শরিয়াহ মার্কেটের উন্নয়নে সিএসইসহ ৩ প্রতিষ্ঠানের সমঝোতা
Published: 17th, August 2025 GMT
একটি শরীয়াহ সম্মত প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি (সিএসই), আইএফএ কনসালটেন্সি লিমিটেড এবং আদল অ্যাডভাইজরির মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
রবিবার (১৭ আগস্ট) সিএসইর ঢাকা অফিসে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
সিএসইর জনসংযোগ কর্মকর্তা তানিয়া বেগম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
প্রিমিয়ার লিজিংয়ের দুই প্রান্তিকে লোকসান কমেছে
ইউনিটহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেবে না তিন মিউচ্যুয়াল ফান্ড
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, রবিবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি (সিএসই),একটি শীর্ষস্থানীয় শরীয়াহ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আইএফএ কনসালটেন্সি লিমিটেড এবং মালয়েশিয়া-ভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক শরীয়াহ পরামর্শক সংস্থা আদল অ্যাডভাইজরি মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই সমঝোতা স্মারকের উদ্দেশ্য হলো- শরীয়াহ-সম্মত আর্থিক পণ্য ও সেবার প্রসার ঘটানো এবং বাংলাদেশের মূলধন বাজারে একটি শরীয়াহ-সম্মত প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলায় পারস্পরিক সহযোগিতা। এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ইসলামী অর্থায়ন এবং হালাল বিনিয়োগ এগিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।
এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে-সিএসই’র জন্য শরীয়াহ ইনডেক্স তৈরির পরামর্শ সেবা, মালয়েশিয়ার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সাথে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি, শরীয়াহ-সম্মত নতুন পণ্য প্ল্যাটফর্ম উন্নয়ন এবং ফিনটেক খাতে শরীয়াহভিত্তিক পরামর্শ প্রদান। এর মধ্যে বিশেষভাবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ক্রাউডফান্ডিং, রোবো-অ্যাডভাইজরি এবং ডিজিটাল সম্পদ, যা ইসলামী নীতি ও দেশের প্রচলিত নিয়মকানুনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, অনুষ্ঠানে সিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কমোডিটি মার্কেট, পৃথক ইসলামিক মূলধন বাজার, শরীয়াহ-সম্মত রিইটস (রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্টস) এবং বিভিন্ন ইসলামিক ফান্ড, বিশেষত ইসলামিক ক্রাউডফান্ডিং চালুর পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন।
এই পরিপ্রেক্ষিতে আইএফএ কনসালটেন্সি ও আদল অ্যাডভাইজরির প্রতিনিধিরা এসব উদ্যোগে শরীয়াহ-সম্মত সহযোগিতা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সিএসইর পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.
এই সমঝোতা বাংলাদেশের মূলধন বাজারে শরীয়াহ সম্মত আর্থিক খাতকে এগিয়ে নেওয়া এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।
ঢাকা/এনটি/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সহয গ ত স ম রক ইসল ম সমঝ ত স এসই
এছাড়াও পড়ুন:
কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি
পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।
মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।
এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।
মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।
পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।
ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।