মাঠে কিংবদন্তি, খাবারের টেবিলে শিশু—শেন ওয়ার্নের অদ্ভুত খাদ্যাভ্যাস
Published: 15th, August 2025 GMT
প্রয়াত কিংবদন্তি স্পিনার শেন ওয়ার্ন ক্রিকেট মাঠে কীভাবে ব্যাটসম্যানদের বিভ্রান্ত করতেন, সেই গল্প সবার জানা। একইভাবে কিছু অদ্ভুত কাণ্ড করে খাওয়াদাওয়ার টেবিলেও তিনি নাকি চমকে দিতেন, জানিয়েছেন শেন ওয়ার্নের ছেলে জ্যাকসন ওয়ার্ন।
ওয়ার্নের খাদ্যাভ্যাস ছিল আশ্চর্য রকমের সরল ও শিশুসুলভ। তিনি প্রায়ই বলতেন, জীবনে কখনো সবজি খাননি, বেশির ভাগ ফলও এড়িয়ে চলতেন। তাঁর পছন্দের খাবারের তালিকায় ছিল পিৎজা, পাস্তা, বেকন স্যান্ডউইচ ইত্যাদি। বিশেষ করে স্প্যাগেটি বোলোনিজ ছিল তাঁর ভীষণ প্রিয় এবং তাতে থাকতে হবে অতিরিক্ত চিজ! আর সালাদ? স্প্যাগেটি বোলোনিজে এর ছিটেফোঁটাও থাকতে পারবে না।
মিষ্টির প্রতি ওয়ার্নের দুর্বলতা ছিল ভীষণ। আইসক্রিম, ললিসের জন্য পাগল ছিলেন। এ ছাড়া টোস্টের ওপর বেকড বিনসও ওয়ার্নের পছন্দের ছিল। একবার ভারত সফরে গিয়ে তিনি স্থানীয় খাবারের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পেরে নিজের জন্য ক্যানভর্তি বেকড বিনস অস্ট্রেলিয়া থেকে আনিয়েছিলেন।
সামুদ্রিক খাবার ওয়ার্ন একেবারেই পছন্দ করতেন না। মাছের গন্ধ ও গঠন কোনোটাই তাঁর সহ্য হয় না। বন্ধুরা মজা করে বলতেন, ওয়ার্নের খাদ্যতালিকা নাকি কিশোর বয়সী কারও সঙ্গে বেশি মানানসই, পেশাদার ক্রীড়াবিদের সঙ্গে নয়।
কখনো সবজি খেতেন না ওয়ার্ন।.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে।
তবে, কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিক পতনের ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ হাজার ৭০০ পয়েন্টের ঘরে নেমেছে।
আরো পড়ুন:
প্রথম প্রান্তিকে ইউনিক হোটেল ও ইফাদ অটোসের মুনাফায় বড় উত্থান
ডিএসইতে সূচকের উত্থান, সিএসইতে পতন
আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসই ও সিএসইতে আজ টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বেড়েছে।
বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। সোমবার সকালে ডিএসইএক্স সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। তবে, লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর থেকে সূচকের উত্থান দেখা যায়। লেনদেন শেষ হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪২.৮০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৭৭৪ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৫.২৯ পয়েন্ট বেড়ে ১০০০ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৯.৩৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৭৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৩২২টি কোম্পানির, কমেছে ৩৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬টির।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩৪৮ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৯৮ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৮.৯৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮ হাজার ২৮৭ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪১.৬৯ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৩৬৮ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৫.১১ পয়েন্ট কমে ৮৪৫ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ১৬.৮৭ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ১১৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ১৫৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১০০টি কোম্পানির, কমেছে ৪৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১১টির।
সিএসইতে ১৪ কোটি৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি/রফিক