ইয়ামালকে ৩২১ পয়েন্টে হারিয়ে ব্যালন ডি’অর দেম্বেলের
Published: 27th, September 2025 GMT
পাঁচ দিন আগেই ব্যালন ডি’অর জিতেছেন পিএসজির ফরাসি ফরোয়ার্ড উসমান দেম্বেলে। তিনি কত ভোট পেয়েছেন, তা নিয়ে আগ্রহ ছিল সবার। গতকাল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পাওয়া খেলোয়াড়দের ভোটসংখ্যা প্রকাশ করেছে ব্যালন ডি’অরের প্রবর্তক ফরাসি সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যালন ডি’অরের এক্স হ্যান্ডলে শীর্ষ ১০ খেলোয়াড়ের ভোট পাওয়ার তালিকা প্রকাশ করা হয়। ছেলেদের বিভাগে ব্যালন ডি’অরজয়ী দেম্বেলে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৩৮০ পয়েন্ট পেয়েছেন। ১ হাজার ৫৯ পয়েন্ট পেয়েছেন তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা ও স্পেনের উইঙ্গার লামিনে ইয়ামাল। অর্থাৎ ইয়ামালের সঙ্গে ৩২১ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ব্যালন ডি’অর জিতেছেন দেম্বেলে। তৃতীয় পিএসজির পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ভিতিনিয়া পেয়েছেন ৭০৩ পয়েন্ট।
মেয়েদের বিভাগে ব্যালন ডি’অরজয়ী বার্সেলোনা ও স্পেনের মিডফিল্ডার আইতানা বোনমাতি পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৫০৬ পয়েন্ট। দ্বিতীয় আর্সেনাল ও স্পেনের মিডফিল্ডার মারিওনা কালদেন্তে পেয়েছেন ৪৭৮ পয়েন্ট। আর্সেনাল ও ইংল্যান্ডের ফরোয়ার্ড অ্যালেসিয়া রুশো ৪২০ পয়েন্ট পেয়ে তৃতীয়।
ছেলেদের বিভাগে শুধু দেম্বেলে ও ইয়ামাল ন্যূনতম এক হাজার পয়েন্ট পেয়েছেন। সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া ১০ খেলোয়াড়ের মধ্যে পাঁচজন পিএসজির—দেম্বেলে, ভিতিনিয়া, আশরাফ হাকিমি (৪৮৪ পয়েন্ট, ষষ্ঠ), জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা (১৭২ পয়েন্ট, নবম) ও নুনো মেন্দেজ (১৭১ পয়েন্ট, দশম)। চলতি মাসের শুরুতে পিএসজি ছেড়ে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেন দোন্নারুম্মা।
প্রথম আলো গ্রাফিকস.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প এসজ
এছাড়াও পড়ুন:
রুনা লায়লার জন্মদিন: সংগীতজীবনের বর্ণময় ৬ দশকের উদ্যাপন
উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। সোমবার (১৭ নভেম্বর) ৭৩ বছর পূর্ণ করলেন। একইসঙ্গে পূর্ণ করলেন তার গৌরবময় সংগীত-জীবনের ৬০ বছর। উপমহাদেশের তিন দেশ—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে সমানতালে গান গেয়ে কোটি মানুষের হৃদয় জয় করেছেন রুনা লায়লা। ১৮টি ভাষায় তার গাওয়া গানের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। ফলে তিনি যে উপমহাদেশের শীর্ষ সংগীতশিল্পীদের একজন—এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বাংলাদেশের বাংলা গানকে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দেওয়ার পেছনে তার অবদান অনন্য। দেশ-বিদেশ থেকে প্রাপ্ত অগণিত স্বীকৃতির মাঝে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ তার অর্জনকে আরো মহিমান্বিত করেছে।
আরো পড়ুন:
কনসার্টে গায়ক একনের পরনের প্যান্ট নিয়ে টানাটানি
চতুর্থ সন্তানের মা হলেন কার্ডি বি
ভক্তদের কাছে রুনা লায়লার এবারের জন্মদিনটি বিশেষ। কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় মৌসুমের শেষ গানটি প্রকাশ পেয়েছে তার গাওয়া জনপ্রিয় সুফি কাওয়ালি ‘দামা দম মাস্ত কালান্দার’ দিয়ে—যে গানটি বহু বছর আগে তাকে আন্তর্জাতিক পরিচিতি এনে দিয়েছিল।
তবে জন্মদিন নিয়ে শিল্পীর বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। তিনি জানান, পরিবারকে সময় দিয়েই কাটাবেন দিনটি। ঘরোয়া পরিবেশেই উদ্যাপিত হবে জন্মদিন।
১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন রুনা লায়লা। সংগীতজীবনের শুরু ষাটের দশকের শেষ দিকে পাকিস্তানের চলচ্চিত্র শিল্পে। শিল্পী আহমেদ রুশদির গায়কিতে অনুপ্রাণিত হয়ে সংগীতাঙ্গনে পথচলা শুরু করা এই কণ্ঠশিল্পী দ্রুতই উর্দুভাষী শ্রোতাদের মন জয় করে নেন। ‘উনকি নজরোঁ সে মোহাব্বত কা জো পয়গাম মিলা’—এর মতো গান তাকে এনে দেয় ব্যাপক জনপ্রিয়তা।
এরপর ভারতেও ছড়িয়ে পড়ে তার কণ্ঠের জাদু। ‘ও মেরা বাবু ছৈল ছাবিলা’ তাকে পরিচিত করে তোলে সাদাকালো যুগেই। পরে সংগীত পরিচালক বাপ্পি লাহিড়ীর সঙ্গে ‘ডিস্কো দিওয়ানে’ (১৯৮২) অ্যালবাম তাকে বিশ্বব্যাপী নতুন আরেক পরিচিতির শিখরে পৌঁছে দেয়।
যদিও তিন দেশে সাফল্য পেয়েছেন, রুনা লায়লার সংগীতজীবনের মূল ভিত্তি ছিল বাংলাদেশ। ‘দ্য রেইন’ (১৯৭৬), ‘জাদুর বাঁশি’ (১৯৭৭), ‘অ্যাক্সিডেন্ট’ (১৯৮৯), ‘অন্তরে অন্তরে’ (১৯৯৪)—সহ মোট সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ গায়িকা নির্বাচিত হয়েছেন। ‘সাধের লাউ বানাইলা মোরে বৈরাগী’, ‘বন্ধু তিনদিন তোর বাড়িতে গেলাম’—এর মতো বাংলা লোকগান তার কণ্ঠে নতুন প্রাণ পেয়েছে।
দীর্ঘ ও সফল এই যাত্রায় মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি—এ কথা প্রায়ই উল্লেখ করেন রুনা লায়লা। তিনি বলেন, “মা আমাকে প্রচণ্ড সহযোগিতা করেছেন। ছোটবেলায় গান গাইতে গেলে মা সবসময় সঙ্গে যেতেন।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত