মেজর লিগ সকারে পা রাখতেই যেন সারা বিশ্ব মাতিয়ে তুলেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার তারকা সন হিউং-মিন। লস এঞ্জেলেস এফসির নতুন সদস্য হওয়ার মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি ভেঙে ফেলেছেন লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতো কিংবদন্তিদের রেকর্ড।

ক্লাবের সহ-সভাপতি ও জেনারেল ম্যানেজার জন থরিংটনের ভাষায়, সনের নাম্বার ৭ জার্সি এখন শুধু এমএলএস নয়, পুরো বিশ্বের সব খেলোয়াড়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া জার্সি। এমনকি লেব্রন জেমস বা স্টিফেন ক্যারির মতো বিশ্বখ্যাত বাস্কেটবল তারকারাও তার এই বিক্রির স্রোতের পেছনে পড়ে গেছেন।

গত ৭ আগস্ট টটেনহাম হটস্পার থেকে ১৯.

৫ মিলিয়ন পাউন্ডে সন লস এঞ্জেলেসে পা রাখেন। যা এমএলএস ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ট্রান্সফার ফি। এরপর থেকে স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শক, উচ্ছ্বসিত সমর্থক আর টিকিট বিক্রির হুড়োহুড়ি যেন থামছেই না।

আরো পড়ুন:

চোট কাটিয়ে ফেরার পথে মেসি, মায়ামি ভক্তদের আশার আলো

নেই মেসি, হারল মায়ামি

ক্লাবের অফিসিয়াল স্টোরে সনের ৭ নম্বর জার্সির দাম ধরা হয়েছে ১৯৫ ডলার। বিক্রির হার এতটাই বেশি যে ডেলিভারিতেও দেখা দিয়েছে বিলম্ব। মাঠে পা রাখার আগেই সমর্থকদের হৃদয় জিতে নেওয়ার এই সাফল্য সনের ক্যারিয়ারে যেন নতুন এক অধ্যায় রচনা করল।

এ পর্যন্ত ঠিক কতো লাখ বিক্রি হয়েছে সেটা নির্দিষ্ট করে না জানালেও কেউ কেউ ধারণা করছেন এক সপ্তাহেই সংখ্যাটা ৫ লক্ষাধিক। যেখানে মেসি ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর প্রথম মাসে ৫ লাখ জার্সি বিক্রি হয়েছিল।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

রুনা লায়লার জন্মদিন: সংগীতজীবনের বর্ণময় ৬ দশকের উদ্‌যাপন

উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। সোমবার (১৭ নভেম্বর) ৭৩ বছর পূর্ণ করলেন। একইসঙ্গে পূর্ণ করলেন তার গৌরবময় সংগীত-জীবনের ৬০ বছর। উপমহাদেশের তিন দেশ—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে সমানতালে গান গেয়ে কোটি মানুষের হৃদয় জয় করেছেন রুনা লায়লা। ১৮টি ভাষায় তার গাওয়া গানের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। ফলে তিনি যে উপমহাদেশের শীর্ষ সংগীতশিল্পীদের একজন—এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বাংলাদেশের বাংলা গানকে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দেওয়ার পেছনে তার অবদান অনন্য। দেশ-বিদেশ থেকে প্রাপ্ত অগণিত স্বীকৃতির মাঝে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ তার অর্জনকে আরো মহিমান্বিত করেছে।

আরো পড়ুন:

কনসার্টে গায়ক একনের পরনের প্যান্ট নিয়ে টানাটানি

চতুর্থ সন্তানের মা হলেন কার্ডি বি

ভক্তদের কাছে রুনা লায়লার এবারের জন্মদিনটি বিশেষ। কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় মৌসুমের শেষ গানটি প্রকাশ পেয়েছে তার গাওয়া জনপ্রিয় সুফি কাওয়ালি ‘দামা দম মাস্ত কালান্দার’ দিয়ে—যে গানটি বহু বছর আগে তাকে আন্তর্জাতিক পরিচিতি এনে দিয়েছিল।

তবে জন্মদিন নিয়ে শিল্পীর বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। তিনি জানান, পরিবারকে সময় দিয়েই কাটাবেন দিনটি। ঘরোয়া পরিবেশেই উদ্‌যাপিত হবে জন্মদিন।

১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন রুনা লায়লা। সংগীতজীবনের শুরু ষাটের দশকের শেষ দিকে পাকিস্তানের চলচ্চিত্র শিল্পে। শিল্পী আহমেদ রুশদির গায়কিতে অনুপ্রাণিত হয়ে সংগীতাঙ্গনে পথচলা শুরু করা এই কণ্ঠশিল্পী দ্রুতই উর্দুভাষী শ্রোতাদের মন জয় করে নেন। ‘উনকি নজরোঁ সে মোহাব্বত কা জো পয়গাম মিলা’—এর মতো গান তাকে এনে দেয় ব্যাপক জনপ্রিয়তা।

এরপর ভারতেও ছড়িয়ে পড়ে তার কণ্ঠের জাদু। ‘ও মেরা বাবু ছৈল ছাবিলা’ তাকে পরিচিত করে তোলে সাদাকালো যুগেই। পরে সংগীত পরিচালক বাপ্পি লাহিড়ীর সঙ্গে ‘ডিস্কো দিওয়ানে’ (১৯৮২) অ্যালবাম তাকে বিশ্বব্যাপী নতুন আরেক পরিচিতির শিখরে পৌঁছে দেয়। 

যদিও তিন দেশে সাফল্য পেয়েছেন, রুনা লায়লার সংগীতজীবনের মূল ভিত্তি ছিল বাংলাদেশ। ‘দ্য রেইন’ (১৯৭৬), ‘জাদুর বাঁশি’ (১৯৭৭), ‘অ্যাক্সিডেন্ট’ (১৯৮৯), ‘অন্তরে অন্তরে’ (১৯৯৪)—সহ মোট সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ গায়িকা নির্বাচিত হয়েছেন। ‘সাধের লাউ বানাইলা মোরে বৈরাগী’, ‘বন্ধু তিনদিন তোর বাড়িতে গেলাম’—এর মতো বাংলা লোকগান তার কণ্ঠে নতুন প্রাণ পেয়েছে। 

দীর্ঘ ও সফল এই যাত্রায় মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি—এ কথা প্রায়ই উল্লেখ করেন রুনা লায়লা। তিনি বলেন, “মা আমাকে প্রচণ্ড সহযোগিতা করেছেন। ছোটবেলায় গান গাইতে গেলে মা সবসময় সঙ্গে যেতেন।”

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ