রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

প্যানেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সহসভাপতি ও লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবীরকে সহসভাপতি (ভিপি), দপ্তর সম্পাদক ও আরবি বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের নাফিউল ইসলাম জীবনকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সঙ্গীত বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী জাহিন বিশ্বাস এষাকে সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি, ৬ দাবিতে অনঢ় বাকৃবি শিক্ষার্থীরা

৬ দিন পর জ্ঞান ফিরেছে সায়েমের, ডাকছেন মা-বাবাকে

রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগাঠনিক সম্পাদক রাকসু নির্বাচনের এই প্যানেল ঘোষণা করেন।

ছাত্রদল মনোনীত এই প্যানেলে ক্রীড়া সম্পাদক পদে নার্গিস খাতুন, সহক্রীড়া সম্পাদক পদে মাহফুজুর রহমান শাওন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে আব্দুল্লাহ আল কাফী, সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে শাহরিয়ার আলম অধী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদে স্বপ্না আক্তার, সহমহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদে নুসরাত ঈশিতা, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে গাজী ফেরদৌস হাসান, সহতথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে রেদোয়ানুল ইসলাম হৃদয়, মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে রাফায়েতুল ইসলাম রাবিত, সহমিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে নূর নবী লড়বেন। 

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে মারুফ হোসেন, সহবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে নাইমুল ইসলাম নাঈম, বির্তক ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক পদে মাসুম বিল্লাহ, সহবির্তক ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক পদে জিসান বাবু, পরিবেশ ও সমাজ সেবা সম্পাদক পদে এআর রাফি খান, সহপরিবেশ ও সমাজ সেবা সম্পাদক পদে কুঞ্জশ্রী রায় সুলগ্ন (শুভ) সদস্য পদে মিনারুল ইসলাম মেঘ লড়বেন। সদস্য হিসেবে মনোনিত হয়েছেন সাইদ হাসান ইবনে রুহুল, মাহবুব মোর্শেদ ইল্লিন মো.

আশরাফুল ইসলাম।

আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর রাকসু ও হল সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রাকসুর পাশাপাশি ১৭টি হল সংসদের প্যানেলও চূড়ান্ত করেছে দলটি। প্যানেল ঘোষণার সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী, সাধারণ সম্পাদক সর্দার জহুরুলসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/ফাহিম/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বব দ য ছ ত রদল র ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫, এলাকায় উত্তেজনা

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জের ধরে ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে সদর উপজেলার কলামনখালী বাজারে জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আসাদ চৌধুরী এবং আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া পরিষদ নেতা মাসুদ জোয়ার্দার পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আবদুর রহিম মোল্লা, বিসারত জোয়ার্দার, হাসেম আলী, গোলাম রসুল, সুরুজ, ইয়ালিদসহ ১০ জনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুলতানা মেফতাহুল জান্নাত জানান, আহত ব্যক্তিদের শরীরে ধারালো অস্ত্র ও ইটের আঘাতের ক্ষত আছে। তবে তাঁদের শারীরিক অবস্থা শঙ্কামুক্ত।

স্থানীয় লোকজন বলেন, সদর উপজেলার কলামনখালী এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও দোগাছি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আসাদ চৌধুরী পক্ষের সঙ্গে মাসুদ জোয়ারদার ও নাঈম পক্ষের সমর্থকদের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে কয়েক দিন আগেও উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এসবের জের ধরে আজ সকালে কলামনখালী বাজারে উভয় পক্ষের সমর্থকেরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি–অপারেশন) সামছুজ্জোহা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় এখন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।

হাসপাতালে চিকিৎসারত বিসারত জোয়ার্দার বলেন, মাসুদ পক্ষের লোকজন গ্রামের উত্তর পাড়ার আসাদ পক্ষের কয়েকজনকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এ ছাড়া আমিরুল নামের এক ব্যক্তিকে মেরে পা ভেঙে দেন। এ নিয়ে মীমাংসা করার কথা বললেও নেতারা কারও কথা শোনেন না। এরই জের ধরে সকালে বাজারে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়।

জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও দোগাছি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আসাদ চৌধুরী বলেন, ‘মাসুদের লোকজন আমাদের এক সমর্থক আমিরুলকে কিছুদিন আগে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয়। পরে তারা বাজার দখল করে রাখে। আজ সকালে এসে বাজারের দোকানপাট সব বন্ধ করে দেয়। এর জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।’

অভিযোগ অস্বীকার করে আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া পরিষদের ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ বলেন, ‘বাজার দখল বা দোকানপাট বন্ধের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তারা আমাদের ওপর মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। আমিরুলকে আমরা মারধর করিনি, আমিরুলের পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে তার পরিবারের লোকজন তার ওপর আঘাত করে।’

বিষয়টি নজরে আনা হলে জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ দাবি করেন, এলাকায় আধিপত্য নিয়ে তাঁদের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ছিল। এটা রাজনৈতিক কোনো বিষয় নয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ায় আটক ৬
  • ভোট ছাড়া সমঝোতায় জুয়েলার্স সমিতির নতুন পর্ষদ, সভাপতি এনামুল হক খান
  • ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫, এলাকায় উত্তেজনা
  • স্তম্ভিত হারমানপ্রীত, আবেগ-রোমাঞ্চ-গর্ব-ভালোবাসায় মিলেমিশে একাকার
  • মিতালিকে ছাড়িয়ে ইতিহাস গড়লেন মান্ধানা