সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর জামায়াতের লোক। বিভিন্ন আদালত ও উচ্চ আদালতের বিচারক যারা হচ্ছে, তারা জামায়াতের লোক। আর আমরা কী করছি? লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ড, ফেরিঘাট দখল করছি।’ গত শুক্রবার জেলা শহরের নিজস্ব বাসভবনে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমি জামায়াতের বদনাম করছি না। আমি শুধু দুটি জিনিসের তফাত দেখালাম। শুধু নেতা হলেই হবে না, নেতার কোয়ালিটি থাকতে হবে। নেতা যদি মনে করে চান্দাবাজি করাই তার কাজ, দখলবাজি করাই তার কাজ, তাহলে নেতৃত্ব দেবে কখন?’ এর আগে গত মঙ্গলবার দুমকি উপজেলায় আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ‘পটুয়াখালীতে এখন আর আওয়ামী লীগ নেই; চাঁদা দিয়ে সব বিএনপি হয়ে গেছে। ২০২৪ সালের আগস্ট–পরবর্তী সময়ে পটুয়াখালীতে যারা চাঁদাবাজি, দখলবাজি, লুটপাট করেছে, তাদের নাম–ঠিকানা–ছবিসহ আমাদের ও সব গোয়েন্দা সংস্থার কাছে আছে। সময়মতো হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেব, কেউ পালানোর পথও পাবে না।’

স্থানীয় বিএনপির উদ্দেশে আলতাফ হোসেন চৌধুরীর দেওয়া বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নানা মহলে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গাজী আশফাকুর রহমান বলেন, ‘লঞ্চঘাট, বাসটার্মিনাল ইজারার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। তিনি এক–এগারোর সময় দলের বিরুদ্ধে আত্মঘাতী বক্তব্য দিয়েছেন, এখনো তা–ই করছেন।’

আলতাফ হোসেন চৌধুরীর বক্তব্যের বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান। তবে জেলা বিএনপির সভাপতি স্নেহাংশু সরকার বলেন, ‘এ ধরনের আত্মঘাতী বক্তব্য তিনি বুঝে দিয়েছেন নাকি না বুঝে দিয়েছেন, সে বিষয়ে আমি বোধগম্য নই। এ ধরনের বক্তব্যের কারণে তিনি মানুষের কাছে এখন হাসির পাত্র।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আলত ফ হ স ন চ ধ র ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ