আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে গেল উপহারের ৫০০ কেজি সুগন্ধি চাল
Published: 22nd, September 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৫০০ কেজি সুগন্ধি চিনিগুড়া চাল উপহার পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চালভর্তি একটি পিকআপ সীমান্ত পেরিয়ে ত্রিপুরায় পৌঁছায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পাঠানো এসব চাল ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে বিতরণ করা হবে।
এর আগে সকালে ‘চাষী’ ব্র্যান্ডের চিনিগুড়া চালভর্তি পিকআপটি আখাউড়া স্থলবন্দরে আসে। সেখানে রপ্তানিকারকদের ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্টের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান সুয়েব ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল চালের কাস্টমস ক্লিয়ারিংয়ের কাজ সম্পন্ন করে।
সুয়েব ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী রাজীব ভূঁইয়া বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনের জন্য উপহারস্বরূপ ৫০০ কেজি চাল পাঠানো হয়েছে। চালগুলো বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উপহার হিসেবে দেওয়া হবে।
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান খান জানান, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে উপহারের চালগুলো ভারতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, দুর্গাপূজা উপলক্ষে এর আগে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে উপহার হিসেবে ভারতে ইলিশ মাছ পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছিল সরকার। এবার পাঠানো হলো সুগন্ধি চাল। প্রতিবছর দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন উৎসব ও বিশেষ উপলক্ষে এ ধরনের উপহার বিনিময় হয়ে থাকে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপহ র
এছাড়াও পড়ুন:
ধর্মের মর্মবাণী মানব কল্যাণ, শান্তি ও দেশপ্রেম: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সকল ধর্মের মর্মবাণী মানব কল্যাণ, শান্তি ও দেশপ্রেম।
রবিবার ( ২১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন কর্তৃক শুভ মহালয়া ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে দেশের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘সকল ধর্মই আমাদের অন্যায়, অবিচার ও অনাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রেরণা যোগায়। আমাদের আত্মশুদ্ধির সুযোগ করে দেয়। মানবসেবা ও দেশাত্মবোধের চেতনাকে উদ্বুদ্ধ করে।’’
শারদীয় দুর্গোৎসবকে বাংলাদেশের সার্বজনীন উৎসব উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আবহমানকাল ধরে শারদীয় দুর্গাপূজা বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে সাড়ম্বরে উদযাপিত হয়ে আসছে। এটি শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের নয়, বাংলাদেশের সকলের উৎসব। এ উৎসব উদযাপনের মাধ্যমে মানুষে মানুষে নিবিড় বন্ধন রচিত হয়, সমাজের সকল মানবসৃষ্ট ভেদাভেদ, বৈষম্য দূরীভূত হয় এবং সকলের মধ্যে সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগরিত হয়।’’
দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে নৌপরিবহন উপদেষ্টা এ সময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসব আনন্দমুখর পরিবেশ ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে মর্মে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন। একইসঙ্গে দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে যেন কোনো স্বার্থান্বেষী মহল অপচেষ্টা চালাতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেন।
অনুষ্ঠানে গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এএএম//