পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের ৪৩ জন নেতা-কর্মী পদত্যাগ করেছেন। গতকাল শনিবার রাত আটটার দিকে উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন পদত্যাগী নেতা-কর্মীরা। জেলা কমিটির বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেন, ‘পকেট কমিটি’ গঠন ও অযোগ্য ব্যক্তিদের পদ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।

এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদ দশমিনা উপজেলা কমিটির অনুমোদন দেয়। ৫১ সদস্যের ওই কমিটিতে সভাপতি হন মাসুদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হাসান মামুন। জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মহসিন ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রুবেল মাহমুদ উপজেলা কমিটির অনুমোদন দেন। বর্তমানে ওই কমিটিতে মাত্র ৮ জন সদস্য রয়েছেন। নেতা-কর্মীরা জানান, নতুন কমিটি ঘোষণার পর থেকেই উপজেলা পর্যায়ে দ্বন্দ্ব ও ক্ষোভ দেখা দেয়।

কমিটির দপ্তর সম্পাদক হাসান মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বর্তমান সাধারণ সম্পাদক হাসান মামুন এর আগে জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। কিন্তু তাঁকে হুট করে উপজেলা সাধারণ সম্পাদক করা হয়। জেলা কমিটির নেতারা উপজেলা নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই রাতারাতি কমিটি করেছেন। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে অযোগ্য ব্যক্তিদের পদ দেওয়া হয়েছে। এ কারণে ৯০ শতাংশ নেতা-কর্মীর মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। তাই সংবাদ সম্মেলন করে আমি নিজে ও আরও ৪৩ জন নেতা-কর্মী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি।’

তবে জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মহসিন ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘দপ্তর সম্পাদক করার পর হাসান মাহমুদ সংগঠনবিরোধী কাজে জড়িয়ে পড়েন, তাই তাঁকে নোটিশ দেওয়া হয়। এর পর থেকেই তিনি কমিটি নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। কমিটির ৪৩ জন পদত্যাগ করেছে, এ তথ্য সঠিক নয়। মিডিয়া ট্রায়ালের জন্য এ দাবি করা হচ্ছে। কমিটি গঠনে কোনো অনিয়ম হয়নি।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পদত য গ কর ম র কম ট র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বাস ধুয়েমুছে চালকের সহকারী ওয়াশরুমে গিয়েছিলেন, ফিরে দেখেন আগুন জ্বলছে

ঢাকার সাভার উপজেলার সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মিনিবাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার ভোরে আশুলিয়ায় বেরন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাসটির অধিকাংশ আসন পুড়ে গেছে।

চালক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার যাত্রী পরিবহন শেষে রাতে আশুলিয়ার বেরন এলাকায় সড়কের পাশে গ্রামীণ পরিবহন নামের মিনিবাস দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। ভোর চারটার দিকে চালকের সহকারী বাসটি ধুয়েমুছে টয়লেটে যান। ফিরে এসে তিনি দেখেন বাসটিতে আগুন জ্বলছে। পরে আশপাশের লোকজন পানি দিয়ে দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলেন।

আরও পড়ুননারায়ণগঞ্জে গভীর রাতে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন, তাপে চালক জেগে ওঠায় রক্ষা১ ঘণ্টা আগে

চালক মো. পিন্টু প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতি রাতেই ওই এলাকায় গাড়ি রাখি। এরপর ভোর পাঁচটায় গাড়ি বাইর করি। কাইল রাইতে হেলপার বাস পরিষ্কার কইরা ওয়াশরুমে গেছে, এরপর আইসা দেখে আগুন জ্বলতাছে। তখন পৌনে পাঁচটার মতো বাজে। বাসের সব সিট (আসন) পুইড়া গেছে। এটা ৩২ সিটের গাড়ি। দুই লাখ টাকার মতো ক্ষতি হইছে।’

দ্রুত আগুন নেভানো সম্ভব হলেও কয়েকটি আসন পুড়ে গেছে বলে জানান আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘যিনি বা যাঁরা ঘটনাটি ঘটিয়েছেন, তাঁদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ