ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান সমন্বয়কারী ফরহাদ হোসেন খান (৪৫) পদত্যাগ করেছেন। কমিটি গঠনের ৭৪ দিন পর আজ রোববার দুপুরে ডাকযোগে তিনি দলের মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ বরাবর এ পদত্যাগপত্র পাঠান।

পদত্যাগপত্রের অনুলিপি জেলা এনসিপির আহ্বায়ক, নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নগরকান্দা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নগরকান্দা প্রেসক্লাবেও পাঠানো হয়। এরপর বিষয়টি জানাজানি হয়। ফরহাদ নগরকান্দা পৌরসভার নগরকান্দা মহল্লার বাসিন্দা।

পদত্যাগপত্রে ফরহাদ হোসেন খান উল্লেখ করেন, ‘গত ৪ জুন কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে নগরকান্দা উপজেলা সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেখানে আমাকে প্রধান সমন্বয়ক পদ দেওয়া হয়। দুঃখের বিষয়, কমিটি ঘোষণার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের আলোচনা বা পরামর্শ ছাড়া এই কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পরিপন্থী। তা ছাড়া আমাকে এই পদ দেওয়া হবে, এ ব্যাপারে আমাকে অবগত করা হয়নি। এই প্রক্রিয়ার প্রতিবাদস্বরূপ আমি জাতীয় নাগরিক পার্টির নগরকান্দা উপজেলা শাখার এই কমিটির প্রধান সমন্বয়ক পদ থেকে পদত্যাগ করছি। একই সঙ্গে ঘোষণা করছি যে এর পর থেকে এনসিপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আমার কোনো রকম সম্পর্ক থাকবে না।’

পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরহাদ হোসেন খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি যে এনসিপির রাজনীতি করি, আমি নিজেই জানি না। শুধু এনসিপি নয়, আমি কোনো রাজনৈতিক দলেরই সদস্য নই। আমাকে না জানিয়ে এই পদ দেওয়া হয়েছে।’ ৭৪ দিন পর কেন পদত্যাগ করলেন—জানতে চাইলে তিনি বলেন, পারিবারিক একটি মামলায় তিনি ২ জুন থেকে জেলে ছিলেন। জুলাইয়ের মাঝামাঝি মুক্তি পেয়ে আবার মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় অনেক দিন শয্যাশায়ী ছিলেন। তিনি পদে থাকার বিষয়টি ফেসবুকের মাধ্যমে তিন-চার দিন আগে জানতে পারেন। জানার পরপরই তিনি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন।

জানতে চাইলে এনসিপির ফরিদপুর অঞ্চলের সংগঠক মো.

রাকিব হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফরহাদ হোসেনের পদত্যাগপত্র আমরা এখনো পাইনি বা দেখিনি। কেউ যদি সংগঠনে থাকতে না চান, সে ক্ষেত্রে তাঁকে জোর করে রাখার কিছু নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় সরাসরি যাঁরা মাঠপর্যায়ে কাজ করেছেন, তাঁদের সঙ্গে আমরা বসব এবং দেখব, কেন আলাপ-আলোচনা ছাড়া কমিটি দেওয়া হয়েছে।’

৪ জুন এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে ১২ সদস্যবিশিষ্ট নগরকান্দা উপজেলা সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়। এতে একজন প্রধান সমন্বয়কারী, চারজন যুগ্ম সমন্বয়কারী ও সাতজনকে সদস্য হিসেবে পদ দেওয়া হয়। এ কমিটির মেয়াদ সম্পর্কে বলা হয়, আগামী ৩ মাস অথবা আহ্বায়ক কমিটি গঠনের আগপর্যন্ত ওই কমিটি অনুমোদন করা হলো।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পদত য গপত র ফরহ দ হ স ন নগরক ন দ এনস প র র জন ত সদস য উপজ ল স গঠক

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে।

তবে, কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিক পতনের ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ হাজার ৭০০ পয়েন্টের ঘরে নেমেছে।

আরো পড়ুন:

প্রথম প্রান্তিকে ইউনিক হোটেল ও ইফাদ অটোসের মুনাফায় বড় উত্থান

ডিএসইতে সূচকের উত্থান, সিএসইতে পতন

আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসই ও সিএসইতে আজ টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বেড়েছে।

বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। সোমবার সকালে ডিএসইএক্স সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। তবে, লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর থেকে সূচকের উত্থান দেখা যায়। লেনদেন শেষ হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল। 

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪২.৮০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৭৭৪ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৫.২৯ পয়েন্ট বেড়ে ১০০০ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৯.৩৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে মোট ৩৭৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৩২২টি কোম্পানির, কমেছে ৩৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬টির।

এদিন ডিএসইতে মোট ৩৪৮ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৯৮ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৮.৯৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮ হাজার ২৮৭ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪১.৬৯ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৩৬৮ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৫.১১ পয়েন্ট কমে ৮৪৫ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ১৬.৮৭ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ১১৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে মোট ১৫৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১০০টি কোম্পানির, কমেছে ৪৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১১টির।

সিএসইতে ১৪ কোটি৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

ঢাকা/এনটি/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ