বগুড়ায় ৫ মণ ওজনের কষ্টিপাথরের মূর্তি উদ্ধার
Published: 21st, September 2025 GMT
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় একটি পুকুরপাড়ের মেশিন ঘর থেকে প্রায় ৫ মণ ওজনের কষ্টিপাথরের মূর্তি উদ্ধার করেছে র্যাব-১২ এর সদস্যরা। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়নের দক্ষিণ আমন এলাকার সোনালী পুকুর থেকে মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়।
পুকুরের মালিক (লিজ গ্রহীতা) আবুল বাশার রুবেল (৫৫) ও বিক্রির সহায়তাকারী আল আমিন (৪৮) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
নোয়াখালী হাসপাতালে র্যাবের অভিযান, ৭ দালালের কারাদণ্ড
শিক্ষকের ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
রুবেল শাহ বন্দেগী ইউনিয়নের শেরুয়া ফরেস্টগেট এলাকার মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে। আর আল আমিন সিরাজগঞ্জ সদরের মৃত আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে।
বগুড়ায় র্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫ মণ (১৯০ কেজি) ওজনের কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার করার পাশাপাশি দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’’
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
প্রায় তিন বছর আগে রুবেল পুকুরটি লিজ নেন। গত বছর সংস্কার করার পর থেকে ওই পুকুরপাড়ে অচেনা মানুষের আসা-যাওয়া বেড়ে যায়। এরই এক পর্যায়ে রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১২ অভিযান চালায়। এ সময় পুকুরপাড়ের মেশিন ঘরের ভেতর থেকে খড়কুটো দিয়ে ঢেকে রাখা ১৯০ কেজি ওজনের কষ্টিপাথরের মূর্তি উদ্ধার করা হয়। এ সময় মূর্তি লুকিয়ে রাখা এবং বিক্রির চেষ্টার অভিযোগে পুকুরের মালিক রুবেলকে এবং বিক্রির কাজে সহায়তার অভিযোগে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুকুরের পাহারাদার হানিফ বলেন, ‘‘ঘরটি অনেক দিন পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকায় মূর্তিটি সেখানে রাখা হয়েছিল, যা কেউ টের পাননি। রবিবার র্যাব এসে মূর্তিটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।’’
ঢাকা/এনাম/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জগন্নাথের শিক্ষার্থী নূরনবী ক্যানসারে আক্রান্ত, ফুল বিক্রি করে সহায়তার উদ্যোগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মীর নূরনবী কয়েক বছর ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছেন। তবে অর্থসংকটে বন্ধ রয়েছে তাঁর চিকিৎসা। এ সংকট সমাধানে নূরনবীর পাশে দাঁড়িয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা–কর্মীরা। এ জন্য ক্যাম্পাসে ফুল বিক্রি করা হচ্ছে। সেই অর্থ তুলে দেওয়া হবে নূরনবীর চিকিৎসায়।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে হেঁটে হেঁটে শিক্ষার্থীদের কাছে ফুল বিক্রি করে নূরনবীর চিকিৎসা বাবদ অর্থ সংগ্রহ করতে দেখা যায় ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা–কর্মীদের। সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাত্তরের গণহত্যা ভাস্কর্যের চত্বরে টেবিল–চেয়ার পেতে ফুল বিক্রি করেন তাঁরা। এরপর শহীদ মিনার, কলা অনুষদ, সামাজিক অনুষদ ও বিজ্ঞান অনুষদের প্রাঙ্গণে হেঁটে হেঁটে শিক্ষার্থীদের কাছে ফুল বিক্রি করে নূরনবীর জন্য অর্থ সহায়তা নেওয়া হয়।
নূরনবী বর্তমানে স্নাতক চতুর্থ বর্ষে পড়ছেন। ২০১৭ সালে এসএসসি পরীক্ষার পর তাঁর শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে। পরে বাঁ পা কেটে ফেলতে হয়। কিন্তু পড়াশোনায় হাল ছাড়েননি নূরনবী। অদম্য সাহস ও স্বপ্ন নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগে ভর্তি হন। প্রতিদিন সাভার থেকে বাসে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে নিয়মিত ক্লাস করেন তিনি। এরই মধ্যে সাতটি সেমিস্টার শেষ করেছেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ক্যানসার এখন নূরনবীর ফুসফুসেও ছড়িয়ে পড়েছে।
ফিন্যান্স বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের আল শাহরিয়ার বলেন, ‘সবার সহায়তা নূরনবীর জন্য নতুন জীবনের আলো নিয়ে আসতে পারবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রচারণার কাজ করছি। বিভিন্ন জায়গায় দেয়ালিকা লাগানো হয়েছে। সামনে আরও নতুন কিছু অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়ে আমরা কাজ করছি। আসুন, মানবতার বন্ধনে আমরা সবাই এক হয়ে নূরনবীর পাশে দাঁড়াই।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকারের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, ‘অনেকেই অনেকভাবে নূরনবীর জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে। আমরা ভিন্নভাবে অর্থ সংগ্রহের চিন্তা করলাম। ফুলের বিনিময়ে অর্থ সাহায্যের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের বেশ সাড়া পাচ্ছি। শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা বেশ আন্তরিকতা দেখিয়েছেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নূরনবীকে সহায়তা করা হবে কি না—জানতে চাইলে ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক কে এ এম রিফাত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্রকল্যাণ দপ্তর থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কোনো বরাদ্দ নেই। এখানে যে টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়, সেটা শুধু দাপ্তরিক কাজে খরচ হয়। এখন নূরনবীর চিকিৎসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে কনসার্ট আয়োজন করতে চেয়েছে তার সহপাঠীরা। সে ক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতা করব।’