গাজীপুর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মুন্সিগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আক্কাস আলীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গাজীপুর শহরের উত্তর ছায়াবিথী এলাকার হাক্কানী হাউজিংয়ের আবেদ প্লাজার ৫ম তলায় একটি কক্ষ থেকে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সদর থানার পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। 

আক্কাস আলী (৪৭) মুন্সিগঞ্জ সদরের বাগ মামুদালী এলাকার হাফেজ আলীর ছেলে। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি ছিলেন। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আক্কাস আলী শহরের উত্তর ছায়াবিথী হাক্কানী হাউজিংয়ের আবেদ প্লাজার ৫ম তলায় গোলাম মাওলার ফ্ল্যাটের জাহিদ হাসানের রুমে থাকতেন। সপ্তাহ দুয়েক দিন আগে তিনি তার বন্ধু জাহিদ হাসান ডালীর গাজীপুরের ওই ফ্ল্যাটে বেড়াতে আসেন। তিনি মুন্সিগঞ্জ শহরের মেডিস্টার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও রেনেসা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক। 

ব্যবসায় লোকসান ও ঋণগ্রস্থ হওয়ার কারণে পারিবারে আর্থিকভাবে সংকটে পড়েন আক্কাস। প্রায়ই পরিবারের সদস্যদের সাথে তার ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত। এর আগেও দুইবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। 

গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, “স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে যেটা বোঝা গেছে, নিজের প্রতি রাগ-ক্ষোভ থেকে তিনি আত্মহত্যা করেন। বাসায় কেউ না থাকায় সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে পৌনে তিনটার মধ্যে যেকোনো সময় ফ্যানের সাথে গামছা বেঁধে ফাঁস নেন তিনি।”

তিনি জানান, স্থানীয়রা সদর থানার খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। 

আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আজ মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিহতের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান ওসি।

ঢাকা/রেজাউল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ ধ র

এছাড়াও পড়ুন:

চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া অক্সিজেন মাস্ক খুলেছেন ক্লিনার, অভিযোগ মৃতের স্বজনদের

অক্সিজেন মাস্ক খুলে নেওয়ার আধাঘণ্টার মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শেখ সাইফুল ইসলাম (৩৮) নামের এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মৃত সাইফুল ইসলাম নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন যোগিপোল ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত শেখ ইসমাইলের ছেলে।

রোগীর স্বজনেরা জানান, কিডনি জটিলতায় গত শনিবার সাইফুলকে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়। কিন্তু, পরদিন সকালে ওয়ার্ডের আউটসোর্সিং কর্মচারী (ক্লিনার) আব্দুল জব্বার অক্সিজেন মাস্ক খুলে নিয়ে সিলিন্ডারসহ আরেক রোগীকে দেন। এর আধাঘণ্টার মধ্যে সাইফুল ইসলাম মারা যান।

সাইফুলের মা রশিদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘‘রাতভর দৌড়াদৌড়ি করে ছেলেকে অক্সিজেন দিয়েছিলাম। কিন্তু, সকালে ক্লিনার অক্সিজেন খুলে নেয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যে আমার ছেলে মারা যায়।’’

মৃতের বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘‘চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়াই ক্লিনার অক্সিজেন খুলেছেন। এর আধাঘণ্টার মধ্যে ছটফট করতে করতে আমার ভাই মারা গেছে।’’

ওয়ার্ডে উপস্থিত কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এক ব্যক্তি এসে সাইফুলের নাক থেকে নল খুলে সিলিন্ডার নিয়ে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পরেই তিনি মারা যান।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আউটসোর্সিং কর্মচারী আব্দুল জব্বার বলেন, ‘‘একজন মুমূর্ষু রোগীকে দেওয়ার জন্য অক্সিজেন খুলে নেওয়া হয়েছিল।’’

খুমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, ‘‘হাসপাতালে অক্সিজেনের কোনো সংকট নেই। পর্যাপ্ত অক্সিজেন রয়েছে। মুমূর্ষু রোগীকে অক্সিজেন দেওয়া বা খুলে নেওয়া ওয়ার্ড ক্লিনারের কাজ নয়। একজন রোগী কখন অক্সিজেন পাবেন, কখন পাবেন না; এ সিদ্ধান্ত জানাবেন ওয়ার্ডের ডাক্তার। যেই রোগীকে অক্সিজেন দেওয়া আছে, সেই রোগীর অক্সিজেন খুলতে হলে চিকিৎসকের অনুমতি নিয়ে খুলতে হবে। ওয়ার্ড ক্লিনার যদি খুলে নিয়ে থাকেন, তবে তিনি অপরাধ করেছেন। তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/নূরুজ্জামান/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুন্সিগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতির ঝুলন্ত লাশ গাজীপুর থেকে উদ্ধার
  • চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া অক্সিজেন মাস্ক খুলেছেন ক্লিনার, অভিযোগ মৃতের স্বজনদের
  • গাইবান্ধায় কারাগারে আ.লীগ নেতার মৃত্যু, স্বজনদের ক্ষোভ 
  • কে জানত, ইশতিয়াকের জানাজাও পড়তে হবে স্বজনদের
  • কুষ্টিয়ায় অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি, চিকিৎসার টাকা লুট
  • কুষ্টিয়ায় অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি, রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে টাকা ছিনতাই