ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন মোট ৩১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ৩৩টি রোড মিডিয়ানে বৃক্ষরোপণ ও সবুজায়নের উদ্বোধন করেছেন ডিএসসিসি প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) তিনি উদ্বোধন করেন।

দ্বিতীয় পর্যায়ে দক্ষিণে ২৮টি মিডিয়ানে এবং বন অধিদপ্তরের মাধ্যমে ৫টি মিডিয়ানে শোভাবর্ধক ফুলের গাছ ও ঘাস রোপণের মাধ্যমে সবুজায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

রামেবির গাছ লুটের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

রাজশাহী কলেজে ‘প্লাস্টিক দিন গাছ নিন’ কর্মসূচি

এ পর্যায়ে মোট ১০ হাজার ৬৪৫টি শোভাবর্ধন ফুলের চারা হিসেবে রাধাচূড়া, বাগানবিলাস, টগর, শিউলি, করবী, চেরি, বকুল, সোনালু, টিকুমা, জারুল, মুসেন্ডা এবং রোড মিডিয়ানের দুই পাশে হেজ বা বর্ডার হিসেবে থাকবে মোট ৮১ হাজার মিনি টগর, রং চিতা, মিনি রঙ্গন রোপণ করা হবে। এছাড়া সম্পূর্ণ মিডিয়ান জুড়ে সবুজায়নের জন্য থাকবে বার্মুডা ঘাস, লন ঘাস, আইভি লতা এবং অডেলিয়া।

প্রথম পর্যায়ে বাস্তবায়নাধীন ১৩টি মিডিয়ানের মধ্যে মিরপুর রোড, আব্দুল গনি রোড, শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সরণি, সিটি কলেজ হয়ে সীমান্ত স্কয়ার ও শহীদ ফারহান ফাইয়াজ সড়কের মিডিয়ান অংশে বৃক্ষরোপণের উদ্বোধন ও পরিদর্শন করেন ডিএসসিসি প্রশাসক।

এ সময় প্রশাসক বলেন,“নগরীর সৌন্দর্যবর্ধন ও পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে ডিএসসিসির আওতাধীন সড়ক মিডিয়ানে বৃক্ষরোপণ ও সবুজায়ন করা হচ্ছে।”

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর  মো.

মাহাবুবুর রহমান তালুকদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এএএম/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড এসস স ড এসস স

এছাড়াও পড়ুন:

রুনা লায়লার জন্মদিন: সংগীতজীবনের বর্ণময় ৬ দশকের উদ্‌যাপন

উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। সোমবার (১৭ নভেম্বর) ৭৩ বছর পূর্ণ করলেন। একইসঙ্গে পূর্ণ করলেন তার গৌরবময় সংগীত-জীবনের ৬০ বছর। উপমহাদেশের তিন দেশ—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে সমানতালে গান গেয়ে কোটি মানুষের হৃদয় জয় করেছেন রুনা লায়লা। ১৮টি ভাষায় তার গাওয়া গানের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। ফলে তিনি যে উপমহাদেশের শীর্ষ সংগীতশিল্পীদের একজন—এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বাংলাদেশের বাংলা গানকে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দেওয়ার পেছনে তার অবদান অনন্য। দেশ-বিদেশ থেকে প্রাপ্ত অগণিত স্বীকৃতির মাঝে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ তার অর্জনকে আরো মহিমান্বিত করেছে।

আরো পড়ুন:

কনসার্টে গায়ক একনের পরনের প্যান্ট নিয়ে টানাটানি

চতুর্থ সন্তানের মা হলেন কার্ডি বি

ভক্তদের কাছে রুনা লায়লার এবারের জন্মদিনটি বিশেষ। কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় মৌসুমের শেষ গানটি প্রকাশ পেয়েছে তার গাওয়া জনপ্রিয় সুফি কাওয়ালি ‘দামা দম মাস্ত কালান্দার’ দিয়ে—যে গানটি বহু বছর আগে তাকে আন্তর্জাতিক পরিচিতি এনে দিয়েছিল।

তবে জন্মদিন নিয়ে শিল্পীর বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। তিনি জানান, পরিবারকে সময় দিয়েই কাটাবেন দিনটি। ঘরোয়া পরিবেশেই উদ্‌যাপিত হবে জন্মদিন।

১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন রুনা লায়লা। সংগীতজীবনের শুরু ষাটের দশকের শেষ দিকে পাকিস্তানের চলচ্চিত্র শিল্পে। শিল্পী আহমেদ রুশদির গায়কিতে অনুপ্রাণিত হয়ে সংগীতাঙ্গনে পথচলা শুরু করা এই কণ্ঠশিল্পী দ্রুতই উর্দুভাষী শ্রোতাদের মন জয় করে নেন। ‘উনকি নজরোঁ সে মোহাব্বত কা জো পয়গাম মিলা’—এর মতো গান তাকে এনে দেয় ব্যাপক জনপ্রিয়তা।

এরপর ভারতেও ছড়িয়ে পড়ে তার কণ্ঠের জাদু। ‘ও মেরা বাবু ছৈল ছাবিলা’ তাকে পরিচিত করে তোলে সাদাকালো যুগেই। পরে সংগীত পরিচালক বাপ্পি লাহিড়ীর সঙ্গে ‘ডিস্কো দিওয়ানে’ (১৯৮২) অ্যালবাম তাকে বিশ্বব্যাপী নতুন আরেক পরিচিতির শিখরে পৌঁছে দেয়। 

যদিও তিন দেশে সাফল্য পেয়েছেন, রুনা লায়লার সংগীতজীবনের মূল ভিত্তি ছিল বাংলাদেশ। ‘দ্য রেইন’ (১৯৭৬), ‘জাদুর বাঁশি’ (১৯৭৭), ‘অ্যাক্সিডেন্ট’ (১৯৮৯), ‘অন্তরে অন্তরে’ (১৯৯৪)—সহ মোট সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ গায়িকা নির্বাচিত হয়েছেন। ‘সাধের লাউ বানাইলা মোরে বৈরাগী’, ‘বন্ধু তিনদিন তোর বাড়িতে গেলাম’—এর মতো বাংলা লোকগান তার কণ্ঠে নতুন প্রাণ পেয়েছে। 

দীর্ঘ ও সফল এই যাত্রায় মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি—এ কথা প্রায়ই উল্লেখ করেন রুনা লায়লা। তিনি বলেন, “মা আমাকে প্রচণ্ড সহযোগিতা করেছেন। ছোটবেলায় গান গাইতে গেলে মা সবসময় সঙ্গে যেতেন।”

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ