জেগে উঠেছে ভারতের একমাত্র সক্রিয় আগ্নেয়গিরি
Published: 25th, September 2025 GMT
জেগে উঠেছে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ব্যারেন আইল্যান্ডে ভারতের একমাত্র সক্রিয় আগ্নেয়গিরি।কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ১৪০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে আন্দামান সাগরে অবস্থিত ব্যারেন আইল্যান্ড।
আন্দামান-নিকোবর প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ সেপ্টেম্বর এই সক্রিয় আগ্নেয়গিরি ঘুম ভেঙে জেগে উঠে। প্রবল বিস্ফোরণের জেরে আন্দামানে ৪.
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের স্বপ্ন, চ্যালেঞ্জ আর সম্ভাবনার আজ ‘ভারত’ পরীক্ষা
কলকাতায় ভারী বৃষ্টিতে ৭ জনের প্রাণহানি
জনবসতিহীন ব্যারন আইল্যান্ডের আগ্নেয়গিরির সেই দৃশ্য ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, কীভাবে তপ্ত, লাল লাভা পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নেমে আসছে এবং আগ্নেয়গিরির চূড়া থেকে ঘন ধোঁয়ার স্রোত বেরোচ্ছে।
দাবি করা হচ্ছে, চলতি মাসে ১৩ তারিখ ও ২০ তারিখ দুই দফায় স্ট্রম্বোলিয়ান ধরনের অগ্নুৎপাত ঘটেছে। যার ফলে অল্পমাত্রায় লাগাতার লাভা ও ধোঁয়া বের হতে দেখা যায় আগ্নেয়গিরিটি থেকে, যা আজ বৃহস্পতিবারও সক্রিয় রয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে। পোর্ট ব্লেয়ার বা আশেপাশের দ্বীপগুলোর জন্য কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি।
পরিবেশবিদরা সতর্ক করেছেন, যদিও এই অগ্ন্যুৎপাতগুলো আপাতত ক্ষতিকর নয়, তবে ছাই এবং গ্যাস কাছাকাছি সামুদ্রিক প্রাণী ও প্রবাল প্রাচীরের ক্ষতি করতে পারে। এছাড়া বিমান চলাচলের ক্ষেত্রেও ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। বর্তমানে ভারতীয় ভারতীয় নৌবাহিনী এবং ভূতাত্ত্বিক দপ্তর নজরদারি চালাচ্ছে।
ভারতের আন্দামান-নিকোবর চূড়ান্ত অংশটি একটি ক্লাসিক সাবডাকশন জোন, এই আগ্নেয়গিরিটিও টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষজনিত সাবডাকশন জোনে অবস্থিত, যেখানে ভারতীয় প্লেট বার্মা প্লেটের নিচে প্রবেশ করছে। সেই চাপ থেকেই ম্যাগমা উপরে উঠে আসে এবং অগ্ন্যুৎপাত ঘটে।
আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের ৮.৩৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত ব্যারেন দ্বীপ আসলে এক আগ্নেয় দ্বীপ। যা সম্পূর্ণভাবে আগ্নেয়গিরির উপাদানে তৈরি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা প্রায় ৩৫৪ মিটার। এর নিকটতম জনবসতিপূর্ণ স্থান হলো স্বরাজ দ্বীপ (হ্যাভলক দ্বীপ) এবং নরকোন্ডাম দ্বীপ।
মানুষের বসতি না থাকলেও বন্যপ্রাণী এবং পাখির বাস ব্যারন দ্বীপে। ইতিহাস বলছে, ব্যারেন দ্বীপে প্রথম অগ্ন্যুৎপাত রেকর্ড করা হয় ১৭৮৯ সালে। এর পরে ১৯৯১ সালে বড় অগ্ন্যুৎপাত হয়, যা দীর্ঘ সময় সক্রিয় ছিল। ২০১৭ ও ২০১৮ সালেও আগ্নেয়গিরিটি সক্রিয় হয়েছিল।
জনবসতিহীন হলেও এই দ্বীপ বিজ্ঞানীদের কাছে এক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার ক্ষেত্র। বন দপ্তরের বিশেষ অনুমতি নিয়ে, দূর থেকে ব্যারেন দ্বীপের জীবন্ত আগ্নেয়গিরিটিকে দেখে আসা যায়। জনশূন্য, প্রায় রুক্ষ, পাথুরে দ্বীপটির প্রতিকূল পরিবেশে এখনও কিছু পাখি, বাদুড়, ইঁদুর ও ছাগলের দেখা মেলে। যদিও কাউকে দ্বীপটিতে নামার অনুমতি দেওয়া হয় না।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন য গ র
এছাড়াও পড়ুন:
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নারী নিহত
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুরের রাজৈরে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাজৈর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
নিহত নিলুফা ইয়াসমিন নিলা (৩০) বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রুনসী গ্রামের আবুল বাসারের স্ত্রী।
আরো পড়ুন:
গাজীপুরে ডাম্পট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত
অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কা, মা-মেয়ে নিহত
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুয়াকাটা থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল চন্দ্রা পরিবহনের বাসটি। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর বাসস্ট্যান্ড পার হওয়ার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। পরে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিলার মরদেহ উদ্ধার করে। আহত হন অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মাদারীপুরের মস্তফাপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, বাস খাদে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। নিহত নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/বেলাল/মাসুদ