ব্যালন ডি’অর জিতে যে চক্রপূরণ করে জিদান–রোনালদিনিওর পাশে দেম্বেলে
Published: 25th, September 2025 GMT
গত মৌসুমের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিস্বরূপ এবারের ব্যালন ডি’অর জিতেছেন উসমান দেম্বেলে। ব্যক্তিগত সাফল্যের সর্বোচ্চ স্বীকৃতিসূচক এ ট্রফি জেতার মধ্য দিয়ে একটি চক্রও পূরণ করলেন ফরাসি তারকা। চ্যাম্পিয়নস লিগ, বিশ্বকাপ এবং ব্যালন ডি’অরজয়ী তারকাদের ‘অভিজাত’ ক্লাবে এখন দেম্বেলে।
দেম্বেলের অর্জনের ঝুলিতে সর্বপ্রথম যোগ হয় বিশ্বকাপ শিরোপা। ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে ফ্রান্স। সেই বিশ্বকাপে অবশ্য খুব বেশি সময় খেলার সুযোগ পাননি দেম্বেলে।
ফ্রান্সের ৭ ম্যাচের ৪টিতে খেলেন। এই চার ম্যাচে সব মিলিয়ে মাঠে ছিলেন ১৬৫ মিনিট। অর্থাৎ গড়ে এই চার ম্যাচে মাত্র ৪১ মিনিট করে মাঠে ছিলেন। সেমিফাইনাল ও ফাইনালে পুরো সময়টাই তাঁর কেটেছে বেঞ্চে।
আরও পড়ুনব্যালন ডি’অর জয়ে মেসির আর্জেন্টিনাকে ছুঁয়ে ফেলল ফ্রান্স২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫বিশ্বকাপ জয়ের পর চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে দেম্বেলের সময় লেগেছে ৭ বছর। বিশ্বকাপের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ে তাঁর ভূমিকা অতটা নিষ্ক্রিয় ছিল না। বরং বলা ভালো, দারুণ খেলেন পিএসজির হয়ে। ফরাসি ক্লাবটির হয়ে গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পথে ৮ গোল করার পাশাপাশি ৬ গোল করান দেম্বেলে। ইউরোপসেরার এ ট্রফি তাঁর ব্যালন ডি’অর জয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
দেম্বেলের আগে বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ব্যালন ডি’অর জেতা সর্বশেষ ফুটবলার মেসি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ য ম প য়নস ল গ ব শ বক প
এছাড়াও পড়ুন:
রুনা লায়লার জন্মদিন: সংগীতজীবনের বর্ণময় ৬ দশকের উদ্যাপন
উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। সোমবার (১৭ নভেম্বর) ৭৩ বছর পূর্ণ করলেন। একইসঙ্গে পূর্ণ করলেন তার গৌরবময় সংগীত-জীবনের ৬০ বছর। উপমহাদেশের তিন দেশ—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে সমানতালে গান গেয়ে কোটি মানুষের হৃদয় জয় করেছেন রুনা লায়লা। ১৮টি ভাষায় তার গাওয়া গানের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। ফলে তিনি যে উপমহাদেশের শীর্ষ সংগীতশিল্পীদের একজন—এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বাংলাদেশের বাংলা গানকে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দেওয়ার পেছনে তার অবদান অনন্য। দেশ-বিদেশ থেকে প্রাপ্ত অগণিত স্বীকৃতির মাঝে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ তার অর্জনকে আরো মহিমান্বিত করেছে।
আরো পড়ুন:
কনসার্টে গায়ক একনের পরনের প্যান্ট নিয়ে টানাটানি
চতুর্থ সন্তানের মা হলেন কার্ডি বি
ভক্তদের কাছে রুনা লায়লার এবারের জন্মদিনটি বিশেষ। কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় মৌসুমের শেষ গানটি প্রকাশ পেয়েছে তার গাওয়া জনপ্রিয় সুফি কাওয়ালি ‘দামা দম মাস্ত কালান্দার’ দিয়ে—যে গানটি বহু বছর আগে তাকে আন্তর্জাতিক পরিচিতি এনে দিয়েছিল।
তবে জন্মদিন নিয়ে শিল্পীর বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। তিনি জানান, পরিবারকে সময় দিয়েই কাটাবেন দিনটি। ঘরোয়া পরিবেশেই উদ্যাপিত হবে জন্মদিন।
১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন রুনা লায়লা। সংগীতজীবনের শুরু ষাটের দশকের শেষ দিকে পাকিস্তানের চলচ্চিত্র শিল্পে। শিল্পী আহমেদ রুশদির গায়কিতে অনুপ্রাণিত হয়ে সংগীতাঙ্গনে পথচলা শুরু করা এই কণ্ঠশিল্পী দ্রুতই উর্দুভাষী শ্রোতাদের মন জয় করে নেন। ‘উনকি নজরোঁ সে মোহাব্বত কা জো পয়গাম মিলা’—এর মতো গান তাকে এনে দেয় ব্যাপক জনপ্রিয়তা।
এরপর ভারতেও ছড়িয়ে পড়ে তার কণ্ঠের জাদু। ‘ও মেরা বাবু ছৈল ছাবিলা’ তাকে পরিচিত করে তোলে সাদাকালো যুগেই। পরে সংগীত পরিচালক বাপ্পি লাহিড়ীর সঙ্গে ‘ডিস্কো দিওয়ানে’ (১৯৮২) অ্যালবাম তাকে বিশ্বব্যাপী নতুন আরেক পরিচিতির শিখরে পৌঁছে দেয়।
যদিও তিন দেশে সাফল্য পেয়েছেন, রুনা লায়লার সংগীতজীবনের মূল ভিত্তি ছিল বাংলাদেশ। ‘দ্য রেইন’ (১৯৭৬), ‘জাদুর বাঁশি’ (১৯৭৭), ‘অ্যাক্সিডেন্ট’ (১৯৮৯), ‘অন্তরে অন্তরে’ (১৯৯৪)—সহ মোট সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ গায়িকা নির্বাচিত হয়েছেন। ‘সাধের লাউ বানাইলা মোরে বৈরাগী’, ‘বন্ধু তিনদিন তোর বাড়িতে গেলাম’—এর মতো বাংলা লোকগান তার কণ্ঠে নতুন প্রাণ পেয়েছে।
দীর্ঘ ও সফল এই যাত্রায় মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি—এ কথা প্রায়ই উল্লেখ করেন রুনা লায়লা। তিনি বলেন, “মা আমাকে প্রচণ্ড সহযোগিতা করেছেন। ছোটবেলায় গান গাইতে গেলে মা সবসময় সঙ্গে যেতেন।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত