প্রয়াত কিংবদন্তি স্পিনার শেন ওয়ার্ন ক্রিকেট মাঠে কীভাবে ব্যাটসম্যানদের বিভ্রান্ত করতেন, সেই গল্প সবার জানা। একইভাবে কিছু অদ্ভুত কাণ্ড করে খাওয়াদাওয়ার টেবিলেও তিনি নাকি চমকে দিতেন, জানিয়েছেন শেন ওয়ার্নের ছেলে জ্যাকসন ওয়ার্ন।

ওয়ার্নের খাদ্যাভ্যাস ছিল আশ্চর্য রকমের সরল ও শিশুসুলভ। তিনি প্রায়ই বলতেন, জীবনে কখনো সবজি খাননি, বেশির ভাগ ফলও এড়িয়ে চলতেন। তাঁর পছন্দের খাবারের তালিকায় ছিল পিৎজা, পাস্তা, বেকন স্যান্ডউইচ ইত্যাদি। বিশেষ করে স্প্যাগেটি বোলোনিজ ছিল তাঁর ভীষণ প্রিয় এবং তাতে থাকতে হবে অতিরিক্ত চিজ! আর সালাদ? স্প্যাগেটি বোলোনিজে এর ছিটেফোঁটাও থাকতে পারবে না।

মিষ্টির প্রতি ওয়ার্নের দুর্বলতা ছিল ভীষণ। আইসক্রিম, ললিসের জন্য পাগল ছিলেন। এ ছাড়া টোস্টের ওপর বেকড বিনসও ওয়ার্নের পছন্দের ছিল। একবার ভারত সফরে গিয়ে তিনি স্থানীয় খাবারের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পেরে নিজের জন্য ক্যানভর্তি বেকড বিনস অস্ট্রেলিয়া থেকে আনিয়েছিলেন।

সামুদ্রিক খাবার ওয়ার্ন একেবারেই পছন্দ করতেন না। মাছের গন্ধ ও গঠন কোনোটাই তাঁর সহ্য হয় না। বন্ধুরা মজা করে বলতেন, ওয়ার্নের খাদ্যতালিকা নাকি কিশোর বয়সী কারও সঙ্গে বেশি মানানসই, পেশাদার ক্রীড়াবিদের সঙ্গে নয়।

কখনো সবজি খেতেন না ওয়ার্ন।.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সীতাকুণ্ডে পুরোনো জাহাজের নিরাপত্তা সরঞ্জামের তিন দোকানে আগুন, মহাসড়কে যানজট

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পুরোনো জাহাজের নিরাপত্তা সরঞ্জামের (ফায়ার সেফটি আইটেম) তিনটি দোকান পুড়ে গেছে। আজ শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের চেয়ারম্যানঘাটা এলাকার মেঘনা ব্যাংকসংলগ্ন শিবলী মার্কেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  এ কারণে রাত সাড়ে আটটা থেকে সোয়া ১১টা পর্যন্ত মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।

মার্কেটটির মালিক উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি কুতুব উদ্দিন। দোকানগুলোর মালিক মো. জয়নাল আবেদীন ও খোকন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, দোকানগুলোতে পুরোনো জাহাজের নিরাপত্তা সরঞ্জাম, শিল্পীদের আঁকা ছবি ও ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ বিক্রি হতো।

পাশের ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম বলেন, আগুন লাগার পর মহাসড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, এর ফলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় ৪৫ মিনিট পরে কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। রাত ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

দোকান পুড়ে যাওয়ার সময় কুতুব উদ্দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভে এসে ফায়ার সার্ভিসের দেরি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, দীর্ঘ যানজটের কারণে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে, তবে কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে জানা যাবে। কেউ হতাহত হননি।

আগুন নেভানোর সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে। আজ রাত সাড়ে ১০টায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ