হিলি বন্দর দিয়ে আবার ঢুকছে ভারতের পেঁয়াজ
Published: 17th, August 2025 GMT
প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। রবিবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তিনটি ট্রাকে ৯০ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ বাংলাদেশে ঢুকেছে বলে স্থানীয় আমদানিকারকেরা জানিয়েছেন।
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী ইউসুফ আলী বলেন, ‘‘সর্বশেষ গত ২ মার্চ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছিল। এরপর দেশি পেঁয়াজের দাম কম ও ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা কমে যাওয়ায় আমদানিকারকেরা ভারত থেকে আর পেঁয়াজ আমদানি করেননি।’’
‘‘তবে, সম্প্রতি দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানিকারকেরা পেঁয়াজ আমদানির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। পরে পাঁচ আমদানিকারককে ১৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। রবিবার তিনটি ট্রাকে ৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে ঢুকেছে।’’- যোগ করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
চীনকে শাস্তি দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই: ট্রাম্প
আমদানির অনুমতি পাওয়া নওগাঁর জগদীশ চন্দ্র রায় এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি রাশেদ বলেন, ‘‘দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। আমরা ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছি। রবিবার বিকেলে আমাদের পেঁয়াজ বাংলাদেশে ঢুকেছে।’’
এদিকে, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে দেশি সবজি ব্যবসায়ীদের। এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় বিরামপুরের কাটলাবাজারের সবজি ব্যবসায়ী মেহেদী হাসানের।
তিনি বলেন, ‘‘বাজারে আজ প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। শুনেছি, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম কমতে শুরু করবে। তখন আগের দামে কেনা পেঁয়াজ লোকসানে বিক্রি করতে হবে।’’
ঢাকা/মোসলেম/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আমদ ন য় জ আমদ ন র ম ট র ক টন আমদ ন ক
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে।
তবে, কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিক পতনের ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ হাজার ৭০০ পয়েন্টের ঘরে নেমেছে।
আরো পড়ুন:
প্রথম প্রান্তিকে ইউনিক হোটেল ও ইফাদ অটোসের মুনাফায় বড় উত্থান
ডিএসইতে সূচকের উত্থান, সিএসইতে পতন
আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসই ও সিএসইতে আজ টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বেড়েছে।
বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। সোমবার সকালে ডিএসইএক্স সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। তবে, লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর থেকে সূচকের উত্থান দেখা যায়। লেনদেন শেষ হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪২.৮০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৭৭৪ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৫.২৯ পয়েন্ট বেড়ে ১০০০ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৯.৩৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৭৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৩২২টি কোম্পানির, কমেছে ৩৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬টির।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩৪৮ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৯৮ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৮.৯৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮ হাজার ২৮৭ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪১.৬৯ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৩৬৮ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৫.১১ পয়েন্ট কমে ৮৪৫ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ১৬.৮৭ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ১১৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ১৫৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১০০টি কোম্পানির, কমেছে ৪৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১১টির।
সিএসইতে ১৪ কোটি৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি/রফিক