সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (গকসু) সহসভাপতি (ভিপি) পদে ইয়াছিন আল মৃদুল দেওয়ান ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে মো. রায়হান খান নির্বাচিত হয়েছেন। ইয়াছিন বাংলা বিভাগের ও রায়হান ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিভাগের শিক্ষার্থী।

শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় সংসদ ও অনুষদ সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো.

রফিকুল আলম। এ সময় গকসু নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ভিপি পদে বিজয়ী ইয়াছিন পেয়েছেন ৬৯২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আবদুল মাজেদ সালাফী পেয়েছেন ৬৭৭ ভোট। জিএস পদে রায়হান খান পেয়েছেন ১ হাজার ১২১ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. অন্তু দেওয়ান পেয়েছেন ৮১০ ভোট। এজিএস পদে ১ হাজার ৪০০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন সামিউল হাসান শোভন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিফাতুর রহমান শিশির পেয়েছেন ১ হাজার ২৩৯ ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে বিজয়ী হয়েছেন খন্দকার আব্দুর রহিম। তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ৪৫০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সালাউদ্দিন পেয়েছেন ৯৫৩ ভোট।

এ ছাড়া ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১ হাজার ৪৭৭ ভোট পেয়ে ফয়সাল আহমেদ, সহক্রীড়া সম্পাদক পদে ১ হাজার ৩০৭ ভোট পেয়ে আবদুল্লাহ আল নোমান, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ২ হাজার ৩৯৪ ভোট পেয়ে মো. মারুফ, সহসাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ২ হাজার ১৯৫ ভোট পেয়ে লীশা চাকমা, দপ্তর সম্পাদক পদে ১ হাজার ১০৮ ভোট পেয়ে শারমিন আক্তার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ১ হাজার ৮৭৬ ভোট পেয়ে মো. জান্নাতুল ফেরদৌস এবং সমাজকল্যাণ ও ক্যানটিন সম্পাদক পদে ১ হাজার ১৪৯ ভোট পেয়ে মো. মনোয়ার হোসেন অন্তর বিজয়ী হয়েছেন।

এদিকে গকসুর পাঁচটি অনুষদ নির্বাচনে কৃষি অনুষদে মহিউল আলম দোলন ও ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস অনুষদে মো. হুমায়ুন কবির বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে চারজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা হলেন- শাকিল আহমেদ, মো. সেলিম আহমেদ অলি, মো. মেহেদি হাসান ও মিনতুজ আক্তার মিম। বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদে মেহেরুন খিলজি মিতু ও মো. ইমদাদুল হক মিলন নির্বাচিত হয়েছেন। স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন নাশরুন সেঁজুতি অরণি ও পার্থ সরকার।

বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হওয়া এ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ১৯টি কেন্দ্রের ১৯টি বুথে ভোট নেওয়া হয়। ভোটার ছিলেন ৪ হাজার ৬৭২ জন। এর মধ্যে ৭০ ভাগ ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রদান করেন। ভোট নেওয়ার ৯ ঘণ্টা পর গণনা শেষে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৪০০ সদস্য ক্যাম্পাসে মোতায়েন করা হয়েছিল।

আরও পড়ুনউৎসবমুখর পরিবেশে গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ১১ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হয় ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

রুনা লায়লার জন্মদিন: সংগীতজীবনের বর্ণময় ৬ দশকের উদ্‌যাপন

উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। সোমবার (১৭ নভেম্বর) ৭৩ বছর পূর্ণ করলেন। একইসঙ্গে পূর্ণ করলেন তার গৌরবময় সংগীত-জীবনের ৬০ বছর। উপমহাদেশের তিন দেশ—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে সমানতালে গান গেয়ে কোটি মানুষের হৃদয় জয় করেছেন রুনা লায়লা। ১৮টি ভাষায় তার গাওয়া গানের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। ফলে তিনি যে উপমহাদেশের শীর্ষ সংগীতশিল্পীদের একজন—এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বাংলাদেশের বাংলা গানকে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দেওয়ার পেছনে তার অবদান অনন্য। দেশ-বিদেশ থেকে প্রাপ্ত অগণিত স্বীকৃতির মাঝে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ তার অর্জনকে আরো মহিমান্বিত করেছে।

আরো পড়ুন:

কনসার্টে গায়ক একনের পরনের প্যান্ট নিয়ে টানাটানি

চতুর্থ সন্তানের মা হলেন কার্ডি বি

ভক্তদের কাছে রুনা লায়লার এবারের জন্মদিনটি বিশেষ। কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় মৌসুমের শেষ গানটি প্রকাশ পেয়েছে তার গাওয়া জনপ্রিয় সুফি কাওয়ালি ‘দামা দম মাস্ত কালান্দার’ দিয়ে—যে গানটি বহু বছর আগে তাকে আন্তর্জাতিক পরিচিতি এনে দিয়েছিল।

তবে জন্মদিন নিয়ে শিল্পীর বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। তিনি জানান, পরিবারকে সময় দিয়েই কাটাবেন দিনটি। ঘরোয়া পরিবেশেই উদ্‌যাপিত হবে জন্মদিন।

১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন রুনা লায়লা। সংগীতজীবনের শুরু ষাটের দশকের শেষ দিকে পাকিস্তানের চলচ্চিত্র শিল্পে। শিল্পী আহমেদ রুশদির গায়কিতে অনুপ্রাণিত হয়ে সংগীতাঙ্গনে পথচলা শুরু করা এই কণ্ঠশিল্পী দ্রুতই উর্দুভাষী শ্রোতাদের মন জয় করে নেন। ‘উনকি নজরোঁ সে মোহাব্বত কা জো পয়গাম মিলা’—এর মতো গান তাকে এনে দেয় ব্যাপক জনপ্রিয়তা।

এরপর ভারতেও ছড়িয়ে পড়ে তার কণ্ঠের জাদু। ‘ও মেরা বাবু ছৈল ছাবিলা’ তাকে পরিচিত করে তোলে সাদাকালো যুগেই। পরে সংগীত পরিচালক বাপ্পি লাহিড়ীর সঙ্গে ‘ডিস্কো দিওয়ানে’ (১৯৮২) অ্যালবাম তাকে বিশ্বব্যাপী নতুন আরেক পরিচিতির শিখরে পৌঁছে দেয়। 

যদিও তিন দেশে সাফল্য পেয়েছেন, রুনা লায়লার সংগীতজীবনের মূল ভিত্তি ছিল বাংলাদেশ। ‘দ্য রেইন’ (১৯৭৬), ‘জাদুর বাঁশি’ (১৯৭৭), ‘অ্যাক্সিডেন্ট’ (১৯৮৯), ‘অন্তরে অন্তরে’ (১৯৯৪)—সহ মোট সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ গায়িকা নির্বাচিত হয়েছেন। ‘সাধের লাউ বানাইলা মোরে বৈরাগী’, ‘বন্ধু তিনদিন তোর বাড়িতে গেলাম’—এর মতো বাংলা লোকগান তার কণ্ঠে নতুন প্রাণ পেয়েছে। 

দীর্ঘ ও সফল এই যাত্রায় মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি—এ কথা প্রায়ই উল্লেখ করেন রুনা লায়লা। তিনি বলেন, “মা আমাকে প্রচণ্ড সহযোগিতা করেছেন। ছোটবেলায় গান গাইতে গেলে মা সবসময় সঙ্গে যেতেন।”

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ