‘কর্পোরেট গভর্ন্যান্স টেকসই পুঁজিবাজার গড়ার অন্যতম পূর্শবর্ত’
Published: 21st, October 2025 GMT
কর্পোরেট গভর্ন্যান্স বা প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন একটি শক্তিশালী, স্বচ্ছ এবং টেকসই পুঁজিবাজার গড়ে তোলার অন্যতম পূর্বশর্ত বলে জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ডিএসই’র ট্রেনিং একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত দুদিনব্যাপী ‘পুঁজিবাজার মধ্যস্থতাকারীদের কর্পোরেট সুশাসন পরিপালন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনীতে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিআইসিএমের বিনিয়োগ শিক্ষা প্রোগ্রাম
ডিএসইতে সূচকের পতন, সিএসইতে উত্থান
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র অধ্যাপক ড.
ডিএসইর উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, “একজন ইন্টারমিডিয়ারি হিসেবে আপনারা পুঁজিবাজারের প্রতিটি স্তরে সঠিক তথ্য প্রদান, প্রযোজ্য নীতিমালা অনুসরণ এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাই নিয়ম-নীতি মেনে চলা, স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং নৈতিক মানদণ্ডে অবিচল থাকা—এসবই পেশাগত দায়িত্বের অবিচ্ছেদ্য অংশ।”
তিনি আরো বলেন, “এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সুশাসন, জবাবদিহিতা ও নৈতিক মানদণ্ড বিষয়ে আরো গভীর সচেতনতা সৃষ্টি হবে। আশা করি, আজকের এই প্রশিক্ষণ থেকে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আপনারা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে কার্যকরভাবে প্রয়োগ করবেন এবং পুঁজিবাজারে সুশাসনের সংস্কৃতি সুসংহত করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন।”
দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কমশালায় বিএসইসি'র পরিচালক মো. আবুল কালাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র অধ্যাপক ড. মেলিতা মেহজাবিন কর্পোরেট গভর্নেন্সে আয়ের গুণগত মান, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর দ্বারা কর্পোরেট গভর্নেন্স কোড ২০১৮ অনুসরণের বিষয়,কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্ব, আর্থিক প্রতিবেদন প্রণয়নে দায়বদ্ধতা ও নিয়ন্ত্রণে কমপ্লায়েন্স, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের কমপ্লায়েন্স: কোম্পানি সেক্রেটারির ভূমিকা, শেয়ারহোল্ডার ও শেয়ারহোল্ডার সক্রিয়তা এবং কর্পোরেট গভর্নেন্সে প্রকাশ সংক্রান্ত কমপ্লায়েন্স ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
ঢাকা/এনটি/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজার: সূচকের বড় পতনে সপ্তাহ শেষ
সপ্তাহের পঞ্চম ও শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের বড় পতনের মধ্যে লেনদেন শেষে হয়েছে।
এদিন আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা কমেছে। একইসঙ্গে পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।
আরো পড়ুন:
ডিএসইতে সূচকের পতন সিএসইতে উত্থান, বেড়েছে লেনদেন
স্বর্ণের দাম ভরিতে কমল ১০৫০ টাকা
বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইর ডিএসইএক্স সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। তবে, ১০ মিনিটের ব্যবধানের সূচক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফিরে আসে। এর ১০ মিনিট পর সূচক পুনরায় নিম্নমুখী অবস্থানে চলে যায়। লেনদেন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪০.৯২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮৮৬ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৯.৬১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৪ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৬.৬৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৯১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৮৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৩৪টি কোম্পানির, কমেছে ৩০৭টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৪টির।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩৬৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪০৫ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৬৯.৯৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৪৭৩ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১১৪.১৩ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৭৪৭ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ১১.৫৯ পয়েন্ট কমে ৮৬৫ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ১১৩.৮৩ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ১৭৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ১৪৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ২৫টি কোম্পানির, কমেছে ১০৬টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬টির।
সিএসইতে ১৩ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৩ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি/এসবি