ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান সমন্বয়ক ফরহাদ হোসেন খান দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। রবিবার (১৭ আগস্ট) দলের মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ বরাবর তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।

পদত্যাগপত্রের অনুলিপি ফরিদপুর জেলা এনসিপির আহ্বায়ক, নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নগরকান্দা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং নগরকান্দা প্রেস ক্লাবে পাঠিয়েছেন।

ফরহাদ হোসেন খান পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেন, ‘‘গত ৪ জুন কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নগরকান্দা উপজেলা এনসিপির সমন্বয়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটিতে আমাকে প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলেও কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ায় আমার সঙ্গে আলোচনা বা পরামর্শ করা হয়নি। এই প্রক্রিয়া গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থি বলে মনে করি, যা তার পদত্যাগের মূল কারণ।’’

আরো পড়ুন:

ফরিদপুরে এনসিপি নেতার পদত্যাগ

মাদারীপুরে এনসিপির ৪ নেতার পদত্যাগ

ফরহাদ হোসেন খান পদত্যাগের বিষয়ে বলেন, ‘‘আমাকে না জানিয়ে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে, যা আমি মেনে নিতে পারিনি। এর প্রতিবাদ হিসেবে আমি দল থেকে পদত্যাগ করেছি। এনসিপির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আমি আর জড়িত থাকব না।’’ 

এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী এস এম জাহিদ বলেন, ‘‘রাজনীতিতে প্রত্যেকের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা রয়েছে। তবে আমি এখনো ফরহাদ হোসেন খানের পদত্যাগপত্র হাতে পাইনি।’’ 

ফরিদপুর জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী সৈয়দা নীলিমা দোলার ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

ঢাকা/তামিম/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পদত য গ এনস প ফরহ দ হ স ন খ ন পদত য গপত র র পদত য গ নগরক ন দ এনস প র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মাছবোঝাই পিকআপ খাদে, এলাকাবাসীর মাছ ধরার ‘উৎসব’

ফরিদপুরের নগরকান্দায় মাছবোঝাই একটি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। এরপর খাদে ছড়িয়ে পড়া মাছ ধরতে স্থানীয় লোকজন ভিড় করেন। আজ শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের যদুরদিয়া এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পশ্চিম পাশে।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাবদা মাছবোঝাই পিকআপটি গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গার দিকে যাচ্ছিল। রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যদুরদিয়া এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি খাদে পড়ে যায়। এতে গাড়িতে থাকা মাছের ঝুড়িগুলো পানিতে তলিয়ে যায় এবং মাছ ছড়িয়ে পড়ে।

দুর্ঘটনার দুই ঘণ্টা পর ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে রেকার দিয়ে পিকআপটি তোলা হয়। ওই সময় গাড়ির লোকজন যতটা সম্ভব মাছ উদ্ধার করে গাড়ি নিয়ে চলে যান। এরপর সকাল ছয়টা থেকে আশপাশের গ্রাম থেকে মানুষ মাছ ধরতে খাদে নামেন। নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ—সবাই মাছ ধরায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। মহাসড়কের ধারে দাঁড়িয়ে বহু মানুষ এ দৃশ্য উপভোগ করেন। কেউ খ্যাপলা জাল, কেউ গামছা, আবার কেউ হাত দিয়ে মাছ ধরতে থাকেন।

সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মাছ ধরার প্রতিযোগিতায় যেন কেউ কারও থেকে পিছিয়ে থাকতে চান না। এক বালতি মাছ হাতে খাদ থেকে উঠলেন ফাতেমা বেগম (২৮)। তিনি জানান, প্রায় ১০ কেজি মাছ ধরতে পেরেছেন। হাসতে হাসতে বলেন, ‘আমার থেকে অনেক বেশি মাছ ধরেছে অনেকে।’

স্থানীয় বাসিন্দা হারুন অর রশিদ (৫৫) বলেন, খবর পেয়ে গ্রামের মানুষ ছুটে আসে। এরপর শুরু হয় মাছ ধরার ধুম।

মাছ ধরার খবর শুনে সেখানে এসেছিলেন ভাঙ্গার মহেশ্বর্দী গ্রামের মাইনুদ্দীন আহমেদ (৩৫)। তিনি বলেন, সবাই পাবদা মাছ ধরছেন। কেউ খালি হাতে ফেরেননি। কেউ ১৫ কেজি, কেউ আধা মণ পর্যন্ত মাছ পেয়েছেন।

পিকআপটি কোথা থেকে এসেছিল, কোথায় যাচ্ছিল কিংবা মাছের পরিমাণ ও মালিকের পরিচয় জানা যায়নি। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রকিবুজ্জামান বলেন, আজ ভোরে নগরকান্দার যদুরদিয়ায় মাছবোঝাই একটি পিকআপ খাদে পড়ে যায়। তবে এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘আমি এনসিপির রাজনীতি করি, নিজেই জানি না’
  • মাছবোঝাই পিকআপ খাদে, এলাকাবাসীর মাছ ধরার ‘উৎসব’