সাতক্ষীরায় ১৮ দিনে ৫ লাখের বেশি শিশু পাবে টাইফয়েড টিকা
Published: 25th, September 2025 GMT
সাতক্ষীরায় শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনামূলক প্রচার কার্যক্রমের আওতায় সাংবাদিকদের নিয়ে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ বিষয়ক পরামর্শমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের সহযোগিতায় ও জেলা তথ্য অফিস আয়োজনে বুধবার সকাল ১১টায় সিভিল সার্জন অফিসের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন:
টাঙ্গাইলে নদীতে নিখোঁজ ২ শিশুর ১ জনের লাশ উদ্ধার
বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়িতে আধাবেলা সড়ক অবরোধের ডাক
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা.
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. আদম আলী, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সুস্থ, সবল, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী তৈরির জন্য টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করা খুবই জরুরি। একটি সুন্দর জাতি গঠনের লক্ষ্যে সরকার বিনামূল্যে এ ভ্যাকসিন দিচ্ছে। ভ্যাকসিন নিয়ে গুজব প্রতিরোধ করে তালিকাভুক্ত সব শিশুকে টিকা ক্যাম্পে আনতে হবে। এজন্য সাংবাদিকরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। সকলের সহযোগিতায় এই বিশাল কর্মযজ্ঞ সফল করতে হবে।
কর্মশালায় মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর এর মাধ্যমে টাইফয়েড টিকাদন কর্মশালায় মূল প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করেন, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. ইসমত জাহান সুমনা ।
কর্মশালায় বলা হয়, আগামী ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনে সাতক্ষীরায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী ৫ লাখ ৭ হাজার শিশুকে বিনামূল্যে এক ডোজ টাইফয়েড টিকা প্রদান করা হবে। মোট ১৮ কর্মদিবসের এ ক্যাম্পেইন চলবে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত।
সভায় আরো বলা হয়, ভ্যাকসিন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার রয়েছে। কিন্তু টিকা গ্রহণের মাধ্যমে যক্ষা, ডিফথেরিয়া, হাম রুবেলা, পোলিও, হুপিংকাশি, হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার কার্যকারিতা পাওয়া গেছে। কাজেই সব ধরনের অপপ্রচার প্রতিরোধ করে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে।
আশা করা যায়, তালিকাভুক্ত জেলার সব বাচ্চাকে এই কার্যক্রমের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এজন্য সাংবাদিকরা প্রচারের জন্য এই টিকার গুরুত্ব তুলে ধরে টাইফয়েড ক্যাম্পেইনের খবর ও সফলতা স্থানীয় ও জাতীয় পত্র-পত্রিকাসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করে এই টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে ভূমিকা রাখতে পারেন।
এতে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকা/শাহীন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ক দ ন ক য ম প ইন ট ইফয় ড ট ক দ
এছাড়াও পড়ুন:
রুনা লায়লার জন্মদিন: সংগীতজীবনের বর্ণময় ৬ দশকের উদ্যাপন
উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। সোমবার (১৭ নভেম্বর) ৭৩ বছর পূর্ণ করলেন। একইসঙ্গে পূর্ণ করলেন তার গৌরবময় সংগীত-জীবনের ৬০ বছর। উপমহাদেশের তিন দেশ—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে সমানতালে গান গেয়ে কোটি মানুষের হৃদয় জয় করেছেন রুনা লায়লা। ১৮টি ভাষায় তার গাওয়া গানের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। ফলে তিনি যে উপমহাদেশের শীর্ষ সংগীতশিল্পীদের একজন—এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বাংলাদেশের বাংলা গানকে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দেওয়ার পেছনে তার অবদান অনন্য। দেশ-বিদেশ থেকে প্রাপ্ত অগণিত স্বীকৃতির মাঝে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ তার অর্জনকে আরো মহিমান্বিত করেছে।
আরো পড়ুন:
কনসার্টে গায়ক একনের পরনের প্যান্ট নিয়ে টানাটানি
চতুর্থ সন্তানের মা হলেন কার্ডি বি
ভক্তদের কাছে রুনা লায়লার এবারের জন্মদিনটি বিশেষ। কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় মৌসুমের শেষ গানটি প্রকাশ পেয়েছে তার গাওয়া জনপ্রিয় সুফি কাওয়ালি ‘দামা দম মাস্ত কালান্দার’ দিয়ে—যে গানটি বহু বছর আগে তাকে আন্তর্জাতিক পরিচিতি এনে দিয়েছিল।
তবে জন্মদিন নিয়ে শিল্পীর বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। তিনি জানান, পরিবারকে সময় দিয়েই কাটাবেন দিনটি। ঘরোয়া পরিবেশেই উদ্যাপিত হবে জন্মদিন।
১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন রুনা লায়লা। সংগীতজীবনের শুরু ষাটের দশকের শেষ দিকে পাকিস্তানের চলচ্চিত্র শিল্পে। শিল্পী আহমেদ রুশদির গায়কিতে অনুপ্রাণিত হয়ে সংগীতাঙ্গনে পথচলা শুরু করা এই কণ্ঠশিল্পী দ্রুতই উর্দুভাষী শ্রোতাদের মন জয় করে নেন। ‘উনকি নজরোঁ সে মোহাব্বত কা জো পয়গাম মিলা’—এর মতো গান তাকে এনে দেয় ব্যাপক জনপ্রিয়তা।
এরপর ভারতেও ছড়িয়ে পড়ে তার কণ্ঠের জাদু। ‘ও মেরা বাবু ছৈল ছাবিলা’ তাকে পরিচিত করে তোলে সাদাকালো যুগেই। পরে সংগীত পরিচালক বাপ্পি লাহিড়ীর সঙ্গে ‘ডিস্কো দিওয়ানে’ (১৯৮২) অ্যালবাম তাকে বিশ্বব্যাপী নতুন আরেক পরিচিতির শিখরে পৌঁছে দেয়।
যদিও তিন দেশে সাফল্য পেয়েছেন, রুনা লায়লার সংগীতজীবনের মূল ভিত্তি ছিল বাংলাদেশ। ‘দ্য রেইন’ (১৯৭৬), ‘জাদুর বাঁশি’ (১৯৭৭), ‘অ্যাক্সিডেন্ট’ (১৯৮৯), ‘অন্তরে অন্তরে’ (১৯৯৪)—সহ মোট সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ গায়িকা নির্বাচিত হয়েছেন। ‘সাধের লাউ বানাইলা মোরে বৈরাগী’, ‘বন্ধু তিনদিন তোর বাড়িতে গেলাম’—এর মতো বাংলা লোকগান তার কণ্ঠে নতুন প্রাণ পেয়েছে।
দীর্ঘ ও সফল এই যাত্রায় মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি—এ কথা প্রায়ই উল্লেখ করেন রুনা লায়লা। তিনি বলেন, “মা আমাকে প্রচণ্ড সহযোগিতা করেছেন। ছোটবেলায় গান গাইতে গেলে মা সবসময় সঙ্গে যেতেন।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত