ব্যালন ডি’অর: এত কিছু করেও রাফিনিয়া কারও ‘প্রথম পছন্দ’ হতে পারেননি
Published: 27th, September 2025 GMT
ব্যালন ডি’অরের মঞ্চে উঠতে পারলেন না রাফিনিয়া। ভোটাভুটিতে পঞ্চম স্থান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো বার্সেলোনার এই ব্রাজিলিয়ান তারকাকে। এতটা পিছিয়ে পড়ায় তখনই অনেকের ভুরু কুঁচকেছিল। গতকাল ফ্রান্স ফুটবল ভোটের বিস্তারিত প্রকাশ করার পর রাফিনিয়াকে নিয়ে সেই বিস্ময় আরও বেড়ে গেল।
গত মৌসুমে গোলের হিসাবে সবার ওপরে ছিলেন রাফিনিয়া। ৬৪ ম্যাচে করেছেন ৩৯ গোল, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও ২৫ গোল। মানে—প্রতি ম্যাচে গড়ে একটা গোল বা গোলে সহযোগিতা ছিল তাঁর। তবু আশ্চর্যের বিষয় হলো, প্রথম পছন্দ হিসেবে একজনও তাঁকে ভোট দেননি।
ফ্রান্স ফুটবলের প্রকাশিত তালিকায় দেখা যাচ্ছে, ১৩৮০ পয়েন্ট নিয়ে ব্যালন ডি’অর জিতেছেন পিএসজি তারকা উসমান দেম্বেলে। তাঁর চেয়ে ৭৬০ পয়েন্ট পিছিয়ে (৬২০) রাফিনিয়া। অথচ লা লিগা, কোপা দেল রে আর স্প্যানিশ সুপার কাপ—বার্সার হয়ে তিনটি শিরোপাই জিতেছেন তিনি।
ব্যালন ডি’অরের ভোটাভুটির নিয়মটা জানলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ১০০ দেশের একজন করে সাংবাদিক ভোট দেন। প্রত্যেকে শীর্ষ ১০ খেলোয়াড় বেছে দেন। প্রত্যেক সাংবাদিকের প্রথম পছন্দ পান ১৫ পয়েন্ট, দ্বিতীয় ১২, তৃতীয় ১০—এরপর ক্রমানুসারে ৮, ৭, ৫, ৪, ৩, ২ ও ১ পয়েন্ট। সব ভোট যোগ করে যিনি সর্বোচ্চ পয়েন্ট পান, তিনিই ব্যালন ডি’অর জেতেন।
প্রথম আলো গ্রাফিকস.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
রুনা লায়লার জন্মদিন: সংগীতজীবনের বর্ণময় ৬ দশকের উদ্যাপন
উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। সোমবার (১৭ নভেম্বর) ৭৩ বছর পূর্ণ করলেন। একইসঙ্গে পূর্ণ করলেন তার গৌরবময় সংগীত-জীবনের ৬০ বছর। উপমহাদেশের তিন দেশ—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে সমানতালে গান গেয়ে কোটি মানুষের হৃদয় জয় করেছেন রুনা লায়লা। ১৮টি ভাষায় তার গাওয়া গানের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। ফলে তিনি যে উপমহাদেশের শীর্ষ সংগীতশিল্পীদের একজন—এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বাংলাদেশের বাংলা গানকে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দেওয়ার পেছনে তার অবদান অনন্য। দেশ-বিদেশ থেকে প্রাপ্ত অগণিত স্বীকৃতির মাঝে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ তার অর্জনকে আরো মহিমান্বিত করেছে।
আরো পড়ুন:
কনসার্টে গায়ক একনের পরনের প্যান্ট নিয়ে টানাটানি
চতুর্থ সন্তানের মা হলেন কার্ডি বি
ভক্তদের কাছে রুনা লায়লার এবারের জন্মদিনটি বিশেষ। কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় মৌসুমের শেষ গানটি প্রকাশ পেয়েছে তার গাওয়া জনপ্রিয় সুফি কাওয়ালি ‘দামা দম মাস্ত কালান্দার’ দিয়ে—যে গানটি বহু বছর আগে তাকে আন্তর্জাতিক পরিচিতি এনে দিয়েছিল।
তবে জন্মদিন নিয়ে শিল্পীর বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। তিনি জানান, পরিবারকে সময় দিয়েই কাটাবেন দিনটি। ঘরোয়া পরিবেশেই উদ্যাপিত হবে জন্মদিন।
১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন রুনা লায়লা। সংগীতজীবনের শুরু ষাটের দশকের শেষ দিকে পাকিস্তানের চলচ্চিত্র শিল্পে। শিল্পী আহমেদ রুশদির গায়কিতে অনুপ্রাণিত হয়ে সংগীতাঙ্গনে পথচলা শুরু করা এই কণ্ঠশিল্পী দ্রুতই উর্দুভাষী শ্রোতাদের মন জয় করে নেন। ‘উনকি নজরোঁ সে মোহাব্বত কা জো পয়গাম মিলা’—এর মতো গান তাকে এনে দেয় ব্যাপক জনপ্রিয়তা।
এরপর ভারতেও ছড়িয়ে পড়ে তার কণ্ঠের জাদু। ‘ও মেরা বাবু ছৈল ছাবিলা’ তাকে পরিচিত করে তোলে সাদাকালো যুগেই। পরে সংগীত পরিচালক বাপ্পি লাহিড়ীর সঙ্গে ‘ডিস্কো দিওয়ানে’ (১৯৮২) অ্যালবাম তাকে বিশ্বব্যাপী নতুন আরেক পরিচিতির শিখরে পৌঁছে দেয়।
যদিও তিন দেশে সাফল্য পেয়েছেন, রুনা লায়লার সংগীতজীবনের মূল ভিত্তি ছিল বাংলাদেশ। ‘দ্য রেইন’ (১৯৭৬), ‘জাদুর বাঁশি’ (১৯৭৭), ‘অ্যাক্সিডেন্ট’ (১৯৮৯), ‘অন্তরে অন্তরে’ (১৯৯৪)—সহ মোট সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ গায়িকা নির্বাচিত হয়েছেন। ‘সাধের লাউ বানাইলা মোরে বৈরাগী’, ‘বন্ধু তিনদিন তোর বাড়িতে গেলাম’—এর মতো বাংলা লোকগান তার কণ্ঠে নতুন প্রাণ পেয়েছে।
দীর্ঘ ও সফল এই যাত্রায় মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি—এ কথা প্রায়ই উল্লেখ করেন রুনা লায়লা। তিনি বলেন, “মা আমাকে প্রচণ্ড সহযোগিতা করেছেন। ছোটবেলায় গান গাইতে গেলে মা সবসময় সঙ্গে যেতেন।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত