চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরা স্টেশন এলাকায় তেলবাহী ট্রেনের পাঁচটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে আমনুরা-রহনপুর স্টেশনের মেইন রেললাইন ব্লক হয়ে গেছে।

আটকা পড়েছে রাজশাহীগামী একটি কমিউটার ও ঈশ্বরদীগামী আরেকটি যাত্রীবাহী ট্রেন। এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। রবিবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে, এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

রহনপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার জুনায়েদ আল মামুন বলেন, ‘‘তেলবাহী ট্রেনটি খুলনা থেকে আমনুরা বিদ্যুৎ পাওয়ার প্লান্টে যাচ্ছিল। এতে মোট ৩০টি ওয়াগন ছিল, এর মধ্যে পাঁচটি লাইনচ্যুত হয়েছে।’’

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে ট্রেন আটকে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ 

৬ ঘণ্টা পর রেলপথ ছাড়লেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

তিনি আরো বলেন, ‘‘ট্রেনটি আমনুরা স্টেশনে প্রবেশের সময় লাইনচ্যুত হয়। এতে আমনুরা-রহনপুর স্টেশনের মেইন রেললাইন ব্লক হয়ে দুটি ট্রেন আটকা পড়েছে। প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনার কারণ জানা যায়নি।’’

আমনুরা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার হাবিবুল হোসেন বলেন, ‘‘মালবাহী ট্রেনের লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধার করে রেললাইন স্বাভাবিক করতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।’’

ঢাকা/শিয়াম/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ইনচ য ত আমন র

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লায় মাদক কারবারে বাধা দেওয়ায় মা–ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

কুমিল্লায় মাদক কারবার বন্ধের চেষ্টা করায় মা ও ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। আজ সোমবার সকালে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী বসন্তপুর গ্রামে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।  

নিহত ব্যক্তিরা হলেন বসন্তপুর গ্রামের প্রয়াত আজগর আলীর স্ত্রী রাহেলা বেগম (৬৫) এবং তাঁর ছোট ছেলে কামাল হোসেন (৩৫)। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত বিল্লাল হোসেন (৪০) পলাতক। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, বিল্লাল হোসেন একজন মাদক ব্যবসায়ী। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। আজ সকালে বিল্লাল হোসেন তাঁর বাড়িতে মাদক নিয়ে প্রবেশ করেন। তখন ছোট ভাই কামাল তাঁকে মাদক নিয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে বিল্লাল তাঁর ঘরে ঢুকে ছুরি নিয়ে ছোট ভাই কামালকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। এ সময় মা রাহেলা বেগম বাধা দিতে গেলে তাঁকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। ঘটনাস্থলেই কামাল নিহত হন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে মা রাহেলা বেগমও মারা যান।

আজ বেলা একটার দিকে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দুজনের মরদেহ উদ্ধার করার কার্যক্রম চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ছোট ভাই মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে তাঁদের মধ্যে জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়েও দীর্ঘদিনের বিরোধ আছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত বিল্লালের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি বিল্লাল হোসেনকে আটক করার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ