কুমিল্লা নগরীতে দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে বেহাল সড়ক
Published: 15th, August 2025 GMT
কুমিল্লা নগরীতে প্রবেশের প্রধান সড়কগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কান্দিরপাড়-আলেখারচর, টমছম ব্রিজ-বাখরাবাদ, কান্দিরপাড়-ধর্মপুর ও টমছম ব্রিজ-কোটবাড়ি সড়ক ধীরে ধীরে চলাচলের অনুপযোগী হচ্ছে। ছোট-বড় গর্ত, উঠে যাওয়া কার্পেটিং, ভাঙাচোরা পিচ ও জলাবদ্ধতার কারণে জনদুর্ভোগ বাড়ছে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি সত্ত্বেও প্রতিদিন হাজারো যাত্রী, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, অটোরিকশা ও ভারী যানবাহন এসব সড়কে চলতে বাধ্য হচ্ছে।
কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় থেকে আলেখারচর বিশ্বরোড পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক ভাঙা, পিচ উঠে গেছে, ছড়িয়ে আছে পাথর। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ কুমিল্লায় আসা-যাওয়া করেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিনের অবহেলার কারণে সড়কটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। বৃষ্টির সময় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে পানিও নিচে থাকা গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শাসনগাছা ফ্লাইওভার, দুর্গাপুর দিঘিরপাড় বাজার ও আলেখারচর এলাকায় গাড়ি হেলে-দুলে চলছে।
টমছম ব্রিজ-মেডিকেল কলেজ-বাখরাবাদ সড়কে বড় বড় গর্তে পানি জমে জলাশয়ের মতো হয়েছে। এই সড়ক দিয়ে পোশাককর্মী ও শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ চলাচল করেন। ইবনে তাইমিয়া স্কুল, ইপিজেড, পিবিআই, সদর উপজেলা পরিষদ ও বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানিসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান এ সড়কের দুই পাশে অবস্থিত।
দেখা গেছে, সড়কে গর্ত থাকায় গাড়িগুলো দুর্ঘটনায় পড়ছে। ফলে, দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সও সঠিক সময়ে হাসপাতালে পৌঁছাতে পারছে না।
কান্দিরপাড় থেকে রাণীর বাজার হয়ে ধর্মপুর পর্যন্ত সড়ক দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে ভাঙাচোরা। সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটুসমান পানি জমে যায়। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় পানি দীর্ঘ সময় জমে থাকে। ভাঙা অংশ ও লুকানো গর্ত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের জন্য ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সংস্কারের দাবি জানালেও এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় টমছম ব্রিজ থেকে কোটবাড়ি বিশ্বরোড পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সড়ক বড় বড় গর্ত ও কাদা দিয়ে ভরা। ফলে, যানবাহনগুলো ধীরে চলতে বাধ্য হচ্ছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীদের জন্য এ সড়ক এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.
সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের কুমিল্লা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তাফা জানিয়েছেন, টমছম ব্রিজ থেকে কোটবাড়ি, বাখরাবাদ ও কান্দিরপাড়-আলেখারচর সড়কের কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। বর্ষাকাল শেষে কাজ শুরু হবে।
ঢাকা/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লা নগরীতে দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে বেহাল সড়ক
কুমিল্লা নগরীতে প্রবেশের প্রধান সড়কগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কান্দিরপাড়-আলেখারচর, টমছম ব্রিজ-বাখরাবাদ, কান্দিরপাড়-ধর্মপুর ও টমছম ব্রিজ-কোটবাড়ি সড়ক ধীরে ধীরে চলাচলের অনুপযোগী হচ্ছে। ছোট-বড় গর্ত, উঠে যাওয়া কার্পেটিং, ভাঙাচোরা পিচ ও জলাবদ্ধতার কারণে জনদুর্ভোগ বাড়ছে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি সত্ত্বেও প্রতিদিন হাজারো যাত্রী, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, অটোরিকশা ও ভারী যানবাহন এসব সড়কে চলতে বাধ্য হচ্ছে।
কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় থেকে আলেখারচর বিশ্বরোড পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক ভাঙা, পিচ উঠে গেছে, ছড়িয়ে আছে পাথর। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ কুমিল্লায় আসা-যাওয়া করেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিনের অবহেলার কারণে সড়কটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। বৃষ্টির সময় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে পানিও নিচে থাকা গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শাসনগাছা ফ্লাইওভার, দুর্গাপুর দিঘিরপাড় বাজার ও আলেখারচর এলাকায় গাড়ি হেলে-দুলে চলছে।
টমছম ব্রিজ-মেডিকেল কলেজ-বাখরাবাদ সড়কে বড় বড় গর্তে পানি জমে জলাশয়ের মতো হয়েছে। এই সড়ক দিয়ে পোশাককর্মী ও শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ চলাচল করেন। ইবনে তাইমিয়া স্কুল, ইপিজেড, পিবিআই, সদর উপজেলা পরিষদ ও বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানিসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান এ সড়কের দুই পাশে অবস্থিত।
দেখা গেছে, সড়কে গর্ত থাকায় গাড়িগুলো দুর্ঘটনায় পড়ছে। ফলে, দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সও সঠিক সময়ে হাসপাতালে পৌঁছাতে পারছে না।
কান্দিরপাড় থেকে রাণীর বাজার হয়ে ধর্মপুর পর্যন্ত সড়ক দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে ভাঙাচোরা। সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটুসমান পানি জমে যায়। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় পানি দীর্ঘ সময় জমে থাকে। ভাঙা অংশ ও লুকানো গর্ত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের জন্য ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সংস্কারের দাবি জানালেও এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় টমছম ব্রিজ থেকে কোটবাড়ি বিশ্বরোড পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সড়ক বড় বড় গর্ত ও কাদা দিয়ে ভরা। ফলে, যানবাহনগুলো ধীরে চলতে বাধ্য হচ্ছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীদের জন্য এ সড়ক এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন চিশতী বলেছেন, টমছম ব্রিজ থেকে বাখরাবাদ পর্যন্ত সড়ক সংস্কারে কাজ শুরু হয়েছে। বর্ষা মৌসুম শেষে সব সড়ক সংস্কার করা হবে।
সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের কুমিল্লা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তাফা জানিয়েছেন, টমছম ব্রিজ থেকে কোটবাড়ি, বাখরাবাদ ও কান্দিরপাড়-আলেখারচর সড়কের কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। বর্ষাকাল শেষে কাজ শুরু হবে।
ঢাকা/রফিক