মালয়েশিয়ার স্থানীয় শ্রমিকদের মতো সুবিধা পাবেন বাংলাদেশিরা: প্রেস
Published: 14th, August 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, “মালয়েশিয়ায় শ্রমিকরা যেসব সামাজিক সুরক্ষা সুবিধা পায়, বাংলাদেশি শ্রমিকরা এখন থেকে একই সুবিধা সে দেশ থেকে পাবেন। এছাড়া মালয়েশিয়ায় যারা যান, তাদের ইংরেজি ভাষায় দুর্বলতা আছে বা অনেকে মালয় ভাষা খুব সহজে রপ্ত করতে পারেন না। তাদের জন্য বাংলা ভাষায় অভিযোগ দাখিলের সুবিধা প্রাপ্তির কথা প্রধান উপদেষ্টার সফরে আলোচনা হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক নিয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার মালয়েশিয়া সফরের বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, “মালয়েশিয়া সফর খুবই ফলপ্রসূ ছিল। আমরা বলব, এটা একটা ল্যান্ডমার্ক ট্যুর ছিল। এর ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে মালয়েশিয়ার যে সুসম্পর্ক ছিল, সেটি আরো শক্তিশালী হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শ্রমিক কল্যাণ নিয়ে কথা হয়েছে। এটা নিয়ে আমাদের কিছু অগ্রগতি ছিল। মালয়েশিয়ায় যারা অবৈধ বা কাগজপত্রবিহীন শ্রমিক আছেন, তাদের বৈধ করার বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা বৈঠকে জানিয়েছেন। এছাড়া আমাদের পক্ষ থেকে মালয়েশিয়ায় নিরাপত্তারক্ষী এবং কেয়ার গিভার নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। আমরা আশা করছি, এ বিষয়ে সামনে অগ্রগতি দেখব। একইসঙ্গে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাজের সুযোগ দিতে ‘গ্র্যাজুয়েট প্লাস’ প্রোগ্রামের কথা বলা হয়েছে। তারা বলেছেন, এটা নিয়ে কাজ করবেন।”
শফিকুল আলম বলেন, “আমরা খুব দ্রুত মালয়েশিয়ার সঙ্গে ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট করব। মালয়েশিয়া থেকে আমরা ৩ বিলিয়ন ডলারের খাদ্য ও অন্যান্য পণ্য আমদানি করি। আমাদের মধ্যে যেন বাণিজ্য আরো ত্বরান্বিত হয়, সেজন্য এফটিএ নিয়ে আলোচনা খুব দ্রুত করব। ইতোমধ্যে আমাদের সঙ্গে জাপান, সিঙ্গাপুরের এফটিএ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।”
ঢাকা/আসাদ/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
নানা জটিলতার মধ্যে শনিবার নিটিং ওনার্স এসোসিয়েশনের নির্বাচন
অবশেষে নানা জটিলতার মধ্যেই শনিবার (১৬ আগস্ট) বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স এসোসিয়েশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যদিও এ নিয়ে প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ রয়েছে।
যদিও প্রার্থীদের দাবির মুখে ৭১ জনের মধ্যে ২৫ জন ভুয়া ভোটার বাতিল করা হয়েছে। বাকীরা রয়ে গেছে। সেই ভুয়া ভোটার নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে প্রার্থীদের মধ্যে।
জানা যায়, বর্তমান কার্যকরী কমিটি বাণিজ্য মন্ত্রনালয় থেকে কমিটির মেয়াদ ২ মাস বাড়িয়ে আগামি ২৬ আগস্ট পর্যন্ত সময় নিয়ে আসে। সেই মোতাবেক ১১ আগস্টের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার বিধি বিধান ছিল। ফলে ৯ আগস্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন ধার্য্য ছিল।
কিন্তু ৭ আগস্ট দিবাগত রাতে নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ থেকে আনিসুর রহমান সানি পদত্যাগ করেন। এতে করে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান। রাতেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী প্রার্থী ও ভোটারদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে ৯ আগস্ট নির্বাচন হচ্ছে না।
কিন্তু পরদিন ৮ আগস্ট প্রার্থীরা নোটিশ বোর্ডে দেখতে পায় নির্বাচন বোর্ডের কমিশনার মো: স্বপন চৌধুরীকে নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান করে ৯ আগস্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ঠিক রাখা হয়। এই ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে প্রার্থী ও ভোটারদের মাঝে।
পরে ৮ আগস্ট সকালে বাদশা নামে একজন ভোটার নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড বরাবর লিখিত আবেদন করেন। পরে ওইদিন বিকালে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান স্বপন চৌধুরী ৭দিন পিছিয়ে নির্বাচনের নতুন তারিখ নির্ধারন করে ১৬ আগস্ট।
এদিকে প্রার্থীদের দাবির মুখে ১৩ আগস্ট বর্তমান কার্যকরী কমিটি ৭১ জন ভুয়া ভোটারের মধ্যে ২৫ জন ভুয়া ভোটার বাতিল করেন। কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি বিধান উপক্ষো করে ১৬ আগস্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানকে আইনসম্মতভাবে দেখছেন না প্রার্থী ও সাধারণ ভোটাররা।
এ বিষয়ে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান স্বপন চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ১৬ আগস্ট নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে কেউ কোন লিখিত অভিযোগ বা অনুযোগ করেনি।