খাজা শরফুদ্দীন চিশতি (রহ.) এর মাজার শরীফ হাই‌কোর্ট থে‌কে স্থানান্ত‌রের চক্রান্ত বন্ধ না হ‌লে ক‌ঠোর কর্মসূ‌চির হুঁশিয়ারি দি‌য়ে‌ছেন মাজার মস‌জিদ মুস‌ল্লি প‌রিষদের নেতারা।

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বাদ জুমা হাই‌কোর্ট মাজার মসজিদ প্রাঙ্গ‌ণে সং‌ক্ষিপ্ত বি‌ক্ষোভ সমা‌বেশ থে‌কে এই হুঁশিয়া‌রি দেন প‌রিষ‌দের আহ্বায়ক মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল হাকিম।

তি‌নি ব‌লেন, “চট্টগ্রা‌মের বার আউলিয়া, সি‌লে‌টের শাহজালাল‌, শাহপরান, বা‌গেরহা‌টের খান জাহান, ঢাকার খাজা শরফুদ্দীন চিশতি (রহ.

) এর মতো আউলিয়াদের হাত ধ‌রে এ দে‌শে শা‌ন্তির ধর্ম ইসলাম এসেছে, তরবা‌রি দি‌য়ে নয়। তারাই ধর্মীয় ও গো‌ষ্ঠীগত  ভেদা‌ভেদ ভু‌লি‌য়ে অসাম্প্রদা‌য়িক সামা‌জ ব‌্যবস্থা গ‌ড়ে তু‌লে‌ছেন। তৌ‌হিদী জনতার না‌মে আজ‌ এই মহান আধ‌্যা‌ত্মিক প্রাণ পুরুষ‌দের মাজারে হামলা হ‌চ্ছে। মসজিদ মাদ্রাসাও বাদ যা‌চ্ছে না। তারাই হাই‌কোর্ট থে‌কে প্রসিদ্ধ এই মাজার স্থানান্ত‌রের চক্রান্ত কর‌ছে।”

“আমরা সরকার‌কে হুঁশিয়ার দিয়ে বল‌ছি, এই মাজারকে কেন্দ্র ক‌রে মস‌জিদ হ‌য়ে‌ছে। বছ‌রের পর বছর কোর্টও চল‌ছে স্বাভা‌বিক নিয়‌মে। কো‌নো অযুহাত দিয়ে মাজার- মসজিদ স্থানান্তরের চেষ্টা করা হ‌লে প্রতি‌রোধ করা হ‌বে। চক্রান্তকারী‌র বিচার কর‌তে হ‌বে। স‌রকার এ বিষ‌য়ে দ্রুত পদ‌ক্ষেপ না নি‌লে সু‌ন্নিজনতা ক‌ঠোর কর্মসূ‌চি দি‌তে বাধ‌্য হ‌বে।”

মুসল্লি পরিষদের আহ্বায়ক মাওলানা আব্দুল  হা‌কি‌মের সভাপ‌তি‌ত্বে সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমানের সঞ্চালনায় সমা‌বে‌শে বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট নিয়াজুর রহমান লিংকন, আনোয়ার হোসেন, মুস্তফা করীম আদিল প্রমুখ।

প‌রে মাজার মস‌জিদ স্থানান্তরের চক্রান্তের প্রতিবাদে একটা মিছিল বের করা হয়। মি‌ছিল‌টি জাতীয় প্রেসক্লাব ঘু‌রে আবারও হাই‌কোর্ট মাজা‌রে গি‌য়ে মিলাদ-কিয়াম ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নওগাঁ-২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবিতে মানববন্ধন

নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ কর্মসূচির আয়োজন করেন মনোনয়নবঞ্চিত এক প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকেরা।

নওগাঁ-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক সামসুজ্জোহা খানের নাম ঘোষণা করেছে দলটি। এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন পত্নীতলা উপজেলা বিএনপির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি খাজা নাজিবুল্লাহ চৌধুরী।

খাজা নাজিবুল্লাহর সমর্থকেরা বেলা ১১টার দিকে নজিপুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় নওগাঁ-নজিপুর সড়কের একপাশে দাঁড়িয়ে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধন করেন। এ কর্মসূচিতে পত্নীতলা ও ধামইরহাট উপজেলার ১৯টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা থেকে আসা নেতা–কর্মীরা অংশ নেন। তাঁদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণও এতে অংশ নেন। মানববন্ধনের আগে জিরো পয়েন্ট এলাকায় কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে নওগাঁ-২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিতর্কিত ব্যক্তি সামসুজ্জোহা খানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি মাঠে ছিলেন না। আওয়ামী লীগের সময়ে হরতালসহ বিভিন্ন আন্দোলনে খাজা নাজিবুল্লাহর নেতৃত্বে তৃণমূলের নেতা–কর্মীরা মাঠে ছিলেন। তাঁরা নওগাঁ-২ আসনে মনোনয়নের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে খাজা নাজিবুল্লাহকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার অনুরোধ জানান।

নজিপুরের সাবেক পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন বলেন, নাজিবুল্লাহ ত্যাগী, পরীক্ষিত ও বারবার কারা নির্যাতিত নেতা। তাঁর নেতৃত্বেই পত্নীতলা ও ধামইরহাট বিএনপি ঐক্যবদ্ধ। অথচ তৃণমূলের মতামত অগ্রাহ্য করে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে। খাজা নাজিবুল্লাহকে প্রার্থী ঘোষণা না করা হলে তৃণমূল বিএনপি বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে।

ধামইরহাট উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক রুহুল আমিন বলেন, ২০১৪ সাল থেকে আওয়ামী লীগবিরোধী সব আন্দোলনে যাঁরা মাঠে সক্রিয় ছিলেন, তাঁরা সবাই খাজা নাজিবুল্লাহর পক্ষে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন। তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হোক—এটি শুধু বিএনপির নেতা–কর্মীদের চাওয়া নয়, দুই উপজেলার সব মানুষের চাওয়া। তাই এখানে মনোনয়নের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে আহ্বান জানাতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া সামসুজ্জোহা খান বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। যাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করা হবে।’

মনোনয়নবঞ্চিত খাজা নাজিবুল্লাহ বলেন, ‘সব আন্দোলন–সংগ্রামে মাঠে সক্রিয় ছিলাম। দুর্দিনে তৃণমূল নেতাদের পাশে ছিলাম, আছি ও থাকব। আমরা কেউ দলের ঊর্ধ্বে নই। দলের জন্য কাজ করছি। পুনর্বিবেচনা হলে মনোনয়ন পেতে পারি। দলই সবার আগে।’

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নজিপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পত্নীতলা উপজেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ার হোসেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পত্নীতলা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য মিজানুর রহমান, ধামইরহাট উপজেলা বিএনপির সদস্য রেজাউল ইসলাম, ধামইরহাট মহিলা দলের সহসভাপতি নাহিদা সুলতানা, জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল ধামইরহাট শাখার আহ্বায়ক রকিবুল হাসান, পত্নীতলা উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আবু তাহের প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ