‘প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়’
Published: 17th, August 2025 GMT
প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি তারা ব্যক্তিগত সচেতনতা, বিকল্প উপকরণের ব্যবহার ও কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেন।
রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে কক্সবাজারের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মিলনায়তনে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে এ মত দেন সরকারি কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি ও পরিবেশকর্মীরা।
জেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ইবনে মায়াজ প্রামাণিক বলেন, “অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপনের কারণেই দেশে ডেঙ্গু, সর্দি-জ্বরসহ নানা রোগ বাড়ছে। প্লাস্টিক রিসাইকেল প্রক্রিয়া জোরদার করা জরুরি।” তিনি প্রতিটি দপ্তরকে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহার বন্ধের আহ্বান জানান।
ব্র্যাকের প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমান বলেন, “প্রতিটি ঘরে আলাদা ডাস্টবিন থাকলেও তা ব্যবহৃত হয় না। আবার সিটি করপোরেশনও ময়লা সংগ্রহের পর সবকিছু একসঙ্গে ফেলে দেয়। প্লাস্টিক বর্জ্যের কারণে শুধু জনদুর্ভোগ নয়, সামুদ্রিক সম্পদও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মাছের পরিমাণ কমে যাচ্ছে।”
দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, “উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়।”
ইউএনডিপির প্রকল্প উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ দ্বীপক কে সি বলেন, ‘‘উৎপাদন বন্ধের পাশাপাশি প্লাস্টিক ও পলিথিনের বিকল্প খুঁজে বের করা জরুরি।’’
তবে স্থানীয় সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মীরা বলেন, ‘‘সরকারি দপ্তর ও এনজিওগুলোর অনেক উদ্যোগই লোক দেখানো।’’
এর আগে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরা বার্মিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পৌর প্রিপারেটরি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরেন। পরে তারা প্ল্যাকার্ড হাতে নীরব অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এবং শপথ নেন ‘রিফিউজ পলিথিন’।
গোলটেবিল বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগের প্রধান ড.
ঢাকা/তারেকুর/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা: বিদেশি শিক্ষার্থীদের ২২৪ আসন বরাদ্দ
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আসন পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। এ বছর বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ২২৪টি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ ২২৪ আসনের মধ্যে এমবিবিএস কোর্সে ১৮৪ এবং বিডিএস কোর্সের জন্য ৪০টি আসন নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২২৪ আসনের মধ্যে ১২৫টি সার্ক দেশগুলোর জন্য এবং ৯৯টি আসন নন-সার্ক দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত। সার্ক ও নন-সার্ক কোটা সম্পূর্ণ আলাদা রাখা হয়েছে। নন-সার্ক কোটা সংরক্ষিত আসনে কোনো সার্ক দেশের শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হবে না।
আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস ফেলোশিপ, ৬ খাতে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণের সুযোগ৪ ঘণ্টা আগেসার্ক দেশের আসন বণ্টনে ভারতের জন্য এমবিবিএসে ২২ ও বিডিএসে ২টি, পাকিস্তানের জন্য এমবিবিএসে ২১টি ও বিডিএসে ২টি, নেপালের জন্য এমবিবিএসে ১৯ ও বিডিএসে ৩টি, শ্রীলঙ্কার জন্য এমবিবিএসে ১৩ ও বিডিএসে ২টি, ভুটানের জন্য এমবিবিএসে ৩টি ও বিডিএসে ১টি, মালদ্বীপের জন্য এমবিবিএসে ৬টি ও বিডিএসে ১টি এবং আফগানিস্তানের জন্য এমবিবিএসে ৩টি ও বিডিএসে ১টি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে সার্ক দেশের জন্য এমবিবিএসে মোট ১১২ ও বিডিএসে ১৩, অর্থাৎ সর্বমোট ১২৫টি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুনমেডিকেল-ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষা : দেখে নিন আবেদনের নিয়মাবলি১৩ নভেম্বর ২০২৫নন-সার্ক দেশের আসন বণ্টনে সার্ক দেশের মতো একই বৃত্তির আওতায় মিয়ানমারের জন্য এমবিবিএসে ৫টি ও বিডিএসে ২টি, ফিলিস্তিনের জন্য এমবিবিএসে ১৮ ও বিডিএসে ৩টি এবং অন্য সব দেশের জন্য এমবিবিএসে ৪৯ ও বিডিএসে ২২টি আসন বরাদ্দ রয়েছে। সব মিলিয়ে নন-সার্ক দেশের জন্য এমবিবিএসে ৭২ ও বিডিএসে ২৭টি, অর্থাৎ মোট ৯৯টি আসন রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুননিউজিল্যান্ড আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের যে নতুন সুযোগ দিল ১৬ নভেম্বর ২০২৫