ও রাকিবুল হাসান।
বাংলাদেশ ‘এ’ দল পরের ম্যাচ খেলবে ১৬ আগস্ট নেপাল জাতীয় দলের বিপক্ষে। সেমিফাইনালের আগে মোট ৬টি ম্যাচ খেলবেন নুরুলরা।
পাকিস্তান শাহিনস: ২০ ওভারে ২২৭/৪ (ইয়াসির খান ৬২, খাজা নাফি ৬১, আবদুল সামাদ ৫৬*; হাসান মাহমুদ ১/৩৪, মাহফুজুর রহমান ১/৩৯)।
বাংলাদেশ এ দল: ১৬.৫ ওভারে ১৪৮ (সাইফ হাসান ৫৭, জিশান ৩৩, নুরুল ২২; সাদ মাসুদ ৩/৩০, মোহাম্মদ ওয়াসিম ২/২৪)।
ফল: পাকিস্তান শাহিনস ৭৯ রানে জয়ী।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শহীদ সাজিদের শাহাদাতবার্ষিকীতে জবি শিবিরের আলোচনা সভা
জুলাই বিপ্লবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র শহীদ শিক্ষার্থী একরামুল হক সাজিদের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া, কুরআন খতম ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে শাখা ছাত্রশিবির। একইসঙ্গে শহীদের বাবার সুস্থতা কামনায় বিশেষ মোনাজাত আয়োজন করে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) মাগরিবের নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
মাগরিবের নামাজ শেষে মসজিদের প্রধান খতিব হাফেজ মাওলানা সালাহ্ উদ্দিন ‘শাহাদাতের গুরুত্ব ও শহীদের মর্যাদা’ শীর্ষক আলোচনায় বলেন, “শহীদরা আল্লাহর পথে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেন। তাঁদের মর্যাদা আল্লাহর কাছে চিরস্থায়ী এবং জাতির ইতিহাসে অমর হয়ে থাকে।”
আরো পড়ুন:
বরিশালে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নবাব স্যার সলিমুল্লাহ স্মৃতি সংসদের নেতৃত্বে জাহিন-রাফি
শাখা শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাহেদ বলেন, “শহীদ সাজিদ আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার প্রতীক। তার আদর্শ ও ত্যাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে সাহস জোগাবে।”
আলোচনা শেষে শাখা শিবির সভাপতি মো. রিয়াজুল ইসলাম দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন। মোনাজাতে শহীদ সাজিদের রুহের মাগফিরাত, পরিবারের জন্য ধৈর্য ও সাহস এবং তার বাবার সুস্থতা কামনা করা হয়।
একরামুল হক সাজিদ ২০২৪ সালের জুলাই মাসে গণআন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী