জন্মদিনে ৫ শতাধিক অসহায় সনাতনীদের মুখে হাসি ফোটালেন জাকির খান
Published: 28th, September 2025 GMT
নিজের ৫২তম জন্মবার্ষিকীতে প্রায় ৫ শতাধিক অসহায় সনাতনীদের মাঝে নতুন বস্ত্র বিতরণ করে তাদের মুখে হাসি ফোটালেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বন্দর বাজার এলাকায় একটি পূজা মন্ডপে তিনি এ বস্ত্র বিতরণ করেন।
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর পূজা উদযাপন ফ্রন্ট এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাকির খান বলেন, ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। এদেশ একটি সম্প্রীতির দেশ। এখানে সকল ধর্মের মানুষ তার নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব পালন করবে। যদি কেউ বাধা দিতে আসে কিংবা কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা করতে চায়। আমাদের বলবেন, আমরা আপনাদের পাশে আছি। সুতরাং কোন ভয় পাবেন না। আপনারা নিশ্চিন্তে আপনাদের উৎসব পালন করেন।।
তিনি আরও বলেন, অতীতের স্বৈরাচার সরকারের সময়ে এদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অনেক জুলুম-অত্যাচার করেছে। ফলে এদেশ থেকে অত্যাচারিত হয়ে বহু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ দেশও ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। বর্তমানে সেই অবস্থা থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলেছে।
আমরা চাই, এদেশে সম্প্রীতির বন্ধন চির অটুট থাকুক। যদি কেউ এ সম্প্রীতির বন্ধনে ফাটল ধরাতে চায় আমরা বসে থাকবো না। আমাদের নেতা তারেক রহমান আপনাদের পাশে আছে। ইতিমধ্যে তার ৩১ দফায় সকল ধর্মের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন। সুতরাং যে কোন সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জানাবেন। আমরা তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিবো।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর পূজা উদাযাপন ফ্রন্টের সদস্য সচিব শ্রী ঋষিকেশ মন্ডল মিঠু বলেন, আমার নেতা যখন দেশের বাইরে ছিলেন এবং পরবর্তিতে তিনি যখন কারাগারে ছিলেন তখনও তিনি আপনাদের ভুলেন নাই। সেই কারাগার থেকেই নেতা আমার মাধ্যেমে আপনাদের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। আজ তার জন্মদিন।
নিজের জন্মদিনেও আপনাদের কাছে তিনি ছুটে এসেছেন শুধুমাত্র আপনাদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। আসলেই এমন নেতার তুলনা হয় না। আপনারা আমাদের এ প্রাণপ্রিয় নেতা জাকির খান ভাইয়ের জন্য আর্শিবাদ করবেন। তিনি প্রতিবছর আরও বড় পরিসরে আপনাদের মাঝে এ বস্ত্র বিতরণ করতে পারে।
বক্তব্য শেষে সকল অতিথিবৃন্দদের নিয়ে কেক কেটে জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেন জাকির খান। পরে প্রায় ৫ শতাধীক অসহায় সনাতনী নারী-পুরুষদের মাঝে নতুন বস্ত্র বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দরা।
মহানগর পূজা উদাযাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক নয়ন সাহা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুল ইসলাম টুলু, জেলা প্রজন্মদলের আহ্বায়ক সলিমুল্লাহ্ করিম সেলিম, ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দিদার খন্দকার, বাংলাদেশ হোসিয়ারী অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক ও জেলা যুবদল নেতা পারভেজ মল্লিক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজন, চন্দন চন্দ্র লোক, মহানগর পূজা উদাযাপন ফ্রন্টের কোষাধক্ষ্য মানিক দাস, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক স্মৃতি পাল, সদস্য মিলন দাস, তোবারক, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রাকিব হাসান রাজ, বন্দর থানা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মো: জলিল, সদস্য মো: হেলাল, মো: সাদ্দাম, আবু সাঈদ, বন্দর ২৩নং ওয়ার্ড মৎস্যজীবী দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো: আলী হোসেন, সিনিয়র সহ সভাপতি মো: জাকির, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান খোকন, সদস্য মো: আজিম, মো: হিমু প্রমূখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আপন দ র আম দ র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে।
তবে, কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিক পতনের ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ হাজার ৭০০ পয়েন্টের ঘরে নেমেছে।
আরো পড়ুন:
প্রথম প্রান্তিকে ইউনিক হোটেল ও ইফাদ অটোসের মুনাফায় বড় উত্থান
ডিএসইতে সূচকের উত্থান, সিএসইতে পতন
আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসই ও সিএসইতে আজ টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বেড়েছে।
বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। সোমবার সকালে ডিএসইএক্স সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। তবে, লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর থেকে সূচকের উত্থান দেখা যায়। লেনদেন শেষ হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪২.৮০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৭৭৪ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৫.২৯ পয়েন্ট বেড়ে ১০০০ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৯.৩৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৭৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৩২২টি কোম্পানির, কমেছে ৩৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬টির।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩৪৮ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৯৮ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৮.৯৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮ হাজার ২৮৭ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪১.৬৯ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৩৬৮ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৫.১১ পয়েন্ট কমে ৮৪৫ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ১৬.৮৭ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ১১৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ১৫৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১০০টি কোম্পানির, কমেছে ৪৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১১টির।
সিএসইতে ১৪ কোটি৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি/রফিক