এএসআই’র বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে পালানোর অভিযোগ
Published: 15th, August 2025 GMT
পাবনার চাটমোহরে শাকিল আহমেদ নামে পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শকের (এএসআই) বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাতে এ ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি জানাজানি হয় শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে। এ নিয়ে চাটমোহর উপজেলায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।
চাটমোহর থানার এএসআই শাকিল আহমেদ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাসিন্দা। তিনি বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জনক।
আরো পড়ুন:
মাদারীপুরে অস্ত্রসহ ‘কোপা সামচু’ গ্রেপ্তার
নৌকায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরো এক জেলের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ৩
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং বর্তমানে সৌদি আরবে থাকা শহিদুল ইসলামের স্ত্রী মাসুরা খাতুন কয়েক মাস আগে একটি কাজে থানায় আসেন। সেখানে এএসআই শাকিল আহমেদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এর সূত্র ধরে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জড়িয়ে পড়েন পরকীয়ায়। অতিসম্প্রতি মাসুরা খাতুন শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চাটমোহর থানার পেছনে চৌধুরীপাড়া মহল্লায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। সেখানে প্রতিনিয়ত শাকিল আহমেদের যাতায়াত ছিল। মঙ্গলবার কুষ্টিয়ায় একটি আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার কথা বলে থানা থেকে বের হন শাকিল আহমেদ। এরপর থেকে মাসুরা খাতুনকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার শাকিল আহমেদের থানায় ফেরার কথা থাকলেও শুক্রবার পর্যন্ত তিনি ফেরেননি।
এদিকে, মাসুরা খাতুনের শ্বশুর বজলুর রহমান বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও পুত্রবধূকে না পেয়ে এবং এএসআই শাকিলের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কের বিষয়টি জানার পর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। মাসুরা দুই সন্তানের জননী। শুক্রবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
এ বিষয়ে জানার জন্য এএসআই শাকিলের মোবাইল ফোনে বার বার কল করা হলেও ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) আরজুমা আকতার বলেছেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এএসআই শাকিল কেন থানায় উপস্থিত নেই, সে বিষয়ে আগে প্রতিবেদন করা হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঢাকা/শাহীন/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এএসআই শ ক ল শ ক ল আহম দ ব ষয়ট উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
থানাহাজতে ফাঁস দিয়ে তরুণের আত্মহত্যার চেষ্টা, সিসি ক্যামেরায় দেখে উদ্ধার
পটুয়াখালীর বাউফল থানাহাজতে কম্বল ছিঁড়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন চুরির অভিযোগে আটক রাকিব সিকদার (২০) নামের এক তরুণ। সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখে পুলিশ তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে।
রাকিব সিকদার বাউফল পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাহাবুদ্দিন সিকদারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে পৌরসভার চন্দ্রপাড়া সড়কের পাশে আইনজীবী শহিদুল ইসলামের বাসভবনে চুরির অভিযোগে স্থানীয় লোকজন রাকিবকে আটক করে পুলিশে দেন। পরে তাঁকে থানাহাজতে রাখা হয়। হাজতে তিনি একাই ছিলেন। রাত নয়টার দিকে দায়িত্বে থাকা সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহীন হাওলাদার সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখতে পান, রাকিব কম্বল ছিঁড়ে গ্রিলের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে হাজতের দরজা খুলে তাঁকে উদ্ধার করেন।
এএসআই শাহীন হাওলাদার বলেন, ‘সিসিটিভি ক্যামেরায় হঠাৎ চোখ পড়তেই দেখি, রাকিব গলায় ফাঁস দিচ্ছে। সিসিটিভি ক্যামেরার দিকে নজর না পড়লে হয়তো কোনো অঘটনা ঘটত।’
আত্মহত্যার চেষ্টার বিষয়ে রাকিব বলেন, তিনি ওই বাসভবনের নিচে গাঁজা সেবন করেছিলেন, চুরি করেননি। কিন্তু তাঁকে চুরির অভিযোগে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে দিয়েছেন। চুরির অপবাদ সইতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, ‘আসামিদের সুবিধার জন্য কম্বল দেওয়া হয়। সেই কম্বল দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা—এমন ঘটনা আগে দেখিনি। ভাগ্য ভালো, দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার সিসি ক্যামেরায় নজর পড়েছে, তাই কোনো অঘটন ঘটেনি।’ তিনি জানান, রাকিবকে চুরি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।