সিলেটের ভোলাগঞ্জ থেকে লুট হওয়ায় বিপুল পরিমাণ সাদা খনিজ পাথর ঢাকার ডেমরা থানার সারুলিয়া ইউনিয়নের শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে শুকুরসী ঘাটে জব্দ করেছে যৌথবাহিনীর একটি আভিযানিক দল।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও র‌্যাব-১১ বাহিনী এ অভিযান শুরু করেন। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। রাত সাড়ে ৯ টায় প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যাণ্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন। 

র‌্যাব অধিনায়ক জানান, র‌্যাবের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি কাঁচপুর সেতুর উত্তর পাশে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে শুকুরসী ঘাটে সিলেট থেকে লুট হওয়া সাদা পাথর সড়ক ও নদী পাথে আনা হয়েছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পারিচালনা করা হয়।

অভিযান টের পেয়ে ওই এলাকার পাথর ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। তখন পাথর ভাঙার মেশিন সংলগ্ন দুটি ট্রাকে সাদা পাথর লোড-আনলোড করা অবস্থায় পাওয়া যায়। পাথরের সাথে সিলেকশন বালু মিশানো থাকায় সন্দেহ হলে পাথর ভাঙার বিভিন্ন গদিতে তল্লাশী চালানো হয়।

তল্লাশীতে হুজাইফা এণ্টারপ্রাইজ, আল্লাহর দান ষ্টোন ক্রাশার, মাদবর ট্রেডার্স-২, মান্নান ভূঁইয়া এণ্টারপ্রাইজ, আলিফ বিল্ডার্স, মেসার্স ভূঁইয়া ট্রেডার্স ও ফরাজি অ্যাণ্ড ব্রাদার্সে সাদা পাথর পাওয়া যায়। এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মচারীরা পালিয়ে যাওয়া ধারণা করা হয় পাথরগুলো সিলেট থেকে লুট হওয়া পাথর হবে। ফলে কয়েকটি ট্রাক ও স্তুপ করে রাখা বিপুল পরিমাণ পাথর জব্দ করা হয়। 

তিনি বলেন, জব্দকৃত পাথরের পরিমাণ প্রাথমিকভাবে নির্নয় করা সম্ভব হয়নি। তবে আনুমানিক ৪০ হাজার ঘনফুট হতে পারে। আমাদের অভিযান এখনো শেষ হয়নি। অভিযান শেষে জব্দকৃত পাথরের পরিমাপ নির্নয় করা সম্ভব হবে। 

অভিযানে উপস্থিত রয়েছেন, র‌্যাব-১১ এর সিনিয়র এএসপি গোলাম মোরশেদ, ঢাকার কেরানীগঞ্জ দক্ষিণের এসিলেণ্ড আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হোসেন শুভ মঞ্জু ও র‌্যাব-১১ এর বিপুল সংখ্যক সদস্য। 
 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ য ব ১১

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ